ওয়েব পেজের স্ক্রিনশট নেয়া
বিভিন্ন কারনে ওয়েব পেজের স্ক্রিনশট নেয়ার প্রয়োজন হয়। জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সের স্ক্রিনগ্রাভ নামের একটি এ্যাডঅন্স দ্বারা সহজেই ওয়েব পেজের নির্দিষ্ট অংশ, নির্বাচিত অংশ বা সম্পূর্ণ স্ক্রিনশট সেভ JPEG এবং PNG ফরম্যাটে করা যায়। এজন্য এ্যাডঅন্সটি
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/1146 থেকে ডাউনলোড করে নিন। আর এ্যাডঅন্সটির ওয়েবসাইট
www.screengrab.org থেকে আরো আপডেট তথ্য পাওয়া যাবে। এ্যাডঅন্সটি ইনস্টল করার পরে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন তাহলে স্ট্যাটাসবারের ডানে Screengrab! এর একটি আইকন আসবে। এবার যে পেজটির স্ক্রিনশট নিবেন সেই পেজটির উপরে মাউস ডান বাটন ক্লিক করে নিচের Screengrab! -এ অথবা স্ট্যাটাসবারের Screengrab! আইকনে ক্লিক করে Save… -এ ক্লিক করুন। এবার Complete Page/Frame… এ ক্লিক করলে সম্পূর্ণ পেজটি সেভ করার ডায়ালগ বক্স আসবে। আর Visible portion… -এ ক্লিক করলে পেজের যতটুকু দেখা যাচ্ছে ততটুক এবং Selection… -এ ক্লিক করার পরে পেজের যতটুক নির্বাচন করবেন ততটুক সেভ হবে। একই ভাবে Screengrab! থেকে Copy… থেকে গেলে সেভ ডায়ালগ বক্স না এসে ক্লিপবোর্ডে সেভ হবে।
ফায়ারফক্সে ওয়াপ সাইট দেখা
ওয়্যারলেস এ্যাপলিকেশন প্রটোকল বা ওয়াপ মূলত ওয়্যারলেস (মোবাইল) জাতীয় ডিভাইসগুলোর উপযোগী করে তৈরী করা হয়। ওয়াপ সাইটগুলো ওয়্যারলেস মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ (wml) দ্বারা তৈরী করা হয়
ফলে ওয়েব ব্রাউজারে এই সাইটগুলো দেখা যায় না। ওয়াপ সাইটে প্রবেশ করতে গেলে পেজটি লোড না হয়ে সেভ অপশন আসে। তবে মজিলা ফায়াফক্সে wmlbrowser এ্যড-অন্সটি ইনস্টল করলে ওয়েব সাইটের মতই ওয়াপ সাইট দেখা যাবে। ফায়ারফক্সের ১.৫ সংস্করণ বা এর পরের সকল সংস্করণে উইন্ডোজ এবং লিনাক্সে এই এ্যাড-অন্সটি সমর্থন করবে। এজন্য
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/62 থেকে মাত্র ৮৮ কিলোবাইটের এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করুন। এ্যাড-অন্সটির নিজস্ব সাইট
http://wmlbrowser.mozdev.org থেকেও আপডেট এবং বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে।
মাউস ছাড়া ফায়ারফক্সে ব্রাউজ করা
অনেক সময় মাউস নষ্ট হলে বা অন্য কারণে মাউস ছাড়া কম্পিউটার ব্যবহার করা লাগতে পারে। যে কারণেই হোক না কেন মাউস ছাড়া ইন্টারনেট ব্রাউজ করা বেশ কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। আপনি যাদি ফায়ারফক্সে ব্রাউজ করে থাকেন আর মাউসলেস এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করা থাকে তাহলে
সহজেই যেকোন লিংকে ঢুকতে পারবেন যা মাউস ক্লিক করার বিকল্প হিসাবে কাজ করবে। এজন্য মূল সাইট
www.mouseless.de বা
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/879 থেকে ৭২ কিলোবাইটের এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে নিন। এবার ফায়ারফক্সটি পুনরায় চালু করে দেখুন প্রতিটি লিংকের ডানে সংখ্যা এসেছে। এখন উক্ত লিংকে একই উইন্ডোতে ঢুকতে Ctrl কী চেপে উক্ত সংখ্যা চাপুন, নতুন ট্যাবে ঢুকতে Alt কী চেপে উক্ত সংখ্যা চাপুন এবং Ctrl+ Alt কীদ্বয় একসাথে চেপে উক্ত সংখ্যা চাপলে নতুন উইন্ডোজে সাইটটি খুলবে। আপনি চাইলে (Ctrl+Shift+Alt+M চেপে) মাউসলেস ব্রাউজিং অপশন থেকে এসব কী বা অনান্য তথ্য পরিবর্তন করতে পারেন।
ফায়ারফক্স মনে রাখবে ইয়াহু এবং হট মেইলের পাসওয়ার্ড
জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সের একটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখা যাতে পরবর্তীতে পাসওয়ার্ড না লিখেই সাইটে লগইন করা যায়। কিন্তু নিরাপত্তা জনিত কারনে ইয়াহু, হটমেইলসহ কিছু কিছু সাইট পাসওয়ার্ড সেভ করার সুযোগ দেয় না। তবে দরকার হলে একটু চাতুরি করে এসব সাইটের পাসওয়ার্ডও সেভ করা যায়।
এজন্য ইয়াহু বা হটমেইলে লগইন পেজে প্রবেশ করুন এবং নিচের কোড এড্রেসবারে পেস্ট করে এন্টার চাপুন।
javascript:(function(){var ca,cea,cs,df,dfe,i,j,x,y;function n(i,what){return i+” “+what+((i==1)?”":”s”)}ca=cea=cs=0;df=document.forms;for(i=0;i
এরপরে ম্যাসেজ আসলে Ok করে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড লিখে সাইন ইন করলে Remember Password ম্যাসেজ আসবে। এখন Remember বাটনে ক্লিক করে পাসওয়ার্ড সেভ করে নিন।
ফায়ারফক্সে ডাউনলোড শেষে কম্পিউটার বন্ধ হবে
জনপ্রিয় ওপেনসোর্স ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সে ডাউনলোড শেষে যদি সয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার বন্ধ হতো তাহলে অনেকেই রাতে বা প্রয়োজনীয় সময়ে বড় বড় ফাইল ডাউনলোড শুরু করে অন্যত্র যেতে পারতো নিশ্চিন্তে। অটো শার্টডাউন এ্যাড-অন্স দ্বারা এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
এ্যাড-অন্সটি
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/5452 থেকে ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করে নিন। এবার স্ট্যাটাসবারে দেখুন অটো শার্টডাউন আইকন এসেছে। আইকনে উপরে ক্লিক করলে অটো শার্টডাউন সক্রিয় হবে, তাহলে চলতে থাকা ডাউনলোডগুলো শেষ হলে ম্যাসেজ আসবে এবং নির্দিষ্ট সময় পরে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে। কোন অপশনসের পরিবর্তন আনতে চাইলে উক্ত আইকনে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Options বা টুলস>এ্যাড-অন্স থেকে এ্যাড-অন্স এর Options গিয়ে করতে পারবেন।
ফায়ারফক্সে পাওয়া যাবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সুবিধা
ওয়েব ব্রাউজারের মধ্যে মজিলা ফায়ারফক্স দিনে দিনে জনপ্রিয় হচ্ছে তার পরেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে এমন কিছু সুবিধা আছে যা মজিলা ফায়ারফক্সে নেই। এর মধ্যে ফন্ট সুবিধা অন্যতম। ইউনিকোড নির্ভর ওয়েবসাইট ছাড়া বাংলা ওয়েবসাইট ফায়ারফক্সে
পড়তে বেশ ঝামেলা হয়। ফলে বিভিন্ন বাংলা পত্রিকা, সংবাদ সংস্থা বা অনান্য বাংলা সাইট ভিজিট করতে হলে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার খুলতে হয়।
কিন্তু ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের এসব সুবিধা যদি মজিলা ফায়ারফক্সে পাওয়া যেত তাহলে কেমন হতো! আইই ট্যাব (ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ট্যাব) এ্যাড-অন্স দ্বারা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সুবিধাগুলো ফায়ারফক্সে উপভোগ করা যাবে। এজন্য
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/1419 থেকে এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন।
এবার যে যে সাইটটি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার হিসাবে দেখতে চান সেগুলো ফায়ারফক্সে Tools>IE Tab Options গিয়ে যোগ করুন। এখন উক্ত সাইট ব্রাউজ করার সময় ট্যাবের আইকনে এবং স্ট্যাটাসবারে ডানে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আইকন দেখতে পাবেন। যদি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আইকন দেখা যায় তাহলে বুঝবেন উক্ত সাইট ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার হিসাবে ব্রাউজ করা হচ্ছে আর যদি ফায়ারফক্সের আইকন দেখা যায় তাহলে বুঝবেন সেটি ফায়ারফক্স হিসাবে ব্রাউজ করা হচ্ছে। স্ট্যাটাসবারে ডানের উক্ত আইকনে মাউস দ্বারা দুইবার ক্লিক করলে তা পরিবর্তিত হয়ে সাইট রিলোড হবে।
ফায়ারফক্স থেকে সফটওয়্যার চালু করা
দ্রুত কোন সফটওয়্যার বা এ্যাপলিকেশন চালু করার জন্য আমরা তার শটকাট ডেক্সটপে বা টাক্সবারে রাখি। কিন্তু ফায়ারফক্স থেকেই যদি পছন্দের এ্যাপলিকেশন চালু করা যায় তাহলে কেমন হয়! এজন্য External Application Buttons mod for Firefox নামের একটি এ্যাড-অন্স ইনস্টল করতে হবে।
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/12892 থেকে এ্যড-অন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। এবার View>Toolbars>Customize এ ক্লিক করুন অথবা টুলবারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Customize এ ক্লিক করুন তাহলে Customize Toolbar উইন্ডো আসবে। এবার এখান থেকে Applications ড্রাগ করে এনে Navigation টুলবারের ইচ্ছামত যায়গায় রাখুন এবং Customize Toolbar উইন্ডো বন্ধ করুন। এবার যেখানে Applicationটি রেখেছেন সেখানে মাউসে ডান বাটন ক্লিক করে কনটেক্স মেনু থেকে add a button এ ক্লিক করুন এবং পছন্দের এ্যাপলিকেশনটি নির্বাচন করে খুলুন। তাহলে Navigation টুলবারের উক্ত যায়গায় সদ্য যোগ করা এ্যাপলিকেশনের আইকন চলে আসবে। এই আইকনে ক্লিক করলে উক্ত এ্যাপলিকেশনটি চালু হবে। ড্রাগ করে এনেও আইকন যুক্ত করা যাবে। এভাবে আরো এ্যাপলিকেশনের আইকন যোগ করতে পারবেন।
পিডিএফ ইট দ্বারা ওয়েবপেজকে পিডিএফ বানানো
বিভিন্ন কারনে ওয়েবপেজকে পিডিএফ বা ইমেজ (ছবি) হিসাবে সেভ করার প্রয়োজন হয়। এমন অনেক সফটওয়্যার আছে যার দ্বারা ওয়েবপেজকে পিডিএফ বানানো যায়। তবে এর মধ্যে মজিলা ফায়ারফক্সের পিডিএফইট এ্যাড-অন্স দ্বারা সহজেই যেকোন ওয়েবপেজের সম্পূর্ণ বা দৃশ্যমান অংশকে পিডিএফ বা ইমেজ (JPEG or PNG) ফাইলে সেভ করা যায়। এজন্য
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/7528 থেকে মাত্র ১৯ কিলোবাইটে এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করে নিন। এবার যে ওয়েবপেজটি পিডিএফ করতে চান সেই ট্যাবে এসে থেকে Tools মেনু থেকে Pdf It!>Save As PDF এ ক্লিক করে থেকে সম্পূর্ণ বা দৃশ্যমান অংশকে পিডিএফ করবেন তা নিবার্চন করে সেভ করলেই হবে। একইভাবে ইমেজ হিসাবে সেভ করা যাবে। শটকাটের মাধ্যমেও সেভ করা যাবে। আর কোন সেটিং পরিবর্তন করতে চাইলে Tools>Pdf It!>Options গিয়ে করতে পারেন।
ওয়েব পেজের নির্দিষ্ট অংশের স্ক্রিনশট নেওয়া
ওয়েব পেজের স্ক্রিনশট নেবার বিভিন্ন সফটওয়্যার আছে। আর মজিলা ফায়ারফক্সের জন্য আছে বিভিন্ন এ্যাড-অন্স। এমনই এক স্ক্রিনশট নেবার এ্যাড-অন্স হচ্ছে শুটার। এই এ্যাড-অন্স দ্বারা ওয়েব পেজের সম্পূর্ণ অংশ বা আংশিক অংশের স্ক্রিনশট নেওয়া যাবে। আর তা PNG এবং JPEG ফরম্যাটে বিভিন্ন মানে সেভ করা
যাবে। এজন্য এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। এখন যে ওয়েব পেজটির স্ক্রিনশট নিতে চান তাতে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Shoot this page এ ক্লিক করুন অথবা স্ট্যাটারবারের ডানের শুটার আইকনে ক্লিক করুন, তাহলে নতুন উইন্ডোতে ওয়েব পেজটি নির্বাচিত অবস্থায় থাকবে। সম্পূর্ণ পেজ সেভ করতে চাইলে ইমেজ ফরম্যাট পছন্দ করে Save বাটনে ক্লিক করে সেভ করুন। আর ওয়েব পেজের নির্দিষ্ট অংশ সেভ করতে চাইলে মাউস দ্বারা পছন্দের অংশটুক নির্বাচন করে সেভ করুন। এ্যাড-অন্সটির ঠিকানা
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/13485।
সহজেই গুগল সার্চের সবগুলো সুবিধা ব্যবহার করা
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলে বিভিন্ন ধরনের সার্চ করা যায়। সার্চে এসব সুবিধা পেতে হয় এ্যাডভান্স সার্চে গিয়ে। কিন্তু ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা গুগল ফিচার সার্চ এ্যাড-অন্স দ্বারা। এজন্য
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/14394 থেকে এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন।
এখন দেখবেন নতুন একটি টুলবার এসেছে। এখানে Search ড্রপডাউনে ক্লিক করে যে বিষয়ে সার্চ করতে চান নির্বাচন করে ডানের টেক্সট বক্সে যা সার্চ করবেন তা লিখে Go বাটনে ক্লিক করলেই হবে। ফলে গুগল সার্চের সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারবেন সহজেই।
জিমেইলে আনুন গুগলের অনান্য সেবা
জিমেইল বা গুগলকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। গুগলের সেবাগুলো বর্তমানে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এগুলো ব্যবহার করতে হলে আলাদা আলাদা উইন্ডোতে বা ট্যাবে নতুন চালু করতে হয়। কিন্তু জিমেইলের মধ্যে যদি গুগল রিডার, পিকাসা, ক্যালেন্ডার, নিউজ, নোটবুক, গ্রুপ, ম্যাপ, সাইট, গ্যাজেট ইত্যাদি পাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়! যারা মজিলা ফায়ারফক্স ব্যবহার করেন তারা
চাইলে Integrated Gmail এ্যাড-অন্স ইনস্টল করে এই সুবিধা পেতে পারেন। এজন্য
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/9457 থেকে এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। এবার টুলস মেনু থেকে Integrated Gmail এ ক্লিক করুন এবং Element Section এর Add বাটনে ক্লিক করে পছন্দের সেবাগুলো আনুন এবং ইচ্ছামত সাজিয়ে Ok করে বন্ধ করুন। এবার জিমেইল চালু করে দেখুন উক্ত সেবাগুলো জিমেইলের ভিতরেই চালু হয়েছে। এই সেবাগুলো ছোট করার (মিনিমাইজ) করার অপশন আছে এবং ডান, বাম ও উপরের প্যানেল লুকানোর জন্য তীর চিহ্নের ব্যবস্থা আছে ফলে বড় পর্দাতে জিমেইল এবং অনান্য সেবাগুলো দেখতে পারবেন। এরফলে নতুন করে গুগলের এসব সেবা চালু না করেই জিমেইল থেকে ব্যবহার করা যাবে।
ফায়ারফক্সের পটভুমিতে পছন্দের ছবি
জনপ্রিয় ওপেন সোর্স ইন্টারনেট ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সে নতুন ট্যাব খোলার সময় সাদা পেজ আসে। এখানে যদি আপনার পছন্দের ছবি দেখা যায় তাহলে কেমন হয়! এজন্য ব্রাউজার ব্রাকগ্রাউন্ড এ্যডঅন্স ইনস্টল করতে হবে।
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/10550 থেকে এ্যডঅন্সটি ইনস্টল
করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। এবার স্ট্যটাস বারের ডানের সবুজ আইকনের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Browser Backgrounds এ ক্লিক করুন। এখানে Firefox, Movie, Generic বাটনে উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে মুছে দিন। এবার New Collection এ ক্লিক করে নতুন কালেকশন তৈরী করুন এবং Add বাটনে ক্লিক করে আপনার পছন্দের ছবিগুলো যোগ করুন। এবার নতুন ট্যাব (Ctrl+T) খুললে আপনার যোগ করা ছবি দেখাবে। একাধিক ছবি যোগ করা থাকলে নতুন ট্যাব খোলার সময় ধারাবাহিকভাবে এক এক ট্যাবে এক এক ছবি আসবে। ছবিটি ছোট হলে উপরের বামে দেখাবে, ছবিটি অন্য যায়গায় সরাতে চাইলে Ctrl কী চেপে মাউস দ্বারা ড্রাগ করলেই হবে।
www.browserbackgrounds.com সাইটে রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে আপনি প্রচুর পটভুমির ছবি ডাউনলোড করতে এবং আপনার পছন্দের ছবি আপলোড করতে পারবেন। বিস্তারিত আরো তথ্য পাবেন
www.browserbackgrounds.com/bbext_howtouse.php এখানে। এটি ফ্লক ইন্টারনেট ব্রাউজারেও ব্যবহার করা যাবে।
জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সে ব্রাউজ করার সময় যদি ব্রাউজারটি কোন টেক্সট (লেখা) শব্দ হিসাবে পড়ে শোনাতো তাহলে কেমন হতো! মাইক্রোসফট উইন্ডোজে টেক্সট টু স্পেস এর মতই ফায়ারফক্সের এ্যাড-অন্স দ্বারাও সাইটের যেকোন টেক্সট এক ক্লিকেই পড়ে শোনার ব্যবস্থা আছে।
এজন্য
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/3552 থেকে মাত্র ১০ কিলোবাইটে স্পীকইট এ্যাড-অন্সটি ইনষ্টল করুন। ইনস্টল শেষে ফায়ারফক্সটি রিস্টার্ট করুন। এবার যেকোন টেক্সট যতটুক ইচ্ছা (ইংরেজী) নির্বাচন করে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে পপআপ মেনুর নিচের Say It এ ক্লিক করলে তা পড়ে শোনাবে। এতে মাইক্রোসফটের (টিটিএস) টেক্সট টু স্পীস ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।
মজিলার জন্য বাংলা বানান পরীক্ষক
ইন্টারনেটে বাংলা (ইউনিকোড) ওয়েবসাইটের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। জনপ্রিয় হচ্ছে আমাদের মাতৃভাষার ব্যবহার আর সাথে সাথে বাড়ছে বাংলাতে ইমেইল, পোস্ট, নিবন্ধ, ব্লগিং, মন্তব্য ইত্যাদি করা। কিন্তু বাংলা বানান পরীক্ষক (স্পেল চেকার) না থাকায় মাঝে মাঝে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। মজিলা ফায়ারফক্স
ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর হচ্ছে সমপ্রতি বাংলা স্পেল চেকিং ডিকশনারী এ্যাড-অন্স পরীক্ষামূলকভাবে অবমুক্ত হয়েছে। ফলে মজিলা ফায়ারফক্সে বাংলা লিখতে ভুল করলে সেটি যেমন বোঝা যাবে তেমনই তা সংশোধন করা যাবে। মাত্র ৩৫৫ কিলোবাইটের এই এ্যড-অন্সটি
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/13660 থেকে ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করে নিন। এটি ফায়ারফক্সের প্রায় সকল সংস্করণের পাশাপাশি মজিলা থান্ডারবার্ড এবং সিমানকিতেও ইনস্টল করা যাবে।
সাধারণত ইংরেজী ভাষাকে স্পেল চেকার হিসাবে ডিফল্ট করা থাকে। বাংলা ভাষাকে ডিফল্ট করতে যেকোন ইনপুট বক্সে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Language থেকে Bangla / Bangladesh নির্বাচন করুন। এবার যেকোন ইনপুট বক্সে বাংলা লিখে দেখুন ভুল বানানের নিচে লাল আন্ডারলাইন এসেছে। বানানটি সংশোধন করতে শব্দটির উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করলে উপরে কিছু বানানের সাজেশন দেবে পছন্দেরটিতে ক্লিক করলেই হবে।
আর যদি ইংরেজী ভাষাকে আবার স্পেল চেকার হিসাবে ডিফল্ট করতে চান তাহলে যেকোন ইনপুট বক্সে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Language থেকে English / United States নির্বাচন করুন।
এই এ্যাড-অন্সটি এখনো পরীক্ষামূলক হিসাবে রয়েছে। রিডিভ প্রক্রিয়ার পরে মজিলা কর্তৃপক্ষ এ্যাড-অন্সটিকে পাবলিক করবে। তাই ব্যবহারকারীগণকে রিভিউ প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এ্যাড-অন্সটি তৈরী করেছেন
www.ankur.org.bd।
ওয়েবসাইট না খুলেই PageRank, Alexa rank দেখুন
কোন ওয়েবসাইট Google PageRank বা Alexa rank কত তম তা জানতে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে ঢুকতে দেখতে হয়। কিন্তু যদি আলাদা কোন ওয়েব সাইটে না ঢুকেই যদি ব্রাউজ করার সময় চলতি ওয়েব সাইটের Google PageRank বা Alexa rank দেখা যায় তাহলে কেমন হয়!
ফায়ারফক্সের SearchStatus এ্যাড-অন্স দ্বারা এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এ্যাড-অন্সটি
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/321 থেকে ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করে নিন। এবার কোন ওয়েবসাইট খুলে দেখুন স্ট্যাটাসবারে উক্ত সাইটের Google PageRank বা Alexa rank দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও SearchStatus আইকনে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Enable এ Compete ranking এবং mozRank চেক করে স্ট্যাটাসবারে আনতে পারবেন। আর চলতি ওয়েব সাইটটির সাইটম্যাপ, রোবট, আর্কাইভ, হুইজ ইত্যাদি সহজেই দেখতে পারবেন।
মুক্ত এবং ফ্রি হবার কারণে ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্স এখন বেশ জনপ্রিয়। আরো জনপ্রিয় করতে মজিলা সমপ্রতি আটটি ভাষাতে বেটা সংস্করণ (৩.০.৩) অবমুক্ত করেছে। এই আটটি ভাষার মধ্যে ভারতীয় কয়েকটি ভাষা রয়েছে। আর এর মধ্যে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা সংস্করণও আছে। এর ফলে এখন থেকে আমরা বাংলা ভাষার ইন্টারফেসের ফায়ারফক্স ব্যবহার করতে পারবো।
ফায়ারফক্সের যেকোন ভাষার সর্বশেষ সংস্করণ
www.mozilla.com/en-US/firefox/all.html#languages থেকে ডাউনলোড করা যাবে। বাংলা ভাষার এই ফায়ারফক্সটি উইন্ডোজসহ অনান্য অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স এবং ম্যাকের জন্য আলাদা আলাদা সংস্করণ ডাউনলোড করা যাবে। সকল ইন্টারফেস বাংলাতে হলেও ইংরেজী ইন্টারফেসের সকল হট কী এবং শটকাট কী ঠিক রাখা হয়েছে। বাংলা ইন্টারফেসের ফায়ারফক্স ব্যবহার করতে হলে আপনার কম্পিউটার (অপারেটিং সিস্টেম) অবশ্যই বাংলা (ইউনিকোড) সমর্থিত হতে হবে।
নতুন ফায়ারফক্সে পুরানো এ্যাড-অন্স ব্যবহার
যারা মজিলা ফায়ারফক্স ৩.৫ ইনস্টল করেছেন তারা পুরাতন এ্যাড-অন্স নিয়ে বেশ বিপদে আছেন। ফায়ারফক্স ৩.৫ সংস্করণে পুরাতন কিছু এ্যাড-অন্স সমর্থন করে না। এর মধ্যে গুগল গিয়ার, গুগল টুলবারও রয়েছে যদিও পরবর্তিতে গুগল তাদের এ্যাড-অন্সগুলো হালনাগাদ করেছে। তবে যেসকল এ্যাড-অন্সগুলো হালনাগাদ করা হয় নাই সেগুলো স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করা
যায় না। কিন্তু ফায়ারফক্সের এক্সটেনশন চেকিং বন্ধ করে রাখলে পুরাতন এ্যড-অন্স ব্যবহার করা যাবে। এজন্য নতুন ট্যাবে গিয়ে about:config লিখে এন্টার করে এবং I’ll carefull, I promise! বাটনে ক্লিক করুন। এবার যে কোন যায়গায় মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে পপআপ মেনু থেকে New এ ক্লিক করে Boolean এ ক্লিক করুন। এবার New boolean value তে extensions.checkCompatibility লিখে এন্টার করুন এবং false নির্বাচন করে ওকে করুন। এবার কাঙ্খিত এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। যদি এ্যাড-অন্সের সাইটে থেকে সরাসরি এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করা না যায় তাহলে অন্য ব্রাউজার দ্বারা এ্যাড-অন্সটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।
এপদ্ধতিতে যারা পরশমনি এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করেছেন তারা অনান্য পত্রিকা ফায়ারফক্সে পড়তে পারলেও প্রথমআলো পড়তে পারছেন না। কারণ সমপ্রতি প্রথমআলোর মূল ডোমেইন .com এর পরিবর্তে .net ব্যবহৃত হওয়ায় পরশমনি এ্যাড-অন্সটি পুরাতন বা নতুন ফায়ারফক্সে কাজ করে না। তবে পরশমনি এ্যাড-অন্সটি হালনাগাত না হওয়া পর্যন্ত
http://www.shamokaldarpon.com/download/ থেকে পরশমনির হ্যাক করা এ্যড-অন্সটি ইনস্টল করে প্রথমআলোসহ অনান্য পত্রিকাও পড়তে পারবেন।
ফেসবুকের ভিডিও ডাউনলোড করা
জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট ফেসবুকে সাধারণত ভিডিও ডাউনলোড করা যায় না। কিন্তু ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা সহজেই একটি এ্যাড-অন্স ইনস্টল করে অনায়াসে যেকোন ভিডিও ডাউনলোডের পাশাপাশি কনভার্ট, এ্যামবেট এবং কোড কাস্টমাইজ করতে পারবে। এজন্য
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/9614 থেকে এ্যাড-অন্সটি ইনস্টল করে
ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করতে হবে। তাহলে ফেসবুকের ভিডিওর নিচে Download Video | Convert Video | Embed this Video | Customize Code আসবে। ভিডিও ডাউনলোড করলে MP4 ফরম্যাটে সেভ হবে। আর কনভার্ট করলে
www.zamzar.com সাইটের মাধ্যমে অনলাইন কনভার্ট হবে।
জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ফায়ারফক্স সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। ফায়ারফক্সকে রাঙিয়ে তুলতে অনেকে এ্যাড-অন্স থীম ইনষ্টল করে থাকে, কিন্তু এতে যায়গা বেশী লাগে এবং পরিবর্তন বা পছন্দ করা বেশ ঝামেলার। কিন্তু আপনি যদি মজিলা ল্যাবের পার্সোনাস এ্যাড-অন্স (৩০ কিলোবাইট) ইনষ্টল করেন তাহলে ইচ্ছামত থীম পরিবর্তন করতে পারবেন কয়েক সেকেন্ডে।
এজন্য http://labs.mozilla.com থেকে Personas এ ক্লিক করুন এবং download it এ ক্লিক করে (বা https://labs.mozilla.com/projects/personas/xpi/personas-latest.xpi থেকে সরাসরি) ইনষ্টল করুন। এবপরে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করলে দেখবেন স্ট্যটাসবারের একেবারে বামে একটি শিয়ালের চিহ্ন এসেছে। এই শিয়ালের উপরে ক্লিক করলে থীমের মেনু আসবে। এখন থীমের মেনু থেকে আপনার ইচ্ছামত যেকোন থীমে ক্লিক করলে কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার ফায়ারফক্সের থীম পরিবর্তন হয়ে যাবে। আর মূল থীমে ফিরে আসতে Use Default এ ক্লিক করলেই হবে।
দৈনন্দিন কাজে গুগল ক্যালেন্ডার
প্রতিদিনই আমরা রুটিন মাফিক চলি। বিশেষ বিশেষ মুহুর্তগুলো আমাদের সতর্কতারসাথে মনে রাখতে হয়। বিশেষ কোন মুহুর্ত যদি সময় মত ভুলে যায় এবং সময়ান্তে মনে পরে তাহলে নিজের চুল ছিড়া ছাড়া কোন কিছু করার থাকে না। এমন যদি হতো কেউ আপনাকে এসএমএস বা ইমেইলের মাধ্যমে এসব গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তের আগে জানিয়ে দিতো তাহলে কেমন হতো!
গুগল ক্যালেন্ডার আপনার এসব ইভেন্টগুলোর নির্দিষ্ট সময় আগেই আপনার মোবাইলে এসএমএস করে, ইমেইলে করে বা পপআপ হিসাবে মনে করিয়ে দেবে, তাও আবার বিনা পয়সায়।
গুগল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে যে গুগলে একাউন্ট থাকতে হবে এটা বলা বাহুল্য। যারা গুগল এ্যাপস ব্যবহার করেন তারাও গুগল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে পাবেন। গুগল ক্যালেন্ডারে প্রবেশের জন্য জিমেইলে (এ্যাপস ব্যবহারকারীরা তাদের মেইলে) লগইন করে উপরের calendar লিংকে ক্লিক করে অথবা সরাসরি
www.google.com/calendar (এ্যাপস ব্যবহারকারীরা https://www.google.com/calendar/hosted/ এরপরে ডোমেইন নাম লিখে) সাইটে গিয়ে লগইন করতে হবে। আর মোবাইলের ক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য www.google.com/calendar/m বা m.google.com/calendar মাধ্যমে করা যাবে।
ক্যালেন্ডার যোগ করা: সাধারণত একটি ডিফল্ট ক্যালেন্ডার থাকে কিন্তু চাইলে আরো ক্যালেন্ডার যোগ করা যাবে। এক একটি ক্যালেন্ডার প্রাইভেট বা পাবলিক হিসাবেও ব্যবহার করা যাবে। নতুন ক্যালেন্ডার যোগ করার জন্য Settings থেকে Calendars ট্যাবে গিয়ে Create new calendar এ ক্লিক করুন এবং ক্যালেন্ডারের নাম দিয়ে সেভ করুন।
এসএমএস সক্রিয় করা: মোবাইলের এসএমএস সুবিধা সক্রিয় করার জন্য Settings এ ক্লিক করে Mobile Setup ট্যাবে ক্লিক করুন। Phone number: অংশে +৮৮সহ আপনার মোবাইল নম্বর দিন এবং Send Verification Code এ ক্লিক করুন তাহলে আপনার মোবাইলে গুগল থেকে ভেরিফিকেশন কোড সম্বলিত ম্যাসেজ আসবে। বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামীণফোন, একটেল এবং ওয়ারিদ গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন। এবার Verification code: টেক্সট বক্সে মোবাইলে আসা কোডটি লিখে Finish setup বাটনে ক্লিক করে ভেরিফিকেশন সমাপ্ত করুন তাহলে সয়ংক্রিয়ভাবে Notifications ট্যাবে আসবে। এখানে By default, remind me via এর ড্রপডাউন থেকে SMS নির্বাচন করুন এবং ইভেন্টের কত সময় আগে এসএমএস পেতে চান তা লিখুন। চাইলে আরো রিমাইন্ডার (এসএমএস, মেইল, পপআপ) যোগ করতে পারেন। এরপরে Choose how you would like to be notified: এর SMS অংশে সবগুলো চেক বক্স চেক করে সেভ করুন। আপনি চাইলে পরবর্তিতে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে পারবেন।
বর্তমান বাংলাদেশের সময় নির্ধারণ করা: বর্তমানে ১ ঘন্টা ঘড়ির কাটা এগিয়ে নেবার ফলে আপনাকেও গুগল ক্যালেন্ডারে ১ ঘন্টা এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য Settings এ ক্লিক করে General ট্যাব থেকে Your current time zone: অংশের Display all time zones চেক করুন। এবার উপরের ড্রপ ডাউন থেকে GMT+07.00 নির্বাচন করুন (ফলে Country: এর স্থলে অন্য দেশ দেখাবে)। চাইলে অনান্য সেটিংও পরিবর্তন করতে পারবেন। অবশেষে সেভ করুন। মোবাইল ভেরিফিকেশন করার আগে টাইম জোন পরিবর্তন করলে মোবাইল ভেরিফিকেশন করা যাবে না।
ইভেন্ট যোগ করা: কোন ইভেন্ট যোগ করতে হলে গুগল ক্যালেন্ডারে গিয়ে Create Event এ ক্লিক করুন। এবার ইভেন্টর নাম, সময়, তারিখ নির্ধারণ করে সেভ করুন। Where এ কোন স্থানের নাম দিলে তা গুগল মাপে প্রদর্শিত হবে। চাইলে নিচের Options থেকে এই ইভেন্টের জন্য আলাদা রিমাইন্ডার এবং প্রাইভেসি নির্বাচন করতে পারবেন। আর কাউকে শেয়ার দিতে চাইলে ডানের Guests থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানাতেও পারবেন। এছাড়াও Quick Add এ ক্লিক করে ইভেন্টের নাম স্পেস সময় এবং স্পেস দিয়ে তারিখ লিখে (যেমন, Dinner with Mehdi 7pm 2009-07-06) প্লাস (+) বাটনে ক্লিক করুন মেবাইল ব্রাউজারের ক্ষেত্রে এভাবে ইভেন্ট যোগ করতে হবে। আপনি যদি জন্মদিন, বিয়ে বার্ষিকী বা অন্য কোন বার্ষিকী যোগ করতে চান তাহলে Repeats এ Yearly নির্বাচন করুন। তাহলে প্রতিবছর নতুন করে এই ইভেন্ট তৈরী করতে হবে না সয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিবছরই ইভেন্টি চালু থাকবে। এভাবে দরকারমতে Days, Weekly, Monthly নির্বাচন করতে পারবেন।
ইভেন্ট পরিবর্তন বা মুছে ফেলা: কোন ইভেন্ট মুছতে বা সম্পাদনা করতে হলে মূল ক্যালেন্ডার থেকে Day, Week, Month, 7Days বা Agenda এ ইভেন্টের উপরে ক্লিক করে সম্পাদনার জন্য edit event details» বা মুছে ফেলার জন্য Delete এ ক্লিক করলেই হবে। আর দুইবার ক্লিক করলে সম্পাদনার জন্য খুলবে এখান থেকেও সম্পাদনা বা মুছে ফলা যাবে।
ক্যালেন্ডার শেয়ার দেওয়া: ক্যালেন্ডার অন্যকে শেয়ার দিতে চাইলে Settings এ ক্লিক করে Calendars ট্যাবে থেকে Notifications এ ক্লিক করুন। এবার Share this calendar ট্যাব থেকে Make this calendar public চেক করে সবার জন্য উম্মুক্ত করে দিতে পারেন। আর নির্দিষ্ট কাউকে শেয়ার দিতে চাইলে Share with specific people এ ইমেইল ঠিকানা লিখে এ্যাড করুন (তাহলে উক্ত ব্যাক্তির মেইলে লিংকসহ মেইল যাবে)। আর পাবলিক (সবার জন্য উম্মুক্ত) ক্যালেন্ডার কোন ওয়েব পেজে দেখাতে চাইলে Calendar Details ট্যাবে ক্লিক করে Embed This Calendar অংশের কোড ওয়েব সাইটে রাখলেই হবে। চাইলে কোড সম্পাদনা করে ক্যালেন্ডারের সাইট ছোট-বড় করতে পারবেন। এছাড়াও Calendar Address বা Private Address এর লিংকও ব্যবহার করতে পারবেন। আর ক্যালেন্ডার এক্সপোর্ট করতে চাইলে Calendars ট্যাবে থেকে Export calendars এ ক্লিক করে কম্পিউটারে সেভ করতে পারেন।
অন্যের ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা: আপনার ক্যালেন্ডারে আপনি অন্যের শেয়ার করা ক্যালেন্ডার বা পাবলিক ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য Settings থেকে Calendars ট্যাবে গিয়ে Browse public calendars এ ক্লিক করুন। এবার Friends’ Calendars ট্যাবে গিয়ে যার ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে চান সেই ইমেইল ঠিকানা লিখে এ্যাড করুন। অথবা আপনার মেইলে আসা ক্যালেন্ডার শেয়ারিং মেইলে ক্লিক করেও এ্যাড করতে পারেন। আর পাবলিক ক্যালেন্ডার যোগ করতে চাইলে Add by URL টাবে গিয়ে ক্যালেন্ডারের ইউআরএল লিখে এ্যাড করতে পারবেন। অন্যের এক্সপোর্ট করা ক্যলেন্ডার যোগ করতে চাইলে Import calendar ট্যাবে ক্লিক করে ইমপোর্ট করলেই হবে। এছাড়াও Browse Calendars ট্যাব থেকে কিছু দেশের ছুটির তালিকাসহ বেশ কিছু বিশেষ ক্যালেন্ডার যোগ করতে পারেন।
জিমেইলে গুগল ক্যালান্ডার প্রর্দশন করা: জিমেইলে লগইন করে সেটিংস থেকে Labs ট্যাবে ক্লিক করুন। এবার Google Calendar gadget এর Enable নির্বাচন করে সেভ করুন তাহলে বাম পাশের বাম পাশের প্যানেলে গুগল ক্যালেন্ডার দেখা যাবে।
গুগল ডেক্সটপে ক্যালেন্ডার: যারা গুগল ডেক্সটপ (
http://desktop.google.com) ব্যবহার করেন তারা
http://desktop.google.com/plugins থেকে গুগল ক্যালেন্ডারের গ্যাজেট ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। তাহলে গুগল ডেক্সটপে ক্যালেন্ডার প্রদর্শন করবে। এখানে লগইন করে ক্যালেন্ডার দেখা এবং ইভেন্ট তৈরী করা যাবে।
আইগুগলে গুগল ক্যালেন্ডার: আইগুগলে (
www.google.com/ig) গুগল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে লগইন করে Add stuff » এ ক্লিক করুন। এবার গুগল ক্যালেন্ডারটি এ্যাড করুন এবং আইগুগলে এসে ইচ্ছামত যায়গায় সেট করুন।
এডঅন্স: মজিলা থান্ডারবার্ডে গুগল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে চাইলে
https://addons.mozilla.org/en-US/thunderbird/addon/4631 থেকে এডঅন্সটি ইনস্টল করলেই হবে।
অপলাইনে ব্যবহার করা: জিমেইলের মত গুগল ক্যালেন্ডারও অফলাইনে ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য
http://gears.google.com থেকে গুগল গিয়ার ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। এবার
গুগল ক্যালেন্ডারের উপরের ডানে Offline এ ক্লিক করে বাটনে ক্লিক করুন তাহলে Enable offline access ডায়ালগ বক্স আসবে এখানে Next করুন (যদি Gears Security Warning ডায়ালগ বক্স আসে তাহলে I trust this site চেক করে Allow বাটনে ক্লিক করুন) এবং কোথায় কোথায় শটকাট নিবেন তা নির্বাচন করে Ok করুন, তাহলে ডাউনলোড (Finishing offline installation এবং পরে Synchronizing…) শুরু হবে। এটি আপডেট ব্রাউজার না হলে সমর্থন করবে না।
গুগল ক্যালেন্ডারে ব্যবহার করে দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ এবং গতিময় করে তোলা যাবে।
যাদের নিজম্ব ডোমেইন আছে তারা নিজম্ব ডোমইনে মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সীমিত হোস্টিং স্পেস কেনার ফলে ইমেইলে বেশী যায়গা পান না। আর ইমেইল ব্যবহারহারকারী যদি অনেক হয়ে থাকে তাহলে বছরে বেশ কিছু টাকা গুনতে হবে হোস্টিং স্পেস বাবদে। কিন্তু আপনি যদি গুগলের এ্যাপস ব্যবহার করেন তাহলে কয়েকশত মেইল ঠিকানা পাবেন যার
ধারণক্ষমতা ৭ গিগাবাইটেরও বেশী যা জিমেইলের মত। এছাড়াও গুগলের অনান্য সেবা ক্যালেন্ডার, চ্যাটিং ডক্সসহ সবাই পাবেন। আর এসব সেবাই বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।
রেজিস্ট্রেশন করা: এজন্য প্রথমে
www.google.com/a এ যান। এবার ডানে See details and sign up বাটনে ক্লিক করে ডানের Not a business? Explore Standard Edition এ ক্লিক করুন। এবার Get Started বাটনে ক্লিক করুন। আপনার যেহেতু ডোমেইন কেনা আছে সেহেতু I want to use an existing domain name এর Administrator: I own or control this domain অপশন বাটন নির্বাচন করে নিচের বক্সে ডোমেইনের নাম (ধরি www.shamokaldarpon.com) লিখে Get Started বাটনে ক্লিক করুন। এবার ফরমের তথ্যগুলো পূরণ করে Continue বাটনে ক্লিক করুন। এখন administrator account এর ইমেইল পাসওয়ার্ড পূরণ করে I accept Continue with set up বাটনে ক্লিক করুন।
ভেরিফিকেশন করা: এবার ডোমেইন ভেরিফিকেশন করতে Verify domain ownership লিংকে ক্লিক করুন। এখন ড্রপডাউন থেকে Upload an HTML file নির্বাচন করে নিন্মাক্ত (অনেকটা এরকম google3abdfaaf6725f30c) কপি করে নোটপ্যাড খুলে পেস্ট করুন এবং googlehostedservice.html নামে সেভ করুন। এবার উক্ত এইচটিএমএল ফাইলটি (www.shamokaldarpon.com সাইটে) আপলোড করুন এবং ২নং এর লিংকে (www.shamokaldarpon.com/googlehostedservice.html) ক্লিক করুন। এবার Verify বাটনে ক্লিক করে ভেরিফিকেশন শেষ করুন। তাহলে কিছুক্ষণের (সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টা) মধ্যে ভেরিফিকেশন শেষ হবে।
মেইল সক্রিয় করা: মেইলকে সক্রিয় করতে Mail Exchange (MX) records পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে উক্ত ঠিকানাতে মেইল আসবে বা যাবে না। এজন্য Dashboard থেকে Email এর Activate email ক্লিক করুন। এখানে (Set up email delivery) MX Server address এবং Priority দেয়া আছে। এবার shamokaldarpon.com এর cpanel এ লগইন করে MX Entry তে যান। এবং যেকোন MX Server address এবং Priority সেট করুন। এবার গুগল এ্যাপসের Set up email delivery এর I have completed these steps বাটনে ক্লিক করে মেইল সক্রিয় করুন।
নতুন ইমেইল ঠিকানা যোগ করা: নতুন ইমেইল ঠিকানা যুক্ত করতে Users and groups থেকে Create new user এ ক্লিক করে ইমেইল ঠিকানা তৈরী করতে পারবেন।
নিজস্ব আইকন যোগ করা: ইমেইলে বা লগইনের সময় গুগলের আইকনের পরিবর্তে নিজস্ব আইকন যোগ করার জন্য Domain settings এর Appearance এ যান। এখন Custom logo এবার নির্বাচন করে ১৪৩ x ৫৯ সাইজের আপলোড করুন। ব্যাস এথন থেকে গুগলের আইকনের পরিবর্তে নিজস্ব আইকন দেখা যাবে।
ভবিষ্যতে ইমেইল লগইন করতে http://mail.google.com/a/shamokaldarpon.com এই ঠিকানায় এবং সিপ্যানেলে লগইন করতে www.google.com/a/cpanel/shamokaldarpon.com এই ঠিকানায় লগইন করতে হবে।
ফ্রি এন্টিভাইরাস এবং এভাষ্ট ৫ বেটা
ফ্রি এন্টিভাইরাসগুলোর মধ্যে এভাষ্ট অন্যতম। সম্প্রতি এভাষ্ট এর নতুন সংস্করণ ৫ বেটা অবমুক্ত হয়েছে। ইন্টারফেসসহ অনেক কিছুই আমুল পরিবর্তন আনা হয়েছে এই নতুন সংস্করণে। আর জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল প্যাকের ইংরেজী ভাষাতে স্পাইওয়্যার ডক্টর থাকলেও ফ্রেঞ্চ, জার্মান, ইতালিয়ান, চেক, স্প্যানিশ, রাশিয়ান,
পর্তুগীজ এবং পোলিশ ভাষাতে ফ্রি এভাষ্ট এন্টিভাইরাস যুক্ত হয়েছে।
এভাষ্ট ৫ বেটা সংস্করণ ডাউনলোড করতে পারবেন
www.avast.com থেকে। ৩৮ মেগাবাইটের এই এই এন্টিভাইরাস ইনষ্টল করার পরে বিনামূল্যে ১ বছরের রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন এভাষ্ট ৫ এর Maintenance / Registration থেকে।
এছাড়াও আরো কিছু ফ্রি এন্টিভাইরাসের নাম, ওয়েবসাইট এবং তুলনামূলক চিত্র পাবেন
www.av-comparatives.org এখানে।
গুগলে দেখুন ব্যক্তিগত সার্চগুলো
একটি বিষয়ের উপরে আপনি অনেকদিন আগে গুগলে সার্চ করেছেন কিন্তু এখন সে বিষয়টি মনে করতে পারছেন না অথচ আপনার উক্ত বিষয়টি জরুরী দরকার। আপনি যদি জিমেইল একাউন্ট খোলা রাখা অবস্থায় উক্ত বিষয়ে সার্চ করে থাকেন তাহলে আপনার কোন চিন্তা নেই, আপনার সার্চের বিষয়সহ কোন কোন ওয়েবসাইট খুলেছেন তার সমস্ত
বিবরণ পাবেন গুগল পার্সনালাইজড সার্চে। আপনি নিশ্চয় খেয়াল করেছেন আপনার জিমেইল একাউন্ট খোলা অবস্থায় গুগলে সার্চ করলে আপনার মেইল ঠিকানা গুগলের হোম পেইজের উপরের দিকে দেখা যায়। এমতবস্থায় আপনি যত কিছু সার্চ করেন বা সার্চ করার পরে বিষয়ভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলো খুলে থাকেন তার সবই মনে রাখবে গুগল পার্সনালাইজড সার্চ। অর্থাৎ আপনার একাউন্ট একটিভ অবস্থায় আপনার খোঁজাখুঁজির সব খবরই গুগল পার্সনালাইজড সার্চ রেখে দিচ্ছে। আপনি যদি সেসব দেখতে চান তাহলে
www.google.com/psearch সাইট ঢুকুন। এবার আপনার জিমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন, তাহলে দেখবেন আপনার সকল সার্চিং এর তারিখ, বার, সময় এবং বিষয়সহ সার্চ করার পর কোন কোন ওয়েবসাইট খুলেছেন তার সব হিসেবই আছে। এখানে কিক করে আপনি পুনরায় আবার সার্চ করতে পারবেন বা পূর্বে খোলা ওয়েবসাইটে ক্লিক করে ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। এছাড়াও পছন্দের ওয়েবসাইটিকে এখানে বুকমার্ক করে রাখতে পারেন।
আপনি গুগল খুলে আপনার নাম mehdi akram/মেহেদী আকরাম(ইউনিকোডে) বা মোবাইল নং (01552333272 /০১৫৫২৩৩৩২৭২) লিখলেন এবং সার্চ বাটনে ক্লিক করে দেখলেন আপনার ওয়েবসাইট সম্পের্ক তথ্য দিচ্ছে গুগল। তাহলে কেমন লাগবে!
আপনার শখের বসে বা প্রয়োজনে তৈরী করা ওয়েবসাইট আপনি গুগলে যুক্ত করতে পারেন কোন খরচ বা ঝামেলা ছাড়াই। তাতে অন্য কেউ আপনার ওয়েবসাইটের বিষয় অনুসারে খুঁজে পাবে। অর্থাৎ গুগলে আপনার দেওয়া পছন্দের কীওয়ার্ড দ্বারা সার্চ করলে আপনার ওয়েবসাইটের তথ্যসহ ওয়েবসাইটের ঠিকানা চলে আসবে। আপনি ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলাতে কীওয়ার্ড লিখতে পারেন তাতে বাংলাতে আপনার ওয়েব সাইট খুঁজে পাওয়া যাবে।যেভাবে যুক্ত করবেন: এজন্য প্রথমে গুগলের এই
www.google.com/addurl সাইটে ঢুকুন। এবার URL: অংশে আপনার ওয়েব ঠিকানা দিন। আপনার ওয়েব ঠিকানা যদি
www.mehdi-akram.tk হয় তাহলে আপনাকে
http://www.mehdi-akram.tk লিখতে হবে। এবার Comments: অংশে কীওয়ার্ড লিখুন। এখানে আপনি আপনার নাম এবং ওয়েবসাইট সম্পের্ক (বিষয় এবং আনুসাঙ্গিক) তথ্য দিনে পারেন। এরপরে Optional: অংশের ছবিতে থাকা টেক্সট নিচের টেক্সট বক্সে লিখে Add URL বাটনে ক্লিক করলে আপনার সাইট যুক্ত হয়েছে নিশ্চিত করবে।এ মূহুর্তে আপনি সার্চ করলে আপনার সাইট পাবেন না। অন্ততঃ কয়েক দিন পরে সার্চ করে দেখুন, কি অপেক্ষা করছে গুগলে আপনার জন্য।
উইডগেট ব্যবহার করে ডেক্সটপকে আরো আর্কশনীয় করতে পারেন। এর সাহায্যে ডেক্সটপ থেকেই আরএসএস সাইটের খবর ব্রাউজ ছাড়ায় দেখা যাবে। এছাড়াও রয়েছে, এনালগ ঘড়ি, ব্রাউজার ছাড়াই মেইল চেক করা, সার্চ করা এবং আরো বিভিন্ন দরকারী সুবিধা। উইন্ডোজ ভিসতাতে নিজস্ব উইডগেট থাকলেও অনান্য অপারেটিং সিস্টেমের জন্য উইডগেট রয়েছে বিভিন্ন সাইটের। জনপ্রিয় এবং আকর্শনীয় ছয়টি উইডগেটের ঠিকানা এবং সামান্য তথ্য দেওয়া হলো।
ইয়াহু উইডগেট: উইন্ডোজ এবং ম্যাকের উপযোগী ইয়াহু! উইডগেট এক কথায় অসাধারণ।
http://widgets.yahoo.com সাইট থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
গুগল উইডগেট: লিনাক্স প্লাটফরমসহ এটি উইন্ডোজ এবং ম্যাকে চলবে। গুগল ডেক্সটপ নামে পরিচিত এই উইডগেটে ব্যাক্তিগত তথ্য যোগ করা যায়। এছাড়াও আইগুগল
www.google.com/ig নামে অনলাইনে গুগলের আরেকটি সেবা রয়েছে।
http://desktop.google.com সাইট থেকে গুগল উইডগেট ডাউনলোড করা যাবে।
অপেরা উইডগেট: এটিও উইন্ডোজ, লিনাক্স এবং ম্যাকে চলবে। অপেরা উইডগেট ব্যবহার করতে হলে অপেরা ওয়েব ব্রাউজার ৯ বার এর পরের সংস্করণ (
www.opera.com/download) লাগবে।
http://widgets.opera.com সাইট থেকে অপেরা উইডগেট ডাউনলোড করা যাবে।
এডোবি এয়ার: এটি উইন্ডোজ এবং ম্যাকে চলবে। এটি
www.yourminis.com/minis সাইট ছাড়াও ডেক্সটপে চলবে।
http://labs.adobe.com/downloads/air.html সাইট থেকে গুগল উইডগেট ডাউনলোড করা যাবে।
ক্লিপফলিও: শুধুমাত্র উইন্ডোজের উপযোগী এই উইডগেট
www.klipfolio.com সাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
এমনেষ্টি জেনারেটর: এই উইডগেট শুধুমাত্র ম্যাক ওএক্স এবং উইন্ডোজ ভিসতাতে চলবে।
http://amnesty.mesadynamics.com/GeneratorWin.html থেকে ডাউনলোড করা যাবে। এটি ব্লগে এমবেট করে ব্যবহার করা যাবে।
সফটওয়্যার ছাড়ায় স্কাইপে ভয়েস চ্যাটিং করা
জনপ্রিয় ভয়েস এবং ভিডিও চ্যাটিং সার্ভিস স্কাইপতেচ্যাটিং করতে হলে সফটওয়্যার ডাউনলোড করে চ্যাটিং করতে হয়। কিছু দিন আগেও ইয়াহু, গুগলে ডেক্সটপ ক্লাইন্ট ছাড়া চ্যাটিং করা যেত না। বর্তমানে অনলাইনেই ইয়াহুতে চ্যাটিং করা যায় আর গুগলে ভয়েস এবং ভিডিও চ্যাটিং করা যায়। স্কাইপ এর সাইটে এমন সুযোগ না
থাকলেও আইএমও এমন সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে কোন সফটওয়্যার ছাড়ায় শুধুমাত্র লগইন করেই স্ক্যাইপীতে চ্যাটিং করা যাবে।
এজন্য
www.imo.im সাইটে গিয়ে স্কাইপ নির্বাচন করে লগইন করে ভয়েস বা ভিডিও চ্যাটিং করতে পারেন। আইএমওতে স্কাইপ ছাড়াও একই সাথে এমএসএস, ইয়াহু, এআইএম/আইসিকিউ, গুগল, মাই স্পেস বা ফেসবুকের আইডি দ্বারা লগইন করেও চ্যাটিং করা যাবে।
এছাড়াও আইএমও এর মাত্র ৯৬৪ কিলোবাইট ডেক্সটপ ক্লাইন্ট দ্বারাও একইসাথে এমএসএস, ইয়াহু, এআইএম/আইসিকিউ, গুগল, মাই স্পেস বা স্কাইপ দ্বারা চ্যাটিং করতে পারবেন। এমনই আরেকটি ইন্সট্যান্ট ম্যাসেঞ্জার হচ্ছে
পিজিন।
পিজিনে একই সাথে বিভিন্ন আইডিতে চ্যাটিং করুন
আমরা ইন্টারনেটে চ্যাটিং করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু একই সফটওয়্যার দ্বারা যদি ইয়াহু, গুগল, এমএসএনসহ জনপ্রিয় সকল আইডি ব্যবহার করা এবং একই সাথে একাধিক আইডিতে লগইন করে চ্যাটিং করা যায় তাহলে কেমন হয়। এমনই এক ফ্রি চ্যাটিং সফটওয়্যার হচ্ছে পিজিন।
মুক্ত এই সফটওয়্যার Yahoo!, Google Talk, MSN, AIM, Bonjour, Gadu-Gadu, Groupwise, ICQ, IRC, MySpaceIM, QQ, SILC, SIMPLE, Sametime, XMPP, Zephyr আইডি সমর্থন করে। ১৩.৬ মেগাবাইটের সফটওয়্যারটি
www.pidgin.im থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। আর ইনস্টল করার ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে পোর্টেবল সংস্করণ ব্যবহার করতে পারেন। ১৩.২ মেগাবাইটের পোর্টেবল সফটওয়্যারটি
http://portableapps.com থেকে ডাউনলোড করতে পারেন। এবার ইচ্ছামত আইডি যুক্ত করে চ্যাটিং করুন।
বহনযোগ্য এ্যাপলিকেশন ম্যানেজ করুন
বর্তমানে বহনযোগ্য বা পোর্টেবল সফটওয়্যার বা এ্যাপলিকেশন বেশ জনপ্রিয়। ইনস্টল করার ঝামেলা না থাকায় ফ্লাশ ডিক্সে বা এধরনের রিমুভাল ডিক্সে এধরনের সফটওয়্যার রেখে অনায়াসে চালানো যায়। আপনি চাইলে পোর্টেবল সফটওয়্যারগুলোকে মেনু হিসাবে সাজিয়ে রাখতে পারেন।
www.portableapps.com এর
ম্যানেজার দ্বারা শুধুমাত্র উক্ত সাইটের বহনযোগ্য সফটওয়্যারই মেনুতে সাজিয়ে রাখা যায়। কিন্তু CodySafe দ্বারা সহজেই যেকোন বহনযোগ্য সফটওয়্যার মেনুতে অন্তরভূক্ত করা যাবে। ১.৬৮ মেগাবাইটের ফ্রি এই সফটওয়্যারটি
http://codyssey.com/products/codysafe.html থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবার যেকোন রিমুভাল ডিক্স সংযুক্ত করে সফটওয়্যারটি উক্ত ড্রাইভে ইনস্টল করুন। তাহলে রিমুভাল ডিক্সে অটোরান ফাইলসহ দুটি ফোল্ডার তৈরী হবে। এবার সফটওয়্যারটি চালু করে Options এ ক্লিক করে Applications Manager এ ক্লিক করুন এবং Add Applications ট্যাবে গিয়ে ইচ্ছামত এ্যাপলিকেশন যুক্ত করুন। এছাড়াও Applications Management, Autorun Management থেকে ইচ্ছামত পরিবর্তন করতে পারবেন। ব্যাস এখন থেকে রিমুভাল ডিক্সটি সংযুক্ত করলেই এই মেনুটি চালু হবে (অটোরান বন্ধ করা না থাকলে) যেখান থেকে খুব সহজেই এ্যাপলিকেশন চালু করতে পারবেন।
কীবোর্ডের কোন কী নষ্ট হলে
পোষ্ট করেছেন admin,ফেব্রুয়ারি - 4 - 2009 তারিখে। (পোস্টটি 186 বার পড়া হয়েছে।)
বিভিন্ন কারনে কীবোর্ডের নির্দিষ্ট একটি বা একাধীক কী নষ্ট হতে পারে। কিন্তু সেই কী’র যদি বিকল্প কী না থাকে এবং তাহলে কীবোর্ড পরিবর্তন ছাড়া কোন গতি থাকে না। এমতবস্থায় কীবোর্ডের অন্য কোন কী যদি উক্ত নষ্ট হওয়া কী হিসাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে কেমন হয়!
শার্পকী সফটওয়্যার দ্বারা আপনি চাইলে অন্য যেকোন কীর ম্যাপ পরিবর্তন করে বিকল্প কী হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ কীবোর্ডের কীটি রিম্যাপিং করে উইন্ডোজে সেট করতে হবে। এছাড়াও নির্দিষ্ট কোন কী ইচ্ছামত পরিবর্তন বা নিস্ক্রিয় করে রাখতে পারবেন। মাত্র ২২ (আনজিপ করার পরে ৮৫) কিলোবাইটের উম্মুক্ত, বহনযোগ্য এবং ফ্রি এই সফটওয়্যারটি
www.randyrants.com থেকে ডাউনলোড করে নিন। সফটওয়্যারটির প্রোগ্রামিং সংকেত পাবেন
www.codeplex.com/sharpkeys এই সাইট থেকে। ধরি আপনার কীবোর্ডের ব্যাকস্পেস বাটনটি নষ্ট হয়ে গেছে। আপনি চাচ্ছেন ডানের কন্ট্রোল কীটিকে ব্যাকস্পেস হিসাবে ব্যবহার করবেন। এজন্য সফটওয়্যারটি চালু করে Add বাটনে ক্লিক করুন। এবার বাম দিকের Map this key (From key) প্যানেল ডানের কন্ট্রোল কীটি নির্বাচন করুন। এবার ডান দিকের To this key (To key) প্যানেল থেকে ব্যাকস্পেস কী নির্বাচন করুন। কী নির্বাচনের সহজ উপায় হচ্ছে প্যানেলের নিচের Type Key বাটনে ক্লিক করে উক্ত কী চাপলে উক্ত কীর নাম চলে আসবে এবার Ok করলেই হবে। কোন কী নিস্ক্রিয় করতে চাইলে ডানের সবচেয়ে উপরে –Turn Key Off নির্বাচন করতে হবে। এবার Ok বাটনে ক্লিক করলে SharpKeys এর তালিকায় যুক্ত হবে। এভাবে আপনি আরো কী যুক্ত করতে পারেন। এখান থেকে পূর্বের সেট করা পরিবর্তন বা মুছে ফেলতে পারেন। সবশেষে রেজিস্ট্রিতে পরিবর্তন সেট করতে Write to Registry বাটনে ক্লিক করে তাহলে একটি ম্যাসেজ আসবে। এবার কম্পিউটার নতুন করে লগইন বা রিস্টার্ট করুন। ব্যাস এবার দেখুন ডানের কন্ট্রোল কী দ্বারা ব্যাকস্পেসের কাজ করুন। এভাবে আপনি আপনার ইচ্ছামত কীবোর্ড নতুন রূপে সাজিয়েও নিতে পারেন।
কীবোর্ডের সাহায্যে মনিটর বন্ধ করা
পাওয়ার অপশনের ডিফল্ট সেটিংসে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময় পরে মনিটর বন্ধ হবার ব্যবস্থা আছে। অনেকেই এই অপশনটি বন্ধ করে রাখে। কিন্তু প্রয়োজনে যদি কীবোর্ডের শর্টকাট ব্যবহার করে মনিটর বন্ধ করা যেত তাহলে কেমন হতো! মনিটর অফ ইউটিলিটি সফটওয়্যার দ্বারা এই সুবিধা পাওয়ার যাবে। মাত্র ৩৬৬ কিলোবাইটের ফিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করার পরে বহনযোগ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। তবে
ইনস্টল করতে মাইক্রোসফট ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ২.০ বা পরের সংস্করণ প্রয়োজন হবে। সফটওয়্যাটি উইন্ডোজ এক্সপি/ভিসতা/৭ এ চলবে। সফটওয়্যারটি
www.dekisoft.com/mou.php থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
উইন্ডোজের হট কী দেখার সফটওয়্যার
উইন্ডোজের বিভিন্ন প্রোগ্রাম সহজে চালানোর জন্য বিভিন্ন হট কী ব্যবহৃত হয়। উইন্ডোজের নিজস্ব হট কী ছাড়াও ইনস্টল থাকা অনান্য সফটওয়্যারের হট কী থাকতে পারে। কিন্তু কোন্ কোন হট কী সক্রিয় আছে তা জানা যাবে একটিভ হট কী সফটওয়্যার দ্বারা। ৫১০ কিলোবাইটের (১.০৭ মেগাবাইট) ফিওয়্যার, পোর্টেবল এই
সফটওয়্যারটি
www.donationcoder.com থেকে ডাউলোড করে আনজিপ করে ব্যবহার করতে পারেন। সফটওয়্যারটি চালু করে কী মডিফায়ার এবং কী গ্রুপ নির্বাচন করে Test Active Hotkeys বাটনে ক্লিক করলেই হট কী এর অবস্থা দেখাবে।
সয়ংক্রিয়ভাবে ডেক্সটপের ফাইল সরানো
কম্পিউটারের উইন্ডোজ নষ্ট হলে বা নতুন করে ইনস্টল দিলে সাধারণত ডেক্সটপের ফাইল উদ্ধার করা কষ্টকর হয়ে উঠে। তাই ডেক্সটপে ফাইল/ফোল্ডার না রাখাই নিরাপদ। কিন্তু অনেকেই ডেক্সটপে ফাইল বা ফোল্ডার রাখে। তাদের অভ্যাসতো আর তাড়াতাড়ি বদলানো যাবে না, তাই এমন যদি হয় ডেক্সটপে ফাইল বা ফোল্ডার রাখার সাথে সাথে নির্দিষ্ট ফোল্ডারে সয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো স্থানান্তর হবে তাহলে তেমন হয়!
Desktop Teleporter নামের এই সফটওয়্যারটি দ্বারা এই সুবিধা পাওয়া যাবে। মাত্র ৮২৫ কিলোবাইটের (২.৩৫ মেগাবাইট) এই ফ্রিওয়্যার, পোর্টেবল সফটওয়্যারটি
http://tchikien.donationcoders.com বা
http://cli.gs/2GmA6U থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। সফটওয়্যারটি চালু করে Folders ট্যাব থেকে কোন ফোল্ডারে ডেক্সটপের ফাইল/ফোল্ডার সরানো হবে তা দেখিয়ে দিন এবং Miscellaneous ট্যাব থেকে Auto start চেক করে সফটওয়্যাটি হাইড করুন। ব্যাস এখন ডেক্সটপে কোন ফাইল রেখে দেখুন তা নির্দিষ্ট ফোল্ডার মুভ হয়ে যাচ্ছে।
যেকোন ফাইল বা প্রোগ্রাম থেকে আইকন সেভ করা
যদি কোন ফাইলের বা প্রোগ্রামের বা এক্সটেনশনের আইকন সেভ করার দরকার হয় তাহলে ফাইন্ড এ্যাস আইকন সফটওয়্যার দ্বারা তা করা যায়। এজন্য মাত্র ২৮ কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার, বহনযোগ্য এই সফটওয়্যাটি
http://sourceforge.net/projects/findasicon থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
সফটওয়্যারটি চালু করে Open বাটনে ক্লিক করে যে ফাইল বা প্রোগ্রাম থেকে আইকন সেভ করতে চান তা চালু করুন। এখন উপরে দেখা যাওয়া আইকনের উপরে মাউস দ্বারা দুইবার ক্লিক করলে সেভ ডায়ালগ বক্স আসবে। এখন ico সহ bmp, png, jpg, tif, gif, ফরম্যাটে সেভ করা যাবে।
সহজেই গুগল ম্যাপ ডাউনলোড করা
গুগলের সেবাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুগল ম্যাপ। সহজেই কোন স্থানের ম্যাপ খুঁজে পেতে এর বিকল্প নেই বললেই হলে। সাধারণত
http://maps.google.com থেকে ম্যাপ পাওয়া যায় কিন্তু এই সাইটের ডাউনলোড করার সুযোগ নেই, ফলে ম্যাপ সেভ করার প্রয়োজন হলে স্ক্রিনশট নিতে হয়। নির্দিষ্ট স্থানের ম্যাপ যদি সহজেই ডাউনলোড
করা যেত তাহলে ভালই হতো। গুগল ম্যাপ ডাউনলোড করার দারুন একটি সফটওয়্যার হচ্ছে গুগল ম্যাপ সেভার। ফ্রিওয়্যার, বহনযোগ্য এই সফটওয়্যার দ্বারা সহজেই বিভিন্ন রেজুলেশনে (৩২০x২৪০ পিক্সেল থেকে ৪০৯৬x৪০৯৬ পিক্সেল পর্যন্ত) png, jpeg, bmp এবং targa ফরম্যাটে ছবি সেভ করা যাবে। মাত্র ৩৬৬ কিলোবাইটের এই সফটওয়্যারটি উইন্ডোজের সকল সংস্করণেই চলবে। সফটওয়্যারটি পাওয়া যাবে
www.codres.de/google-map-saver সাইটে।
জাল এন্টিভাইরাস মুছে ফেলুন
ইদানিং কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ভাইরাস। ইন্টারনেট ব্যবহার করলে এই সমস্যাটা আরো বেশী হয়। আর এর সাথে যুক্ত হয়েছে ফেক বা জাল এন্টি-ভাইরাস এবং জাল এন্টি-স্পাইওয়্যার। নতুন ব্যবহারকারীরা এগুলোকে ভাইরাস মনে করে। এমনই কিছু জাল এন্টি-ভাইরাস এবং জাল এন্টি-স্পাইওয়্যারের
নাম হচ্ছে
1. Cyber Security,
2. Alpha Antivirus,
3. Braviax,
4. Windows Police Pro,
5. Antivirus Pro,
6. PC Antispyware
7. FraudTool.MalwareProtector,
8. Winshield2009.com,
9. Green AV,
10. Windows Protection Suite,
11. Total Security,
12. Windows System Suite,
13. Antivirus BEST,
14. System Security,
15. Personal Antivirus,
16. System Security,
17. Malware Doctor,
18. Antivirus System Pro,
19. WinPC Defender,
20. Anti-Virus-1,
21. Spyware Guard,
22. System Guard,
23. Antivirus 2009,
24. Antivirus 2010,
25. Antivirus Pro,
26. Antivirus 360,
27. MS Antispyware
যা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ইনস্টল হতে পারে।
এসব জাল এন্টি-ভাইরাস এবং জাল এন্টি-স্পাইওয়্যার সহজেই মুছতে পারেন রিমুভ ফেক এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার দ্বারা। মাত্র ৮৩ কিলোবাইটের বহনযোগ্য, ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটির ডাউনলোড লিংক হচ্ছে
http://freeofvirus.blogspot.com|
ওয়েব ব্রাউজারকে ডিফল্ট করা
একটি কম্পিউটারে একাধিক ওয়েব ব্রাউজার ইনস্টল করা থাকলে ম্যানুয়ালী বা ব্রাউজার খোলার সময় ডিফল্ট করতে হয়। তাছাড়া বহনযোগ্য ফায়ারফক্স ব্রাউজার ডিফল্ট করতে ঝামেলা হয়। একটি সফটওয়্যার দ্বারা যদি সহজেই ব্রাউজারকে ডিফল্ট করা যায়। ডিফল্ট ব্রাউজার নামের ফ্রিওয়্যার, বহনযোগ্য এই সফটওয়্যারটি
http://windowsxp.mvps.org/defaultbrowser.htm থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবার সফটওয়্যাটি চালু করে পছন্দের ব্রাউজারটি নির্বাচন করে Apply করুন।
বহনযোগ্য অপেরা ওয়েব ব্রাউজার
যারা অপেরা ব্যবহার করেন তাদের জন্য সুখবরই বটে। জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ফায়ারফক্সের মতো অপেরা ওয়েব ব্রাউজারের বহনযোগ্য সংস্করণ বেড় হয়েছে। ফলে ইনষ্টলের ঝামেলা ছাড়ায় এখন থেকে অপেরার বহনযোগ্য সংস্করণ ব্যবহার করা যাবে।
অপেরা@ইউএসবি নামে ১০ মেগাবাইটের অপেরার ৯.৫ সংস্করণের এই ব্রাউজার
www.opera-usb.com/operausben.htm থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে। শুধুমাত্র উইন্ডোজে ব্যবহার করা যাবে এই সফটওয়্যার।
আপনার কম্পিউটারকে ওয়েব সার্ভার বানান
খুব সহজেই আপনার নিজের কম্পিউটারকে ওয়েব সার্ভার বানাতে পারেন। এজন্য আপনার কম্পিউটারটি (সফটওয়্যারটি সহ) সার্বক্ষণিক চালু থাকতে হবে এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। তবে যতক্ষণ চালু থাকবে ততক্ষণ ওয়েব সার্ভার অন্যেরা ব্যবহার করতে পারবে। এজন্য
http://labs.opera.com/downloads/ যান এবং ৭.০৮ মেগাবাইটের
ইউনাইট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। এরপরে অপেরা ইউনাইট চালু করে বাম পাশের প্যানেল থেকে Unite এ ক্লিক করুন অথবা Tools>Opera Unite Server>Manage Service এ ক্লিক করুন। এবার উপরের Start এ ক্লিক করে ওয়েলকাম ডায়ালগ বক্সে Next করুন। এবার লগইন করুন (একাউন্ট না থাকলে সাইনআপ করে নিতে হবে)। এবার ড্রপডাউন থেকে কম্পিউটারের নাম নির্বাচন করুন অথবা নিচের পছন্দমত লিখে Finish করুন। এবার Browse বাটনে ক্লিক করে কোন ফোল্ডার শেয়ার দিতে চান তা নির্বাচন করুন Ok এবং Ok করুন। এবার File Sharing এ ক্লিক করে ডানের Access Control থেকে Public করুন তাহলে উপরের শেয়ার লিংক দ্বারা যে কেউ ব্রাউজ করলে আপনার শেয়ার করা ফাইল/ফোল্ডারগুলো পাবে এবং ডাউনলোড করতে পারবে। তবে সফটওয়্যারটি বন্ধ করলে বা সার্ভিস বন্ধ করলে ওয়েব সার্ভারটি বন্ধ হয়ে যাবে। আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন
http://unite.opera.com/support/userguide/ সাইটটি।
ভিডিও টিউটোরিয়াল
SWF বা শকওয়েভ ফ্লাশ ফাইল বেশীভাগ ক্ষেত্রে ওয়েব সাইটে ব্যবহার করা হয়। ফ্লাশে তৈরী করা এই এ্যানিমেটেড ফাইল সাধারণত সম্পাদনা করা যায় না। কোন সফটওয়্যার দ্বারা যদি SWF ফাইল পরিবর্তন করা যেত তাহলে বেশ ভালই হতো।
SWF ফাইল সম্পাদন করার এমনই এক ফ্রিওয়্যার সফটওয়্যার হচ্ছে Swf Modify| মাত্র ১.৫৩ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যার দ্বারা সহজেই SWF ফাইলটির চলতি ফ্রেম বা সকল ফ্রেম সম্পাদনা করা যাবে। এছাড়াও নির্দিষ্ট আইটেম, অডিও ক্লিপ, মুভি ক্লিপ মুছে দেওয়া, প্রতিস্থাপন করা বা এক্সপোর্ট করা যাবে। সফটওয়্যারটি উইন্ডোজের সকল সংস্করণেই চলবে। সফটওয়্যারটি
www.swfmodify.com থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
ফ্লাশ ফাইলকে স্ক্রিনসেভার বানানো
ফ্লাশ ফাইল সম্পর্কে নতুন করে কিছ বলার নেই। অল্প যায়গাতে আকর্ষণীয় এ্যানিমেশনের জন্য ফ্লাশের বিকল্প নেই। নিজের বানানো বা ডাউনলোড করা ফ্লাশ ফাইলকে যদি স্ক্রিনসেভার বানানো যেত তাহলে কেমন হতো! ফ্লাশ (SWF) ফাইলকে সহজেই স্ক্রিনসেভার বানানো যায় ফ্লাশ ফোজ সফটওয়্যার দ্বারা। মাত্র ৪.৯৮ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যাটি
www.goldshell.com/flashforge/main.htm থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। এরপরে সহজেই স্ক্রিনসেভারের ইনস্টেশন ফাইল বানাতে পারবেন।
আর যদি ভিডিও ফাইলকে স্ক্রিনসেভার বানাতে চান তাহলে আগে ভিডিও কে ফ্লাশে (SWF) এ রূপান্তর করতে হবে। ফ্রি ডিডিও টু ফ্লাশ কনভার্টার সফটওয়্যার দ্বারা ভিডিওকে সহজেই ফ্লাশে রূপান্তর করা যাবে। এই সফটওয়্যারটি
www.dvdvideosoft.com থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে।
কোন ইউনিট বা একককে এক অন্য এককে রূপান্তর করতে বিভিন্ন সূত্র ব্যবহার করতে হয়। এসব জটিল সূত্র মনে রাখারও কষ্টকর। যেমন, সেলসিয়ার থেকে ফারেনহাইটে রূপান্তর বা ইঞ্চি থেকে সেন্টিমিটারে এরকম শত শত এককে সমজাতীয় এককে রূপান্তর করার প্রয়োজন হয় প্রতিনিয়তই। একটি সফটওয়্যার দ্বারা যদি এসব সকল ধরণের একককে রূপান্তর করা যায় তাহলে কেমন হয়! এমনই দু’টি সফটওয়্যার হচ্ছে
কনভার্ট এবং আরেকটি হচ্ছে কনভার্বার।
কনভার্ট সফটওয়্যারটি (৫৪৮ কিলোবাইট)
http://joshmadison.com/software/convert-for-windows/ থেকে এবং কনভার্বার সফটওয়্যারটি (৫৩৩ কিলোবাইট)
www.xyntec.com/unit-converter-download.htm থেকে ডাউনলোড করা যাবে। উইন্ডোজের সকল সংস্করণের উপযোগী এই সফটওয়্যার দু’টিই বহনযোগ্য এবং বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।
অনান্য ফরম্যাটের ভিডিওকে MKV ফরম্যাটে রূপান্তর করা
ম্যাটরোসকা মাল্টিমিডিয়া কন্টেইনার হচ্ছে উম্মুক্ত স্ট্যান্ডার ফ্রি কন্টেইনার ফরম্যাট যার ভিডিও ফরম্যাট হচ্ছে এমকেভি (MKV)| এছাড়াও অডিও ফরম্যাট হচ্ছে এমকেএ (MKA) এবং সাবটাইটেল হচ্ছে এমকেএস (MKS)| এই ভিডিও ফরম্যাটে সাবটাইটেলসহ ভিডিওকে অধিকতর কমেপ্রস করে রাখা যায়।
কিন্তু তুলনামূলকভাবে অনান্য ভিডিও ফরম্যাট থেকে ভিডিও এর মান ভাল থাকে। অনান্য ভিডিওকে এমকেভি ভিডিও ফরম্যাটে রূপান্তর করার দারুন এক সফটওয়্যার হচ্ছে ভিডিওটুএমকেভি। মাত্র ৪.০৫ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে পারবেন
www.zinious.com থেকে। সফটওয়্যারটিতে ড্রাগ-ড্রপ করে এনে এ্যাপলিকেশন মেনু থেকে আউটপুট ফোল্ডার নির্ধারণ করে স্টার্ট প্রসেস কিউ বাটনে ক্লিক করলে কিছুক্ষণের মধ্যে নতুন ফরম্যাটে ভিডিও তৈরী হবে। ম্যাটরোসকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন
www.matroska.org বা থেকে
http://en.wikipedia.org/wiki/MKV।
একসাথে ২০টি অডিও ভিডিও টুলস (ফ্রি)
অডিও ভিডিও নিয়ে বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন ছোট খাট কাজ করতে হয়। এক ফরম্যাট থেকে অন্য ফরম্যাটে অডিও বা ভিডিও রূপান্তর, ভিডিও থেকে অডিও আলাদা করা, বড় ভিডিও থেকে কিছু অংশ কেটে সেভ করা, ভিডিও থেকে ছবি নেওয়া, ইউটিউব থেকে ডিডিও ডাউনলোড করা সিডিতে অডিও,
ভিডিও, সিডি/ডিভিডি/ব্লু-রেতে রাইট করা ইত্যাদি। প্রয়োজনীয় সকল কাজ যদি একটি (এক গুচ্ছ) সফটওয়্যার থেকে পাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়! এমনই এক সফটওয়্যার হচ্ছে ফ্রি স্টুডিও ম্যানেজার। এতে রয়েছে ২০টি অডিও ভিডিও টুলস। সেগুলো হচ্ছে
Youtube Download,
Youtube to iPod and PSP Converter,
Youtube to MP3 Converter,
Video to Flash Converter,
3GP Video Converter,
Video Dub,
Audio Dub,
Youtube Uploader,
Video Flip and Rotate,
Video to JPG Converter,
Video to DVD Converter,
DVD Video Burner,
DVD Decrypter,
Video to iPod and PSP Converter,
Video to iPhone Converter,
Youtube to iPhone Converter,
Video to MP3 Converter,
Audio Converter,
Audio CD Burner,
Disk Burner|
২১.৩ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি সাইট
www.dvdvideosoft.com থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। এবার ব্যবহার করুন আপনার প্রয়োজনীয় টুলসটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
সহজেই ছবি এবং গান থেকে ভিডিও তৈরী করা
বিভিন্ন ভিডিও এ্যাডিটিং সফটওয়্যারের সাহায্যে ছবি এবং অডিও গান দ্বারা ভিডিও গান তৈরী করা যায়। এজন্য কিছুটা দক্ষ হতে হয়। কিন্তু কোন দক্ষতা ছাড়ায় এ কাজটি সহজেই করা যায় ইউমিউজিক সফটওয়্যার দ্বারা। মাত্র ৫০৩ কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি
http://umusic.codeplex.com থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন।
এবার সফটওয়্যারটি চালু করে jpg ফরম্যাটের ছবি mp3 ফরম্যাটের অডিও ব্রাউজ করে এনে Create Video বাটনে ক্লিক করলে WMV ফরম্যাটের ভিডিও তৈরী হবে।
সফটওয়্যারটি দ্বারা তৈরী করা ভিডিও ইউটিউব এবং রেপিড শেয়ারে আপলোড করা যাবে।
‘ফ্রি ইউটিউব ইউটিলিটি’ দ্বারা ইউটিউবের ভিডিও নামানো
ইউটিউবের ভিডিও সহজেই সার্চ, ডাউনলোড এবং কনভার্ট করার বিভিন্ন সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইট আছে। এর মধ্যে ফ্রি ইউটিউব ইউটিলিটি সফটওয়্যারটি বেশ কাজের। এই সফটওয়্যার দ্বারা সহজেই ইউটিউবের ভিডিও খোঁজা (সারাংশ), iPod, MP4, FLV, MP3, PSP, VCD, WMV, WAV, 3GP, DVD, MOV, WMA, iPhone, AVI, RM, AAC
ফরম্যাটে ডাউনলোড+ কনভার্ট করা বা কম্পিউটারে থাকা ডিডিও কনভার্ট করা যাবে বা চালানো যাবে। সকল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে সমর্থনযোগ্য ৪.৭৫ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি
www.free-youtube.com থেকে ডাউনলোড করে করা যাবে। এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করলে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে এ্যাডইন ইনস্টল হবে ফলে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার থেকেও সরাসরি এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডাউনলোড করা যাবে।
পছন্দমত শর্টকাট তৈরী করুন
উইন্ডোজে আপনার ইচ্ছামত শর্টকাট কী তৈরী করতে পারবেন উইনলাঞ্চ সফটওয়্যারের সাহায্যে। ফলে আপনি যেকোন প্রোগ্রাম, ডকুমেন্ট, ফোল্ডার, ইমেইল, ওয়েবসাইট ইত্যাদি ইচ্ছামত চালু করতে পারবেন নিজের তৈরী করা শার্টকাট কী এর সাহায়্যে।
এজন্য প্রথমে
www.troupware.com/downloads/winlaunch.zip থেকে ৩০৬ কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনষ্টল করে নিন। এজন্য অবশ্যয় ডট নেট ইনষ্টল থাকা লাগবে। এবার উইনলাঞ্চ চালু করে Add Shortcut এ ক্লিক করে ইচ্ছামত বিভিন্ন প্রোগ্রামের শর্টকাট যুক্ত করুন। এই শর্টকাট আপনি যেকোন প্রোগ্রামের উপর থেকে যেকোন সময়ে চলাতে পারেন। তবে চলন্ত কোন প্রোগ্রাম বা উইন্ডোজের ডিফল্ট শর্টকাট এর সাথে মিলে গেলে উভয় কার্য সম্পাদন হবে। যেমন, আপনি যদি ফায়ারফক্স খোলার জন্য Ctrl+S শর্টকাট ব্যবহার করেন এবং সেটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড চালু থাকা অবস্থায় Ctrl+S চাপেন, তাহলে ওয়ার্ডের ডিফল্ট কাজ হিসাবে সেভ হবে এবং উইনলাঞ্চের শার্টকাট হিসাবে ফায়ারফক্স চালু হবে। এই সফটওয়্যারে আপনি কয়েকশত শর্টকাট যুক্ত করতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment