তাজা খবর :

Wednesday 27 January 2010

Tips , It & Internet

রাজকীয় ভঙ্গিতে এলো গুগল অভিধান

অভিধান বা ডিকশনারি শব্দের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। অনলাইনে বাংলা ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষার অভিধান রয়েছে। সবকিছুকে ছাপিয়ে সমপ্রতি অবমুক্ত হলো গুগল অভিধান। বর্তমানে গুগলের এই অভিধান ইংরেজীসহ ২৮টি ভাষাতে ব্যবহার করা যাবে। এই সব ভাষা থেকে ইংরেজী এবং ইংরেজী ভাষা থেকে অনান্য ভাষাতে শব্দের অনুবাদ জানা যাবে। সার্চের সাথে সাথে (Search Dictionary বাটনে ক্লিক করলে) শব্দের অর্থতো আসবেই সাথে অডিও (উচ্চরণ), সমজাতীয় শব্দসমষ্টি (Related phrases) এর অর্থ এবং লিংক, অন্য কোন ভাষাতে শব্দের আছে কি না (যদি থাকে), প্রতিশব্দ, পদ (Part of Speech), ছবি (যদি থাকে) এবং ওয়েব সংজ্ঞা (Web definitions) ইত্যাদি দেখা যাবে। আর গুগল একাউন্টে লগইন অবস্থায় অভিধানে সার্চ করলে হিস্টোরিতে সার্চ করা শব্দগুলো সংরক্ষিত থাকবে এবং পছন্দের শব্দগুলোকে তারকা চিহ্নিত করে রাখা যাবে।
আশার কথা হচ্ছে গুগল অনুবাদে (Google Translator) বাংলা ভাষা না থাকলেও গুগল অভিধানে বাংলা ভাষা যুক্ত হয়েছে। ফলে বাংলা ভাষাভাষিদের জন্য বেশ কাজে দেবে। আর এসব ফলাফল দেখাবে ইউনিকোডে। সাইটির ঠিকানা হচ্ছে www.google.com/dictionary
যাদের কম্পিউটারে ইউনিকোড বাংলা ভাষা কনফিগার করা নেই তারা বাংলা ফলাফল দেখতে পারবেন না। তারা কম্পিউটারে ইউনিকোড বাংলা ভাষা কনফিগার করার পদ্ধতি http://unicodehelpcenter.blogspot.com থেকে জেনে নিতে পারেন।


ইউনিকোড সমস্যার সমাধান

ইন্টারনেটের এই মহাজগতে বাংলার আবির্ভার অনেক দিনের। এ জগতে দিনে দিনে বাংলা ভাষার ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। আর সাথে বাড়ছে বাংলা ওয়েব সাইট যার বেশীরভাগই ইউনিকোড ভিত্তিক। কিন্তু কম্পিউটারে ইউনিকোড কনফিগার করা না থাকলে ভালমত সাইট দেখা যায় না আর যদি কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ইনস্টল করা না থাকে তাহলেতো ওয়েব সাইটের লেখাগুলো দেখায় যায় না, যা বক্স বা জিজ্ঞাসা চিহ্নের মত দেখা যায়। তেমনই ইউনিকোড লেখার উপযোগী কীবোর্ড ইনস্টল করা না থাকলে অনলাইনে বাংলা লেখা যায় না। অনলাইনে বাংলাতে মেইল, সার্চ, চ্যাটিং, মন্তব্য লিখতে অবশ্যই তা ইউনিকোডে লিখতে হয়। আর এসব সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে www.unicodehelpcenter.blogspot.com সাইটে। এখানে যেমন বিজয়, ইউনিজয় বা ফনেটিক কীবোর্ড ব্যবহার করে ইউনিকোডে বাংলা লেখা যাবে এবং তা কপি পেস্ট করে অন্য যায়গাই ব্যবহার করা যাবে তেমনই কম্পিউটারে বাংলা ইউনিকোড কনফিগার করার পদ্ধতি এবং আনুসাঙ্গিক সফটওয়্যাররের খোঁজও জানা যাবে।

মোবাইলে বাংলা ওয়েবসাইট দেখা

মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সেই সাথে বাড়ছে বাংলা ওয়েবসাইটের সংখ্যা। কিন্তু মোবাইলে বাংলা ওয়েবসাইট ঠিকমত দেখা যায় না। তবে যারা জাভা সমর্থিত মোবাইল ব্যবহার করেন তারা অপেরা মিনি ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে বাংলা ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন। এজন্য প্রথমে www.opera.com/mini/ থেকে অপেরা মিনি মোবাইলে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন।
এবার অপেরা মিনি চালু করে Menu > Tools > Settings এ যান এবং Font size এ Large নির্বাচন করুন এবং Mobile view সক্রিয় করে সেভ করুন। এরপরে ব্রাউজারের এড্রেসবারে about:config লিখে এন্টার করুন তাহলে Power-User settings আসবে। এখানে User bitmap fonts for complex scripts অপশনের No আছে যা পরিবর্তন করে Yes করুন এবং সেভ করুন।
ব্যাস এবার ইউনিকোড সমর্থিত যেকোন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে দেখুন তা দেখা যাচ্ছে।
পোষ্টটি করার ইচ্ছা ছিলো না কারণ এটা সাধারণ তথ্যটা প্রায় সাবই জানে। কিন্তু অনেকে প্রশ্ন করে ফলে বারবার একই উত্তর দিতে ভাললাগে না, তাই অবশেষে পোষ্টটি করলাম।



অফিসের ইন্টারফেস বাংলাতে করুন

banglaoffice.jpgমাইক্রোসফট অফিস ওপেন সোর্স না হলেও মেনু, সাবমেনু এবং টুলটিপ ইত্যাদি পরিবর্তনের সুবিধা দেয়। ফলে ইউনিকোড ব্যবহার করে অনায়াসে এগুলো বাংলাতে লেখা যায়। এজন্য আপনার কম্পিউটার বাংলা সেটিং করে নিতে হবে। বাংলা সেটিং এর জন্য Control Panel থেকে Regional and Language Options খুলুন এবং Language ট্যাব থেকে Install files for complex script and right-to-left language (including Thai) চেক বক্স চেক করে Ok করুন। এক্ষেত্রে আপনার উইন্ডোজ ইনষ্টলারটির প্রয়োজন হতে পারে। এবার অফিসের মেনু বাংলাতে করার জন্য ওয়ার্ড খুলন এবং টুলস মেনু থেকে Customize এ ক্লিক করুন। এবার যে মেনুটি পরিবর্তন করতে চান তার উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Name অংশে ইংরেজী নাম মুছে বাংলাতে (ইউনিকোডে কীবোর্ডর সাহায্যে) লিখুন। আপনার যদি কোন ইউনিকোড কীবোর্ড না থাকে তাহলে www.omicronlab.com থেকে অভ্র ইউনিকোড কীবোর্ড বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও অন্যকোন ভাবে ইউনিকোডের লেখা পেষ্ট করলেও হবে। একইভাবে সকল সাবমেনু এবং টুলটিপ পরিবর্তন করতে পারেন। মাইক্রোসফট অফিসের অনান্য এপলিকেশন এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, ফন্টপেজ, একসেসও ইত্যাদি অনুরুপ পদ্ধতিতে বাংলাতে পরিবর্তন করা যাবে।

 

অভ্র পোর্টেবল ইউনিকোড লেখার কীবোর্ড

বর্তমানে বাংলায় ওয়েবসাইট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওয়েবসাইট দেখার জন্য ইউনিকোড ভিত্তিক ফন্টের এবং তৈরী করার (ইউনিকোড লেখার) জন্য কীবোর্ডের প্রয়োজন হয়। ২০০৩ সালে উইন্ডোজে বাংলা লেখার প্রথম কীবোর্ড অভ্র আনলেও দীর্ঘ চার বছর পরে অভ্রই প্রথম পোর্টেবল সফটওয়্যার আনলো। অভ্র স্টান্ডার্ড কীবোর্ড ব্যবহার করতে হলে কম্পিউটারে ইনষ্টল করতে হয়, ফলে নিজের কম্পিউটার ছাড়া অন্য কোথাও যেখানে সফটওয়্যার ইনষ্টল করার সুবিধা নেই সেখানে অভ্র স্টান্ডার্ড কীবোর্ড ব্যবহার করা যেতো না কিন্তু অভ্র পোর্টেবল কীবোর্ড সেসব ঝামেলা থেকে মুক্ত। অভ্র পোর্টেবল সফটওয়্যারের সুবিধা হচ্ছে এটা ইনষ্টল করার প্রয়োজন হয়না। সিডি বা যে কোন রিমুভেবল ডিক্স থেকেই সরারসরি সফটওয়্যারটি চালানো যাবে। ফলে লিমিটেড ইউজাররাও (সাইবার ক্যাফে, অফিসে বা অন্য কোথাও যেখানে সফটওয়্যার ইনষ্টল করার সুবিধা নেই) ঝামেলা ছাড়া ব্যবহার করতে পারবে, এছাড়া সফটওয়্যার বন্ধ করার পরেও কম্পিউটারে কোন রেজিস্ট্রি পরিবর্তন হয় না। অভ্র পোর্টেবল সফটওয়্যারটি চালু করলে ভার্চুয়াল বাংলা ফন্ট ইনস্টলারের মাধ্যমে সিয়াম রুপালী নামে একটি ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা ফন্ট আসবে এবং অনায়াসে ইউনিকোডে বাংলা লেখা ও দেখা যাবে। অভ্র সফটওয়্যারটি ফ্রি ফলে সফটওয়্যারটির ওয়েবসাইট www.omicronlab.com থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে যেকোন লেখার এবং দেখার কাজে ব্যবহার করা যাবে।

ইউনিকোডে লেখা রুপান্তর করুন

বাংলা ওয়েবসাইট এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাতে ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে ইউনিকোড ভিত্তিক ওয়েব সাইট তৈরী করা সহজ এবং বেশ সুবিধাজনক। কিন্তু ইউনিকোড বাংলা লেখা কিছূটা জটিল এবং পূর্বের লেখা ডকুমেন্টকে নতুন করে লেখা খরচ এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু অভ্র কনভার্টারের সাহায্যে বিজয়, আল্পনা, প্রবর্তনা বা প্রশিকা ফন্টকে ইউনিকোডে (৪.১) রপান্তর করা যাবে। এখানে সরাসরি লেখা পেষ্ট করে কনভার্ট করা যাবে যা টেক্টট হিসাবে সেভ করা যাবে। এছাড়াও টেক্টট ডকুমেন্ট, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল বা একসেসকে পূর্ণরুপে ইউনিকোড কনভার্ট করা যাবে। অভ্র কনভার্টার ০.৬.০ সফটওয়্যারটি www.omicronlab.com ওয়েবসাইটি থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। একই ওয়েবসাইট থেকে অভ্র কীবোর্ড ৪.০.২ বিনামূল্যে ডাইনলোড করে সরাসরি যেকোন এ্যাপলিকেশনে ইউনিকোডে বাংলা লেখা যাবে। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে নতুন করে ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ইনষ্টল করার দরকার হয় না সফটওয়্যার ইনষ্টল করলে কয়েকটি উম্মুক্ত ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ইনষ্টল হয়।


সফটওয়্যার ছাড়াই ইউনিকোডে বাংলা টাইপ করা

ইন্টারনেটের ব্যবহার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বাংলায় ওয়েব সাইট তৈরী এবং বাংলা ব্লগ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওয়েব সাইট বা ব্লগে বাংলা লিখতে হলে ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা (উম্মুক্ত বাংলা ফন্ট ব্যবহার করে) লিখতে হবে অন্যথায় অনলাইনে আপলোড করলে বাংলা দেখা যাবে না। আমরাতো সাধারণত বিভিন্ন সফটওয়্যারের সাহায্যে ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা লিখে থাকি। কিন্তু সফটওয়্যার ছাড়াই অনলাইনে ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা লেখা যাবে। http://bangla.org.bd ওয়েব সাইটে ইউনিবিজয়সহ অভ্র ফনেটিক, লেখো ফনেটিক, প্রভাত, সামহয়ারইন ফনেটিক কীবোর্ডে বাংলা লেখা যাবে। সাজেদ চৌধুরী তৈরীকৃত এই ওয়েব সাইটে বাংলায় গুগল সার্চ করা যাবে এবং (WYSIWYG Editor নামে পরিচিত) ওয়ার্ডের মত লেখার সম্পাদনাও করা যাবে। এছাড়াও http://banglaunitype.50webs.com, www.bdjobs.com/banglahttp://bnwebtools.sourceforge.net ওয়েব সাইটেও ইংরেজীর পাশাপাশি ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলাতে লিখতে পারবেন।


বাংলাতে ফাইল ও ফোল্ডারের নাম লেখা

কম্পিউটারের হার্ডডিক্স ড্রাইভের, ফাইল বা ফোল্ডারের নাম বাংলাতে লেখা যাবে। তবে এজন্য উইন্ডোজ ২০০০ বা এর পরের ভার্সন প্রয়োজন হবে কারণ উইন্ডোজ ২০০০ এবং এর পরবর্তী সংস্করনের উইন্ডোজ ইউনিকোডের উম্মুক্ত ফন্ট সমর্থন করে। তবে বাংলা লেখার জন্য অভ্র (ইউনিকোড কমপ্লান্ট বাংলা ইনপুট সফটওয়্যার) কীবোর্ডের প্রয়োজন। অনলাইন (www.omicronlab.com/avrokeyboard) থেকে বিনামূল্যে এই কীবোর্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। এরই সাথে বিভিন্ন ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা ফন্টও ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এরপর অভ্র সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করে নিন। আপনার কম্পিউটারে যদি উইন্ডোজ এক্সপি সাভিস প্যাক ২ বা তার পরের ভার্সন থাকে তাহলে Vrinda নামে একটি ইউনিকোড ভিত্তিক উম্মুক্ত বাংলা ফন্ট আছে তা নিশ্চিত থাকুন। যা একই সাথে ইংরেজী এবং বাংলা সমর্থন করে। ফন্টটি না থাকলে অন্য যেকোন ইউনিকোড ভিত্তিক ওপেন টাইপ ফন্ট ইনষ্টল করে নিন। অভ্র সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করলে কতগুলো ইউনিকোড ভিত্তিক ওপেন টাইপ ফন্ট ইনষ্টল হবে। আপনার কম্পিউটারে যদি উইন্ডোজ এক্সপি ইনষ্টল দেওয়া থাকে তাহলে Control Panel থেকে Display Properties খুলুন। এখানে Appearance ট্যাবে কিক করে Advanced বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে Advanced Appearance ডায়ালগ বক্স আসবে এখান থেকে Item লিষ্ট থেকে Icon সিলেক্ট করুন। এবার লিষ্ট থেকে Vrinda বা অন্য যেকোন ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা ওপেন টাইপ ফন্ট সিলেক্ট করুন। (আপনার কম্পিউটারের উইন্ডোজ ২০০০ হলে Control Panel থেকে Display Properties খুলে, Appearance ট্যাবে কিক করে Advanced বাটনে ক্লিক করুন। এবং Advanced Appearance ডায়ালগ বক্স আসলে সেখান থেকে Item লিষ্ট থেকে Icon সিলেক্ট করুন। এবার লিষ্ট থেকে Vrinda বা অন্য যেকোন ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা ওপেন টাইপ ফন্ট সিলেক্ট করুন)। এবার আপনার কম্পিউটারে বাংলা ভাষা ব্যবহার করার জন্য কনফিগার করতে হবে। উইন্ডোজ এক্সপির জন্য Control Panel থেকে Regional and Language Options খুলুন এবং Language ট্যাব থেকে Install files for complex script and right-to-left language (including Thai) চেক বক্স চেক করে Ok করুন (আপনার কম্পিউটারের উইন্ডোজ 2000 এর ক্ষেত্র Control Panel থেকে Regional Options খুলুন। এবার General ট্যাব থেকে Language settings for the system অংশটির লিষ্ট থেকে Indic সিলেক্ট করে Ok করুন)। এক্ষেত্রে আপনার উইন্ডোজ ইনষ্টলারটির প্রয়োজন হতে পারে। সুতারাং উইন্ডোজের সিডি সাথেই রাখুন। এবার অভ্র কীবোর্ড লেআউট বাংলা করে ফাইল, ফোল্ডার বা ড্রাইভের নাম বাংলাতে লিখতে পারবেন। এই অভ্র কীবোর্ড এবং ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা ওপেন টাইপ ফন্টের সাহায্যে বাংলাতে ওয়েব পেজ তৈরী করতে পারেন অনায়াসে।


ফাইল ফোল্ডারের হিসাব দেখুন স্পেস স্নিফারে

আমরা যে ফাইল বা ফোল্ডার রাখি সেগুলো কোথায় কি অবস্থায় আছে তা দেখার দারুন এক সফটওয়্যার হচ্ছে স্পেস স্নিফার। ফ্রি এই সফটওয়্যার দ্বারা আপনি ড্রাইভে থাকা ফাইল এবং ফোল্ডারের চিত্র দেখতে পারবেন। এছাড়াও উক্ত ফাইল বা ফোল্ডার ক্লিক করে খুলতে পারবেন। এবং অব্যবহৃত এবং খালি যায়গা আলাদাভাবে দেখা যাবে। ৮৭২ কিলোবাইটের পোর্টেবল এই সফটওয়্যারটি www.uderzo.it থেকে ডাউনলোড করুন।

ফাইল/ফোল্ডারের তালিকা তৈরী করা

অনেক সময় নির্দিষ্ট ফোল্ডারের বা ড্রাইভের অধিনে থাকা একাধিক ফাইল বা সাবফোল্ডারে তালিকা তৈরী করার প্রয়োজন হতে পারে। এগুলো যদি লিখে করতে হয় তাহলে বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। কিন্তু যে ডাইরেক্টরি প্রিন্টার এর সাহায্যে সহজেই যেকোন ফোল্ডারের বা ড্রাইভের অধিনে থাকা ফাইলগুলোর (সাব ফোল্ডারের) তালিকা তৈরী করতে পারেন।
jdirprinter.jpg
এজন্য সাইট www.convertjunction.com/download/jdirprint.zip থেকে ১৭৪ কিলোবাইটের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন। বহনযোগ্য এই সফটওয়্যারটি চালু করুন এবং General ট্যাবে অবস্থায় ! বাটনে ক্লিক করে নির্দিষ্ট ফোল্ডারের বা ড্রাইভের পাথ দেখিয়ে দিন। আপনি চাইলে ট্যাব থেকে ইচ্ছামত বিভিন্ন অপশন পরিবর্তন করতে পারেন। এবার Start বাটনে ক্লিক করলে সফটওয়্যারটি যে ফোল্ডারে DirPrint নামে একটি নোট প্যাডের ফাইল তৈরী হবে। সেটি খুলে দেখবেন সকল ফাইলগুলোর তালিকা রয়েছে।

ফোল্ডারে মন্তব্য যোগ করা

foldercomment.jpgকোন ফোল্ডারের উপরে মাউস ধরলে উক্ত ফোল্ডারের সম্পর্কে কিছু তথ্য (অধিনে থাকা ফাইল এবং ফোল্ডারের সাইজ) দেখায়। কিন্তু আপনি যদি উক্ত ফোল্ডারে মন্তব্য যোগ করেন তাহলে ফোল্ডারটির উপরে মাউস ধরলে আপনার লেখা মন্তব্য দেখাবে, যা ক্ষেত্র বিশেষ কাজে লাগবে। এজন্য www.dr-hoiby.com সাইট থেকে HOBCommentXP সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ইনষ্টল করুন। এবার যেকোন ফোল্ডারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে …Add Comment এ ক্লিক করুন তাহলে একটি টেক্সট বক্স আসবে যেখানে আপনি আপনার মন্তব্য লিখে এন্টার করলে তা যুক্ত হবে। এরপরে আপনি উক্ত ফোল্ডারের উপরে মাউস ধরলে মন্তব্য দেখাবে।


মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্রায়াল সফটওয়্যার চালু করা

বিনামূল্যের সফটওয়্যার আমরা প্রায় সবসময় ব্যবহার করে থাকি। এর মধ্যে ট্রায়াল সংস্করণের সফটওয়্যার অন্যতম। কিন্তু ট্রায়াল সফটওয়্যার নির্দিষ্ট দিনের পরে আর চলে না আবার নতুন করে ইনষ্টল করলেও বেশীরভাগ কাজে আসে না। কিন্তু আপনি চাইলে রানঅ্যাজডেট সফটওয়্যার দ্বারা অনায়াসে পূর্বের যেকোন তারিখে যেকোন সফটওয়্যার চালু করতে পারেন। ১৯ কিলোবাইটের বহনযোগ্য ফ্রি এই সফটওয়্যারটি www.nirsoft.net থেকে ডাউনলোড আনজিপ করুন। এবার সফটওয়্যারটি চালু করে Browse… বাটনে ক্লিক করে যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্রায়াল সফটওয়্যারটি খুলুন। এবার পূর্বের যে তারিখে সফটওয়্যারটি চালু করতে চান Date / Time: এ নির্বাচন করুন। এবার Run বাটনে ক্লিক করলে ট্রায়াল সংস্করণের সফটওয়্যারটি উক্ত তারিখ হিসাবে চালু হবে। তবে সফটওয়্যাটি ইনষ্টল করার পূর্বের তারিখ নির্বাচন করে চালু করলে সফটওয়্যাটি চালু নাও হতে পারে। এভাবে আপনি মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্রায়াল সফটওয়্যার চালু করতে পারেন।


ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রিন্ট করুন যেকোন প্রিন্টারে

ইন্টারনেটের দৌলতে পৃথিবী যেন হাতের মুঠোয় এসে গেছে। আপনি চাইলে বিশ্বের যেকোন প্রিন্টারে প্রিন্ট করতে পারেন। ফলে ফ্যাক্সের ঝামেলাটা অনেককাংশে কমে যাবে। এজন্য উভয় কম্পিউটারে ইন্টারনেটসহ প্রিন্টার শেয়ার সফটওয়্যারটি থাকতে হবে। উইন্ডোজসহ ম্যাক এবং লিনাক্স প্লাটফর্মের উপযোগী মাত্র ১.৪৪ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি www.printeranywhere.com থেকে ডাউনলোড করে ইনষ্টল করুন। ইনষ্টল করার পরে PrinterShare Account আসবে। আপনার যদি পূর্বে একাউন্ট তৈরী করা থাকে তাহলে। already have account in PrinterShare network নির্বাচন করে লগইন করুন। আর নতুন একাউন্ট খুলতে চাইলে Create new PrinterShare Account নির্বাটিত রেখে Next করুন। এবার সকল তথ্য পূরণ করে Next এবং Finish করুন। এতে আপনার কম্পিউটারে PrinterShare নামে একটি প্রিন্টার যুক্ত হবে। এছাড়াও আপনার মেইলে ইউজারের নাম এবং পাসওয়ার্ড যাবে।
প্রিন্টার সেটিংস করা: এবার সফটওয়্যারটি চালু করুন। পাসওয়ার্ড চাইলে পাসওয়ার্ড দ্বারা লগইন করুন এবং পাসওয়ার্ড রিমম্বোর করে রাখুন (আপনার সুবিধার্থে)। এবার টুলস মেনু থেকে সেটিংসে গিয়ে জেনারেল ট্যাব থেকে Start with windows এ টিক চিহ্ন দিন। তাহলে উইন্ডোজের শুরুতেই সফটওয়্যারটি চালু হবে। এবার শেয়ারিং ট্যাবে Print without questions নির্বাচন করলে (কেউ প্রিন্ট দিলে) আপনার অনুমতি ছাড়াই আপনার প্রিন্টারে প্রিন্ট হবে। আর কভারপেজ ট্যাবে Print Coverpage নির্বাচন না করলে কোন প্রিন্ট দিলে যে অতিরিক্ত কাভারপেজ প্রিন্ট হতো সেটি প্রিন্ট হবে না। অবশেষে Ok করুন।
প্রিন্টার শেয়ার দেয়া: আপনার কম্পিউটারের কোন প্রিন্টারের শেয়ার দিতে চাইলে PrinterShare থেকে কাঙ্খিত প্রিন্টার নির্বাচন করে Share বাটনে ক্লিক করুন।
প্রিন্টার যোগ করা: আপনি কোন রিমোট প্রিন্টার যুক্ত করতে চাইলে PrinterShare থেকে Find Printer বাটনে ক্লিক করুন। এবার User ID তে কাঙ্খিত আইডি লিখে Find বাটনে ক্লিক করে সার্চ করুন। আপনি অন্যভাবেও সার্চ করতে পারেন। এবার কাঙ্খিত প্রিন্টারটি নির্বাচন করে Ok করুন। আপনার যুক্ত করা প্রিন্টার অনলাইন বা অফলাইন আছে তার স্ট্যাটাস দেখা যাবে।
প্রিন্ট করা: কোন ফাইল প্রিন্ট করতে হলে স্বাভাবকিভাব প্রিন্ট কমান্ড দিন এবং প্রিন্ট ডায়ালগ বক্স থেকে PrinterShare প্রিন্টারটি নির্বাচন করে Ok করুন। এবার PrinterShare@ Select Printer ডায়ালগ বক্স থেকে পছন্দের প্রিন্টার নির্বাচন করে Ok করলে প্রিন্ট হবে।


পাসওয়ার্ড দেখার সফটওয়্যার

বিভিন্ন সফটওয়্যারে বা অনলাইনে আমরা যে পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকি তা স্টার (*) বা ● হিসাবে দেখা যায়। ফলে আপনার টাইপ করা পাসওয়ার্ডের লেখা (টেক্সট) দেখা যায় না। কোন কারণে আপনি যদি পাসওয়ার্ড দেখতে চান তাহলে পাসওয়ার্ড ভিউয়ার সফটওয়্যারের সাহায্যে দেখতে পারেন। ১১৩ কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি http://www.itsamples.com/software/pwv.html সাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। এবার জিপ ফাইলটি আনজিপ করে PwViewer রান করে হাতের উপরে মাউস ধরে উপরের টারগেটটি যেকোন পাসওয়ার্ডের উপরে নিয়ে গেলে পাসওয়ার্ডটির লেখা (টেক্সট) দেখাবে।


গেমগুলোকে পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করে রাখুন

কম্পিউটারে গেম খেলার নেশা শিশুদেরতো রয়েছে এমনকি বড়দেরও আছে। বাসার কম্পিউটার হলে অন্যদেরকে গেম খেলা থেকে রিবত রাখা বেশ কষ্টকর। কিন্তু আপনার অনুপস্থিতিতে কেউ যাতে গেমগুলো চালু করতে না পারে এবং চালু করতে গেলে পাসওয়ার্ড দরকার হয় তাহলে কেমন হতো! Game Protector সফটওয়্যার দ্বারা সহজেই যেকোন গেমের মূল চালক ফাইল পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করে রাখা যাবে ফলে গেমটি চালাতে গেলেই পাসওয়ার্ড চাইবে। এভাবে গেমের চালক ফাইল ছাড়াও অনান্য এ্যাপলিকেশনও পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করা যাবে। পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করলে অবশ্য একই ফোল্ডারে উক্ত এ্যাপলিকেশনর ব্যাকআপ তৈরী হয়। মাত্র ৩.৯৫ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যাটি www.gameprotector.com থেকে ডাউনলোড করা যাবে।



পাসওয়ার্ড দিন যেকোন এ্যাপলিকেশনে

একটি কম্পিউটারে একাধিক ব্যবহারকারী থাকলে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা স্বাভাবিক| আপনি যদি চান আপনার গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারটি (এ্যাপলিকেশন) আপনি ছাড়া অন্য কেউ খুলতে পারবে না তাহলে সেটা অন্য ব্যবহারকারীদের জন্য নিষিদ্ধ বা ব্লক করা বেশ কষ্টকর। কিন্তু আপনি এ্যামপেথি সফটওয়্যার দ্বারা যেকোন এ্যাপলিকেশন পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করতে পারবেন। মাত্র কয়েক কিলোবাইটের এই সফটওয়্যারটি www.migeel.sk থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবার সফটওয়্যারটি চালু করে … (ব্রাউজ) বাটনে ক্লিক করে যে এ্যাপলিকেশন পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করতে চাচ্ছেন সেটি খুলুন। এবার নিচে দুইবার পাসওয়ার্ড দিয়ে Protect বাটনে ক্লিক করলে এ্যাপলিকেশনটি পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট হবে। এখন থেকে উক্ত এ্যাপলিকেশনটি চালু করতে গেলে পাসওয়ার্ড চাইবে, পাসওয়ার্ড ছাড়া সফটওয়্যারটি চালু করা যাবে না। এ্যাপলিকেশনটি আনপ্রোটেক্ট করতে চাইলে এ্যামপেথি সফটওয়্যারটি চালু করে একই ভাবে পাসওয়ার্ড দিয়ে Unprotect বাটনে ক্লিক করলেই হবে। ফ্রি এই সফওয়্যারটি উইন্ডোজের সকল সংস্করণে চলবে।

বিনা ভিসাতে বিদেশ ভ্রমন

শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকে ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন। ভাবছেন এটাও কি সম্ভব! জি, বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে যেতে ভিসার প্রয়োজন নেই, শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকলেই হবে। আর এমন কিছু দেশ আছে যেখানে ল্যান্ড করার পরে এয়ারপোর্ট থেকে (on arrival) ভিসা পাওয়া যায়, তবে কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে অবশ্য ফি দিতে হয়।
ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে এবং অবস্থান করা যাবে এমন দেশগুলো হচ্ছে এশিয়া মাহাদেশের মধ্যে ভুটান (যত দিন ইচ্ছা), শ্রীলংকা (৩০ দিন), দ: কোরিয়া (৯০ দিন), আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে কেনিয়া (৩ মাস), মালাউই (৯০ দিন), সেশেল (১ মাস), আমেরিকা মাহাদেশের মধ্যে ডোমিনিকা (২১ দিন), হাইতি (৩ মাস), গ্রানাডা (৩ মাস), সেন্ট কিট্‌স এ্যান্ড নেভিস (৩ মাস), সেন্ড ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাউন দ্বীপপুঞ্জ (১ মাস), টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (৩০ দিন), মন্টসের্রাট (৩ মাস), ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপমালা (৩০ দিন), ওশেনিয়া মাহাদেশের মধ্যে ফিজি (৬ মাস), কুক দ্বীপপুঞ্জ (৩১ দিন), নাউরু (৩০ দিন), পালাউ (৩০ দিন), সামোয়া (৬০ দিন), টুভালু (১ মাস), নুউ (৩০ দিন), ভানুয়াটু (৩০ দিন) এবং মাক্রোনেশিয়া তিলপারাষ্ট্র (৩০ দিন) অন্যতম।
এছাড়াও যেসব দেশে প্রবেশের সময় (on arrival) ভিসা পাওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে এশিয়ার মধ্যে আজারবাইজান (৩০ দিন, ফি ১০০ ডলার), জর্জিয়া (৩ মাস), লাউস (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার), মালদ্বীপ(৩০ দিন), মাকাউ (৩০ দিন), নেপাল (৬০ দিন, ফি ৩০ ডলার), সিরিয়া (১৫ দিন), পূর্ব তিমুর (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার), আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে বুরুন্ডি, কেপ ভার্দ, কোমোরোস, জিবুতি (১ মাস, ফি ৫০০ জিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক), মাদাগাস্কার (৯০ দিন, ফ্রি ১,৪০,০০০ এমজিএ), মোজাম্বিক (৩০ দিন, ফি ২৫ ডলার), টোগো (৭ দিন, ফি ৩৫,০০০ এক্সডিএফ) এবং উগান্ডা (৩ মাস, ফি ৩০ ডলার)।
ফ্লাইট, টিকিট, হোটেল ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে http://travel.yahoo.com,
www.farecompare.com, www.airfare.com এসব ওয়েবসাইট থেকে।
তবে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট রওনা হবার সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী অফিসার ভিসা নেই বা আপনার সমস্যা হবে এই মর্মে হয়রানি করতে পারে টু-পাই কামানোর জন্য। কেউ এসব দেশে বেড়াতে যেতে চাইলে টিকিট কেনার সময় আরো তথ্য জেনে নিতে পারেন।


হিরেন বুট সিডি: গোস্ট দ্বারা কয়েক মিনিটে উইন্ডোজ ইনস্টল

নরটন গোস্ট দ্বারা সহজেই উইন্ডোজসহ অনান্য সফটওয়্যার ইনস্টল করা যায় মাত্র করেক মিনিটে। এজন্য গোস্টের সফটওয়্যার প্রয়োজন। হিরেন বুট সিডিতে নরটন গোস্টসহ মিনি এক্সপি থাকাতে সহজেই (গ্রাফিক্যাল মুডে) এই কাজটি করা যায়।
প্রথমে কম্পিউটারে (C: ড্রাইভে) উইন্ডোজ ইনস্টল দিন এবং উইন্ডোজ চালু করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে দরকারী সকল সফটওয়্যার ইনস্টল করুন। এবার হিরেন বুট সিডি কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে রিস্টার্ট করুন। বুট মেনু আসলে থেকে Mini XP নির্বাচন করে এন্টার চাপুন তাহলে মিনি এক্সপি লোড হবে।
ডেক্সটপ থেকে HBCD Menu চালু করে Menu থেকে Backup>Ghost 32* চালু করুন। কোন সতর্ক বার্তা আসলে OK করে About বার্তাতেও Ok করতে হবে। তাহলে নরটন গোস্ট চালু হবে।
ইমেজ তৈরী করতে নরটন গোস্টের মেনু থেকে Local>Partition>To Image নির্বাচন করে Ok করুন। এখন যে ড্রাইভের (C:) ইমেজ তৈরী করতে চান সেটি নির্বাচন করে Ok করুন এবং অন্য একটি ড্রাইভে নাম লিখে সেভ করুন। এখন ফাইলটি কমেপ্রস সংক্রান্ত (No | Fast | High) ম্যাসেজ আসবে (এখানে No করলে কমেপ্রস হবে না কিন্তু কম সময় লাগবে, Fast করলে দ্রত কম্পেস হবে এবং কিছুটা ধীর গতিতে কাজ করবে এবং High করলে অধিকতর কমেপ্রস হবে এবং বেশী ধীর গতি হবে )। এরপরে Proceed ম্যাসেজে YES করলে কপি শুরু হবে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে কপি সম্পন্ন হবে।
যে কম্পিউটারে উইন্ডোজ ইনস্টল করতে (ইমেজ রিস্টোর করতে) চান সেই কম্পিউটার হিরেন বুট সিডি দ্বারা চালু Mini XP চালু করুন। প্রয়োজনে মিনি এক্সপি থেকে সি ড্রাইভ ফরম্যাট করে নিতে পারেন।
এবার ডেক্সটপ থেকে HBCD Menu দ্বারা Ghost 32* চালু করে নরটন গোস্টের মেনু থেকে Local>Partition>From Image নির্বাচন করে Ok করুন। এখন ডিক্স নির্বাচন করে যে পার্টিশনে (C:) ইনস্টল করতে চান সেটি নির্বাচন করে Ok করুন। এরপরে Proceed ম্যাসেজে YES করলে কপি শুরু হবে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে উইন্ডোজ কপি সম্পন্ন হবে।
অবশেষে কম্পিউটার রিস্টার্ট করে সিডি বের করুন এবং উইন্ডোজ ব্যবহার করুন। উইন্ডোজে অধিক সফটওয়্যার ইনস্টল করলে ইমেজ ফাইলটির সাইজ বেশী হবে। যে কম্পিউটারে ইমেজ রিস্টোর করবেন সেই কম্পিউটারের ড্রাইভের সাইজ লক্ষ্য রাখা উচিত। সি ড্রাইভ ইমেজ করে উক্ত ইমেজ নতুন কম্পিউটারে সি ড্রাইভে রিস্টোর না করলে উইন্ডোজ বুট হবে না। কারণ বুট ফাইল সি ড্রাইভের। সেক্ষেত্রে ম্যানুয়ালী বুট ফাইল পরিবর্তন করতে হবে।
হিরেন বুট সিডির (১০.১ সংস্করণের) ডাউনলোড লিংক সহ বিস্তারিত পাবেন www.shamokaldarpon.com/?p=1964 এখানে।

হিরেন বুট সিডি ১০.১ : একের ভিতরে সব

হিরেন বুট একটি জনপ্রিয় লাইভ সিডি। ৯.৯ সংস্করণ থেকে এতে যুক্ত হয়েছে উইন্ডোজ মিনি। ফলে এক সিডি দ্বারা উইন্ডোজের প্রায় সকল সমস্যার সমাধানের পাশপাশি লাইভ এক্সপিও ব্যবহার করা যাবে। এতে ২৩টি শ্রেণীতে ২০০টির মত টুলস রয়েছে। শ্রেণীগুলো হচ্ছে পার্টিশন টুলস (১৪টি), ব্যাপআপ টুলস (১৬টি), রিকভারী টুলস (১৫টি), টেস্টিং টুলস (৯টি), র‌্যাম (মেমরী) টেস্টিং টুলস (৪টি), হার্ডডিক্স টুলস (১৪টি), সিস্টেম ইনফোরমেশন টুলস (১৬টি), এমবিআর (মাস্টার বুট রেকর্ড) টুলস (১০টি), বায়োস/সিমস টুলস (৮টি), মাল্টিমিডিয়া টুলস (৩টি), পাসওয়ার্ড টুলস (১৬টি), এনটিএফএস (ফাইল সিস্টেম) টুলস (৫টি), ব্রাউজার / ফাইল ম্যানেজার (১০টি), অনান্য টুলস (৭টি), ডস টুলস (৯টিরও বেশী), ক্লিনার্স (৩টি), অপটিমাইজার (৪টি), নেটওয়ার্ক টুলস (৫টি), প্রোসেস টুলস (৭টি), রেজিস্ট্‌্ির টুলস (৩টি), স্টার্টআপ টুলস (৫টি), টোয়ীকারস (৮টি) এবং এন্টিভাইরাস টুলস (৯টি)।
সিডিটিতে রাইট করার উপযোগী ১৯৪ মেগাবাইটের ১০.১ সংস্করণের ISO ফরম্যাটের ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারবেন www.hirensbootcd.net এখান থেকে। আর ২০০টি টুলসের মধ্যে Acronis দ্বারা সল্প সময়ে উইন্ডোজ ইনস্টল দেবার পদ্ধতি পাবেন www.shamokaldarpon.com/?p=790 এখানে।


কয়েক মিনিটে উইন্ডোজ ইনষ্টল করুন

অনেক কারনেই আমাদের উইন্ডোজ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কয়েক ঘন্টা ব্যায় করে উইন্ডোজ এবং অনান্য এ্যাপলিকেশন প্রোগ্রাম ইনষ্টল করতে হয়। কিন্তু কয়েক মিনিটেই যদি উইন্ডোজসহ সকল এ্যাপলিকেশন ইনষ্টল করা যায় তাহলে কেমন হয়! হিরেন বুট সিডি দ্বারা আপনি কয়েক মিনিটেই উইন্ডোজসহ উক্ত ড্রাাইভে ইনষ্টল করা সকল এ্যাপলিকেশন ইনষ্টল করতে পারেন। এজন্য উইন্ডোজের ড্রাইভ ইমেজ করে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে তা রিস্টোর করলেই হবে। ৯৫-১৭৭ মেগাবাইটের ফ্রি সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে আনজিপ করে সিডিতে রাইট করুন। আর হিরেন বুট সিডির বিস্তারিত তথ্য (সকল দরকারি টুলসের বর্ণনা) পাওয়া যাবে www.hiren.info/pages/bootcd এই সাইটে।
ইমেজ তৈরী করা: এখন একটি ড্রাইভে নতুন করে উইন্ডোজ ইনষ্টল করুন এবং দরকারী সকল এ্যাপলিকেশন, ড্রাইভার ইনষ্টল করুন (পূর্বে ইনষ্টল করা থাকলেও হবে)। এরপরে এবার সিডিটি প্রবেশ করিয়ে সিডি থেকে বুট করুন। তাহলে Hiren’s All in 1 BootCD আসবে যেখানে কীবোর্ড দ্বারা Disk Clone Tools… নির্বাচন করে এন্টার করুন। পরবর্তী স্ক্রিন থেকে Acronics Image Enterprise Server নির্বাচন করে এন্টার করলে কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রফিক্যাল মুডে Acronics Image Enterprise Server উইন্ডো আসবে, যেখানে মাউস ব্যবহার করা যাবে।
এবার Create Image এ ক্লিক করে Next করুন তাহলে হার্ডড্রাইভগুলো দেখা যাবে। ধরি C: ড্রাইভে উইন্ডোজ ইনষ্টল করা আছে এবং আপনি C: ড্রাইভ ইমেজ করতে চাচ্ছেন। তাহলে C: ড্রাইভ নির্বাচন করে Next করুন এবং Information মাসেজ আসলে Ok করুন। এবার যে ড্রাইভে ইমেজটি সেভ করতে চাচ্ছেন সেই ড্রাইভ নির্বাচন করে ফাইলের নাম লিখে Next করুন। এখন Create Image Mode উইন্ডো থেকে Create the full backup Image Archive অপশন নির্বাচিত রেখে Next করুন এবং Image Archive Splitting উইন্ডোতে Automatic অপশন রেখে Next করুন এবং Compression Level উইন্ডোতে এ Maximum (এতে ইমেজের সাইজ কমে যাবে কিন্তু তৈরী এবং ইনষ্টল করতে একটু বেশী সময় লাগবে, আর Normal নির্বাচন করলে ইমেজ সাইজ বড় হবে এবং সময় কম লাগবে।) নির্বাচন করে Next করুন। এরপরে Image Archive protection এ ইচ্ছা করলে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। এবার Next করে Image Archive Comments Next করুন। এখন Proceed বাটনে ক্লিক করলে ইমেজ তৈরী হবে।
ইমেজ রিস্টোর করা: যখন আপনার উইন্ডোজ ইনষ্টল করার প্রয়োজন হবে তখন এই ইমেজটি রিস্টোর করে দিলেই হবে। আপনি যে ড্রাইভে ইনষ্টল করবেন সেই ড্রাইভ ফরম্যাট করতে হিরেন বুট সিডি থেকে Partition Tool থেকে Partition Magic Pro 8.05 এর মাধ্যমে ড্রাইভটিকে ফরম্যাট করতে পারেন।
ইমেজটি রিস্টোর করার জন্য পূর্বের নিয়মে গ্রফিক্যাল মুডে Acronics Image Enterprise Server উইন্ডো আনুন। এবার Restore Image এ ক্লিক করে Next করুন এবং Image Archive Selection উইন্ডো থেকে আপনার তৈরী করা ইমেজ নির্বাচন করে Next করুন। এবার Verify Archive Before The Restoring উইন্ডো থেকে No. I do not want to verify নির্বাচিত রেখে Next করে Partition or Disk to Restore থেকে Disk নির্বাচন করে Next করুন। এবার যে ড্রাইভে উইন্ডোজ ইনষ্টল করতে চান সেই ড্রাইভ নির্বাচন করে Restore Partition Type উইন্ডো থেকে পার্টিশন (সি ড্রাইভ হলে প্রাইমারী, আর অনান্য ড্রাইভ হলে লজিক্যাল) নির্বাচন করে Next করুন এবং Restore Partition Size উইন্ডো থেকে ডিফল্ট রেখে Next করুন। এবার Next Selection এ No I do not image করে Proceed বাটনে ক্লিক করলে নির্দিষ্ট ড্রাইভে কয়েক মিনিটের মধ্যে সবকিছু হুবহু রিস্টোর হয়ে যাবে।
এবার নতুন উইন্ডোজটি চালু করে দেখুন সকল এ্যাপলিকেশন প্রোগ্রাম ইনষ্টল অবস্থায় আছে।
সকল সংস্করণ পাবেন এখানে www.hirensbootcd.net বা www.givemesolution.org
9.9 Version (177 MB)
Download Link #1
Download Link #2
Download Link #3
Download Link #4
Download Link #5
Download Link #6
Download Link #7
Download Link #8
Download Link #9

ভিসতার মত করুন উইন্ডোজ এক্সপিকে

vistamizer.jpgমাইক্রোসফটের বহুল প্রতিক্ষিত অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ভিসতা পেয়ে ব্যবহারকারী বেশ হতাশ হয়েছে তার প্রধান বড় কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত হার্ডওয়্যারের চাহিদা। গ্রাফ্রিক্স অন্যান্য সুবিধার দিক থেকে ভিসতা অবশ্যয় এক্সপি থেকে ভাল কিন্তু চাহিদাও তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশী। ফলে বেশীরভাগ এক্সপি ব্যবহারকারী ভিসতা ব্যবহার করতে পারছে না। তবে এক্সপি ব্যবহারকারীরা চাইলে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারে, অর্থাৎ এক্সপিকে ভিসতার মত করতে পারে VistaMizer সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে। ২২ মেগাবাইটের সফটওয়্যারটি www.public.sytes.net/hoefs/windows/vistamizer.php ওয়েব সাইট (বিটটরেন্ট) থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ইনষ্টল করলে উইন্ডোজ এক্সপির প্রায় ৪০০টির (আইকন, গ্রাফিক্স এবং অনান্য সিস্টেম ফাইল) মত ফাইল পরিবর্তন করবে। এর ফলে উইন্ডোজ ভিসতার অনেক ফিচারই পাওয়া যাবে এক্সপিতে। দেখতে অবিকল ভিসতার মত।
অনান্য ডাউনেলোড লিংক:
http://vistamizer.uptodown.com/en
http://vistamizer.en.softonic.com
www.soft32.com/download_205350.html


হিরেন বুট সিডি: উইন্ডোজের পাসওয়ার্ড উদ্ধার

উইন্ডোজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে হিরেন বুট সিডির জুড়ি নেই। হিরেন বুট সিডির প্রায় ২০০টির মত টুলসের মধ্যে পাসওয়ার্ড রিকভার অন্যতম। হিরেন বুট সিডির এই টুলস দ্বারা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের যে কোন ইউজারের পাসওয়ার্ড মুছে ফেলা করা যায়।
এজন্য প্রথমে হিরেন বুট সিডি কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে চালু করুন। তাহলে হিরেন বুট মেনু আসবে। ধাপ ১: Start Hiren’s BootCD নির্বাচন করে এন্টার করুন তাহলে হিরেন বুট সিডি চালু হবে।
ধাপ ২: Password & Recovery Tools… নির্বাচন করে এন্টার করুন।
ধাপ ৩: Active Password Change XP+ নির্বাচন করে এন্টার করুন এবং কোন ওয়ার্নিং ম্যাসেজ আসলে YES করুন।
ধাপ ৪: MS SAM (পাসওয়ার্ড ডেটাবেস) ফাইল খুঁজে বেড় করতে ২ চাপুন (অথবা Logical Drive জানা থাকলে ১ চেপে নির্বাচন করেও খোঁজা যায়), তাহলে SAM (পাসওয়ার্ড ডেটাবেস) ফাইল খুঁজে পাওয়া যাবে। কম্পিউটারে একাধিক উইন্ডোজ ইনস্টল দেওয়া থাকলে একাধিক ড্রাইভের SAM ফাইল লোকেশন আসবে। এবার নির্বাচন করে এন্টার করুন তাহলে উক্ত উইন্ডোজের সকল ইউজার দেখা যাবে।
ধাপ ৫: যে ইউজারের পাসওয়ার্ড মুছে ফেলতে চান সেটি (নম্বর) নির্বাচন করে এন্টার করুন।
ধাপ ৬: নিচের Clear this User’s Password নির্বাচন করে কীবোর্ড থেকে Y চাপুন। তাহলে পাসওয়ার্ড মুছে যাবে এবং নিচে নিশ্চিতকরন ম্যাসেজ আসবে।
ধাপ ৭: Esc চেপে বেড় হয়ে আসুন এবং Restart লিখে এন্টার করে কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।
এবার উইন্ডোজে লগইন করার সময় উক্ত ইউজার পাসওয়ার্ড ছাড়ায় লগইন হবে।
সফটওয়্যারটির ডাউনলোড লিংকসহ আরো তথ্য পাবেন www.shamokaldarpon.com/?p=1964 এখানে।



এ্যাডমিনিষ্ট্রেটরের পাসওয়ার্ড খোলা

সাধারণত বাসার কম্পিউটারে একাধিক ইউজার থাকে ফলে লিমিটেড ইউজার ব্যবহার করতে হয় নিরাপত্তার জন্য। লিমিটেড ইউজারে কোন সফটওয়্যার যেমন ইনষ্টল করা যায় না তেমনই অনেককিছুই পরিবর্তন করা যায় না। যদি কোন কারণে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ এর পাসওয়ার্ড ভুলে যান তাহলে সেক্ষেত্রে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। হয়তোবা নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল কারারও প্রয়োজন হতে পারে। এমতবস্থায় আপনি যদি লিমিটেড ইউজার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সহজেই লিমিটেড ইউজারের মাধ্যমে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে বা নতুন ইউজার খুলতে অথবা বর্তমান লিমিটেড ইউজারকে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য কমান্ড প্রোম্পট খুলে (রানে গিয়ে Crtl+R চেপে cmd লিখে এন্টার করলে) নিজের পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
cd\ লিখে এন্টার করুন,
c: লিখে এন্টার করুন,
cd windows\system32 লিখে এন্টার করুন,
copy logon.scr logon.old লিখে এন্টার করুন,
copy cmd.exe logon.scr লিখে এন্টার করুন,
এছাড়াও সরাসরি উইন্ডোজের সিস্টেম৩২ ফোল্ডারে ঢুকে logon.scr ফাইলকে যেকোন নামে রিনেম করে আবার cmd.exe ফাইলকে logon.scr নামে রিনেম করতে পারেন। এবার কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন এবং কম্পিউটার লগঅন না করে অপেক্ষা করুন তাহলে নির্দিষ্ট সময় পরে স্ক্রিনসেভারের ওয়েট টাইম) স্ক্রিনসেভারের পরিবর্তে কমান্ড প্রোম্পট খুলবে। যদি এই পদ্ধতিতে কমান্ড প্রোম্পট না খোলে তাহলে বিকল্প হিসাবে কমান্ড প্রোম্পট খুলে নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
cd\ লিখে এন্টার করুন,
c: লিখে এন্টার করুন,
cd windows\system32 লিখে এন্টার করুন,
copy sethc.exe sethc.old লিখে এন্টার করুন,
copy cmd.exe sethc.exe লিখে এন্টার করুন,
এছাড়াও সরাসরি উইন্ডোজের সিস্টেম৩২ ফোল্ডারে ঢুকে sethc.exe ফাইলকে রিনেম করে আবার cmd.exe ফাইলকে sethc.exe নামে রিনেম করুন। এবার কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন এবং কম্পিউটার লগঅন না করে শিফট (Shift) কী পাঁচবার চাপুন তাহলে কমান্ড প্রোম্পট খুলবে।
এখন এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে net user administrator 2007 লিখুন তাহলে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন হয়ে ২০০৭ হয়ে যাবে। আর আপনি যদি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করে নতুন ইউজার খুলতে চান তাহলে net user mehdi /add লিখে এন্টার করুন তাহলে mehdi নামে নতুন একটি ইউজার তৈরী হবে। এবার mehdi ইউজারকে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ হিসাবে ব্যবহার করতে হলে net localgroup administrator mehdi /add লিখুন এবং এন্টার করুন। তাহলে আপনার বর্তমান ইউজার (mehdi) এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। একইভাবে বর্তমান ব্যবহার করা যে কোন লিমিটেড ইউজারকে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।

সহজেই উইন্ডোজের পাসওয়ার্ড হ্যাক করা

উইন্ডোজের পাসওয়ার্ড হ্যাক করা নিয়ে এর আগেও দুটা পোস্ট করেছি। তবে এটাই সবচেয়ে কার্যকর এবং সহজ পদ্ধতি।
হ্যাকিং করতে হলে আপনার লাইভ অপারেটিং সিস্টেম দরকার হবে।
আপনি XP Live CD বা Slax Live CD দ্বারা কম্পিউটার বুট করুন।
এবার সরাসরি যে ড্রাইভে উইন্ডোজ ইনস্টল করা আছে সেই ড্রাইভের উইন্ডোজের সিস্টেম৩২ ফোল্ডারে ঢুকে sethc.exe ফাইলকে রিনেম করে sethcold.exe করুন। এবার cmd.exe ফাইলকে কপি করে sethc.exe নামে রিনেম করুন। এবার কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন লাইভ সিডিটি বের করে আগের উইন্ডোজে ঢুকুন। এবং কম্পিউটার লগঅন স্ক্রিন আসলে শিফট (Shift) কী পাঁচবার চাপুন তাহলে কমান্ড প্রোম্পট খুলবে।
এখন এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে net user administrator 2007 লিখুন তাহলে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন হয়ে 2007 হয়ে যাবে।
আর আপনি যদি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন না করে নতুন ইউজার খুলতে চান তাহলে net user mehdi /add লিখে এন্টার করুন তাহলে mehdi নামে নতুন একটি ইউজার তৈরী হবে।
এবার mehdi ইউজারকে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর হিসাবে ব্যবহার করতে হলে net localgroup administrator mehdi /add লিখুন এবং এন্টার করুন। তাহলে আপনার বর্তমান ইউজার (mehdi) এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।
একইভাবে বর্তমান ব্যবহার করা যে কোন লিমিটেড ইউজারকে এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।


পাসওয়ার্ড খোঁজার সফটওয়্যার

আমরা নিরাপত্তার জন্য কম্পিউটারের বিভিন্ন ফরমেটের ফাইলে পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকি। কিন্তু অনেক সময় আমরা তা ভুলে যায়। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও তা উদ্ধার করার সফটওয়্যার আছে। এডভান্সট পাসওয়ার্ড রিকভারী সফটওয়্যার দ্বারা যেকোন রকমের পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা যায়, তবে প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা প্যাকে ইনষ্টল করতে হবে। যেসকল প্রোগ্রামের পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা যাবে সেগুলো হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিস ২০০৩ এর পূর্ব পর্যন্ত, প্রোজেক্ট, মানি, পাবলিশার, ভিসিও, ওয়াননোট, ব্যাকআপ, সিডিউল+, মেইল, ইন্টারনেট এক্সপ্লোয়ার ৩/৪/৫, ভিবিএ প্রোজেক্ট, লোটাস ১-২-৩, ওয়ার্ড প্রো, কোরেল ড্র, ওয়ার্ড পারফেক্ট, প্যারাডক্স, কুইক বুকস, এক্রোবেট এবং উইন্ডোজ। সফটওয়্যারটি উইন্ডোজের যেকোন ভার্সনে ইনষ্টল করা যাবে। সফটওয়্যারটির নিজস্ব ওয়েবসাইট www.elcomsoft.com থেকে সফটওয়্যারের ট্রাইল ভার্সন ডাউনলোড করে ইনষ্টল করে ব্যবহার করা যাবে কিন্তু এই ট্রাইল ভার্সন ৪ (চার) সংখ্যার বেশী পাসওয়ার্ড উদ্ধার করতে পারে না। সেক্ষেত্রে সফটওয়্যারের সম্পূর্ণ সুবিধা পেতে হলে সফটওয়্যারটি কিনতে হবে।

লুকিয়ে রাখুন গুরুত্বপূর্ণ ফোল্ডার

আপনার কম্পিউটারের ব্যবহারকারী যদি একাধিক হয় তাহলে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফোল্ডারগুলো লুকিয়ে রাখার প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণত ফোল্ডার অপশনের মাধ্যমে আমরা ফোল্ডারগুলোকে লুকিয়ে রাখি। কিন্তু অন্যেরা ফোল্ডার অপশনের সাহায্যে আপনার ফোল্ডার দেখতে বা ফোল্ডার তথ্য কপি করতে পারে। ইন্টারনেট থেকে হয়তো আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ইনষ্টল করে ব্যবহার করেছেন কিন্তু এসব সফটওয়্যার ডেমো বা ট্রাইল ফলে কিছু দিন পরে তা ব্যবহার যোগ্য থাকে না। এমতবস্থায় ‌‘ফ্রি হাইড ফোল্ডার’ সফটওয়্যারটি www.cleanersoft.com ওয়েব সাইট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করার পরে পাসওয়ার্ড চাইবে তখন পাসওয়ার্ড দিন এবং Add বাটনে ক্লিক করে যে ফোল্ডার লুকাতে চান তা নির্বাচন করে ওকে করুন। ব্যাস আর উক্ত ফোল্ডার দেখা যাবে না। সফটওয়্যারে পাসওয়ার্ড থাকার ফলে অন্য কেউ পাসওয়ার্ড ছাড়া সফটওয়্যারটি খুলে ফোল্ডারগুলো আনহাইড করতে পারবে না। এছাড়াও পাসওয়ার্ড ছাড়া সফটওয়্যারটি আনইনষ্টলও করতে পারবে না।



৬ মাস ফ্রি ব্যাবহার করুন ক্যাসপারস্কাই এন্টিভাইরাসটি ২০০৯

বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা ভাইরাসের অত্যাচারে বেশ নাকাল। ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন এন্টিভাইরাস ইনস্টল করে থাকে। এর মধ্যে ক্যাসপারস্কাই বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু ক্যাসপারস্কাই এর কোন ফ্রি সংস্করণ নেই তবে ১ মাসের ট্রাইল হিসাবে ব্যবহার করা যায়। সমপ্রতি চীনা একটা সাইট ১ মার্চ ২০০৯ পর্যন্ত ৬ মাসের ট্রায়াল হিসাবে ব্যবহার করার জন্য একটিভিশন কোড দিচ্ছে।আপনি চাইলে নিচের পদ্ধতিতে ৬ মাসের ট্রায়াল সংস্করণের কোড দ্বারা ক্যাসপারস্কাই এন্টিভাইরাসটি ২০০৯ চালাতে পারেন।

এজন্য http://li.kaba365.com সাইটে যান। চীনা ভাষার এই সাইটে দুটি ছোট এবং একটি বড় টেক্সট বক্স দেখতে পাবেন। এটার দুটি বক্সে আপনার ইমেইল ঠিকানা লিখুন (বড় টেক্সট বক্সটি ফাকাঁ রাখতে পারেন) এবং পাশের বাটনটিতে ক্লিক করুন অথবা এন্টার কী চাপুন।

এবার পরবর্তী পেজের টেক্সট বক্সে ডানের ৫ ডিজিটের নম্বর লিখে বামের বাটনে ক্লিক করুন

নতুন ম্যাসেজ বক্স ক্যানসেল করুন।

ব্যাস এবার ইমেইল চেক করে দেখুন noreply@pcstars.com.cn ঠিকানা থেকে ২০ ডিজিটের একটিভিশন কোড সম্বলিত একটি মেইল এসেছ।
এবার www.kaspersky.com/kav_latest_versions ঠিকানা থেকে ক্যাসপারস্কাই এন্টিভাইরাসটি ২০০৯ ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। ইনস্টল করার সময়ে একটিভিশন উইন্ডোজে Activate later বাটনে ক্লিক করুন এবং Finish বাটনে ক্লিক করলে কম্পিউটার রিস্টার্ট হবে। একবার ট্রায়াল সংস্করণ হিসাবে একটিভ করলে এই কী কাজ করবে না।

এবার স্ট্যাটাসবারের ক্যাসপারস্কাই আইকনের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Settings এ ক্লিক করুন।

Settings উইন্ডোর বাম পাশের Options নির্বাচন করে ডানের Enable Self-Defense আনচেক করুন এবং Ok করে করুন।

এখন স্ট্যাটাসবারের ক্যাসপারস্কাই আইকনের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Exit করুন।

এখন C:\Program Files\Kaspersky Lab\Kaspersky Anti-Virus 2009\Skin\loc যান (যদি C: ড্রাইভে ইনস্টল করেছেন)। এখানে en নামের ফোল্ডারটি পরিবর্তন করে sch করুন।

এবার রেজিস্ট্রি এডিটর (Start > Run গিয়ে regedit লিখে OK করলে) খুলে HKEY_LOCAL_MACHINE\SOFTWARE\KasperskyLab\protected\AVP8\environment এ যান। এখানে Localization এর ভ্যালু en আছে যা পরিবর্তন করে sch করুন এবং রেজিস্ট্রি এডিটর বন্ধ করুন।

এবার Start Menu\Programs\Kaspersky Antivirus 2009 থেকে ক্যাসপারস্কাই এন্টিভাইরাসটি ২০০৯ চালু করুন। এবং Activate online নির্বাচন করে ইমেইলে পাওয়া কোড লিখে Next করুন।

এবার ফরমে আপনার ইমেইল ঠিকানা, দেশ এবং সিটি লিখে Continue করুন। তাহলে আপনার ইমেইলে ইউজার এবং পাসওয়ার্ড আসবে যা ভবিষ্যতে এই কম্পিটারে পূনরাই ইনস্টল করার জন্য প্রয়োজন হবে। এখন উপভোগ করুন ৬ মাসের ট্রায়াল ক্যাসপারস্কাই এন্টিভাইরাস ২০০৯। সবশেষে বাটনে Finish ক্লিক করে ডেটাবেসটি আপডেট করুন।


নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা ছাড়ায় মেইল করা

যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের প্রায় সকলেরই ইমেইল ঠিকানা রয়েছে। তারপরেও যাদের নিজস্ব কোন ইমেইল নেই বা বিশেষ কারণে ইমেইল খুলতে চাচ্ছেন না বা যাকে ইমেইল করবেন তাকে আপনার ইমেইল ঠিকানা দিতে চাচ্ছেন না এক্ষেত্রে আপনি ইমেইল না খুলেও ওয়েব সাইট থেকেও দ্রুত অন্যকে ইমেইল করতে পারবেন। এজন্য www.note2email.com সাইটে ঢুকে ফরমের Email Address এ প্রাপকের ইমেইল ঠিকানা, Title এ ইমেইলের বিষয়, Note এ মূল মেইল লিখে নিচের যেকোন একটি লগো নির্বাচন করে send it বাটনে ক্লিক করুন তাহলে সরাসরি প্রাপকের কাছে ইমেইল যাবে। এক্ষেত্রে প্রাপক এর কাছে প্রেরক হিসাবে note@note2email.com ঠিকানা দেখাবে। এছাড়াও এখানে নির্দিষ্ট কী ব্যবহার করে মেইল Encrypt করে পাঠানোর সুবিধা রয়েছে।

আরো দ্রুতগতিতে জিমেইল ব্রাউজ করুন

বর্তমানে জিমেইল বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু কোন কারনে যদি এটা লোড হতে দেরি হয় তাহলে বেশ বিরক্তিকর লাগে। যাদের ইন্টারনেটের গতি কম তারা চাইলে একটু চালাকি করে এবং কিছু সুবিধা বাদ দিয়ে জিমেইল দ্রুত লোড করতে পারেন। এমনই কতক টিপস দেয়া হলো।
১) সাধারণ ভাবে জিমেইল লোড হবার সময় বেশী সময় নিলে Ctrl+F5 চাপুন তাহলে খুবই দ্রুত জিমেইল ইনবক্স চলে আসবে।
২) জিমেইলের সাইটে প্রবেশের জন্য www.gmail.com না লিখে https://mail.google.com/mail লিখে প্রবেশ করুন। তাতে দ্রুত এবং নিরাপদে প্রবেশ করতে পারেন।
৩) যদি জিমেইল HTML মুডে চালু করতে চান তাহলে https://mail.google.com/mail/h লিখে প্রবেশ করুন। তবে স্ট্যান্ডার্ড মুডে পরিবর্তন করতে চাইলে পরে তাও করতে পারবেন।
৪) আপনি চাইলে মোবাইল সংস্করণেও (http://m.gmail.com) প্রবেশ করতে পারেন। কোন রকম বিজ্ঞাপন ছাড়াই মূল বিষয়গুলো এই সংস্কবণে পাবেন।
৫) এছাড়াও জিমেইল যদি ব্রাউজার চেক করে তাহলে তা বাদ নিতে চাইলে https://mail.google.com/gmail?nocheckbrowser লিখে প্রবেশ করুন।
৬) মেইলে প্রবেশের পরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পেজে যেতে হয়। ফলে ৫০/১০০ মেইল লোড হতে গেলে বেশী সময় লাগে। এক্ষেত্রে সর্বনিন্ম ২৫ মেইল দেখার ব্যবস্থা থাকলে খুব দ্রুত লোড হবে ৫০/১০০ এর তুলনায়।
৭) আর Standard Without Chat হিসাবে থাকলে বেশ দ্রুত লোড হবে।


ফায়ারফক্সের গতি বাড়িয়ে নিন

জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্সের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে নতুন নতুন বিভিন্ন বৈশিষ্ট যোগ করার ব্যবস্থা। মুক্ত এবং ফ্রি এই ব্রাউজারের গতি বাড়িয়ে নিতে ম্যানুয়ালী কিছু কনফিগার করে নিতে পারেন। এজন্য এড্রেসবারে about:config লিখে এন্টার করুন, তাহলে ফায়ারফক্স কনফিগারেশন আসবে।
এখন network.http.pipelining এর মান true দিন (Preference এর উপরে মাউস দ্বারা দুইবার ক্লিক করলেই false থেকে true হবে)। একই ভাবে network.http.proxy.pipelining, network.dns.disableIPv6 এবং plugin.expose_full_path এর মান true নির্ধারণ করুন। এছাড়াও network.http.pipelining.maxrequests এর মান ৪ এর পরিবর্তে ৮ দিন।
এবার nglayout.initialpaint.delay নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন ০। Preference তৈরী করতে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে New এ ক্লিক করুন এবং ডান থেকে String/integer/boolean নির্বাচন করুন, এরপরে Preference এর নাম লিখে Ok করুন এবং পরবর্তি উইন্ডোতে ভ্যালু লিখে বা নির্বাচন করে Ok করুন।
একই ভাবে content.notify.backoffcount নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন ৫, ui.submenuDelay নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন ০, content.max.tokenizing.time নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন 2250000, content.notify.interval নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন 750000, browser.cache.memory.capacity নামে নতুন ইন্টিজার Preference তৈরী করুন এবং মান দিন 65536|
এবার content.interrupt.parsing এবং content.notify.ontimer নামে নতুন বুলিয়েন Preference তৈরী করুন এবং মান true দিন। ব্যাস এবার দেখুন ফায়ারফক্সের গতি আগের তুলনায় বেড়েছে।


ইন্টারনেট ছাড়াই জিমেইল ব্যবহার

ইমেইল ক্লাইন্টের নাম আমরা সবাই শুনেছি অনেকেই আউটলুক, ইউডোরা, থান্ডারবার্ডের মত ইমেইল ক্লাইন্ট ব্যবহার করে থাকেন। মেইল ক্লাইন্টের মাধ্যমে পপ সুবিধা থাকা মেইলগুলো ওয়েব মেইল থেকে ডাউনলোড হয়ে মেইল ক্লাইন্টে চলে আসে ফলে ইন্টারনেট ছাড়াই ইমেইল পড়া এবং লিখে সেভ করে রাখা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মেইল ক্লাইন্টে ওয়েবমেইলগুলো ডাউনলোড হয় ফলে ওয়েবমেইলে তা আর থাকে না, অন্য কোথাও থেকে আর পড়াও যায় না। যদিও জিমেইল পপ সুবিধা সাথে অনলাইনে মেইলের কপি রাখার ব্যবস্থা আছে। ফলে জিমেইল ব্যবহাকারীরা পপ সক্রিয় করে অন্য মেইল ক্লাইন্ট ব্যবহার করলে যে সুবিধা পেয়ে থাকে তাই পাওয়া যাবে জিমেইল অফলাইন দ্বারা। মূলত এটা জিমেইলকে অনলাইনের সাথে অফলাইনের যোগসূত্র তৈরী করে দিয়েছে। অফলাইনে জিমেইল ব্যবহার করতে হলে গুগল গিয়ার ইনস্টল করতে হবে। এজন্য http://gears.google.com থেকে গুগল গিয়ার ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। এবার জিমেইল খুলে সেটিংস থেকে Labs ট্যাবে যান এবং Offline এর Enable অপশন বাটন নির্বাচন করে Save Changes বাটনে ক্লিক করে সেভ করুন। সেভ হবার পরে জিমেইল পুনরাই সক্রিয়ভাবে লোড হবার পরে উপরের ডানে Offline0.2 এ ক্লিক করুন তাহলে Install offline access for Gmail ডায়ালগ বক্স আসবে এখানে Next করুন (যদি Gears Security Warning ডায়ালগ বক্স আসে তাহলে I trust this site চেক করে Allow বাটনে ক্লিক করুন।) এবং কোথায় কোথায় শটকাট নিবেন তা নির্বাচন করে Ok করুন, তাহলে ডাউনলোড (Finishing offline installation এবং পরে Synchronizing…) শুরু হবে। এটি মূলত ইউজারের Local Settings\Application Data এর মধ্যে সেভ হয়। সবশেষে Go into Flaky Connection Mode এ ক্লিক করুন। এরপরে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও তৈরী হওয়া শটকাটে ক্লিক করে অথবা https://mail.google.com/mail সাইটে গিয়ে মেইল পড়তে, লিখে সেভ করতে পারবেন। একই কম্পিউটারে, একই ব্রাউজারে, এভাবে একাধিক ইউজারের তথ্যও অফলাইন করে রাখা যাবে। এমনকি একই একাউন্ট একাধিক কম্পিউটারে অফলাইন করে রাখা যাবে। আর পোর্টেবল ফায়ারফক্সে ব্যবহার করলেতো কথাই নেই, ইচ্ছেমত বহন করা যাবে (সিডিতে রাইট করেও রাখা যাবে) আর অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন বা নতুন করে ইনস্টল করলেও সমস্যা নেই। জিমইেল অফলাইন আপতত উইন্ডোজ (এক্সপি+), ম্যাক এবং লিনাক্সে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার৬+, ফায়ারফক্স ১.৫+, সাফারিতে সর্মথন করবে। এছাড়াও সকল ধরনের তথ্যই জিমেইলের অফিসিয়াল ব্লগ http://gmailblog.blogspot.com থেকে পাওয়া যাবে।


 
ফটোশপেই বানান পছন্দের আইকন

বিভিন্ন প্রয়োজনে আইকন বানানোর প্রয়োজন হয়ইচ্ছামত আইকন বানাতে হলে বিভিন্ন সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হয়কিন্তু জনপ্রিয় ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যার এডোবি ফটোশপ দ্বারা যদি আইকন বানানো যেত তাহলে কেমন হতো! একটি প্লাগইন দ্বারা ফটোশপ থেকেই আইকন বানানো যায়
এজন্য ICO (Windows Icon) Format নামের এই প্লাগইনটি www.telegraphics.com.au/sw/ থেকে ডাউনলোড করে আনজিপ করুনএখন ICOFormat.8BI ফইলটি কপি করে ফটোশপের প্লাগইন ফোল্ডারে থাকা File Formats (C:\Program Files\Adobe\Adobe Photoshop CS3\Plug-Ins\File Formats) ফোল্ডারে পেস্ট করুন
এবার ফটোশপ চালু করে যেকোন ছবি আনুন এবং সম্পাদনা করুনছবিটির সাইজ সর্বোচ্চ ২৫৬X২৫৬ পিক্সেলের হতে হবেএখন File মেনু থেকে Save As যান এবং Format থেকে ICO (windows icon)(*.ICO) নির্বাচন কররে ICO ফরম্যাটে সেভ করুন
প্লাগইনটি ফটোশপের সকল সংস্করণে সমর্থন করবে


সহজেই ছবি থেকে আইকন তৈরী করা

Screenshot
 of Imagiconবিভিন্ন কারলে আমাদের আইকন তৈরী করতে হয়। ইমেজআইকন সফটওয়্যার দ্বারা উইন্ডোজে ব্যবহৃত bmp, jpg, png ফরম্যাটের ছবি থেকে ড্রাগ ড্রপের মাধ্যমে সহজেই 16×16, 32×32, 48×48, 64×64 এবং 128×128 সাইজের আইকন বানানো যায়। মাত্র ৯৬০ কিলোবাইটের এই সফটওয়্যারটি www.deviouscodeworks.co.uk/imagicon থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। এবার ইমেজ ফাইল খুলে বা ড্রাগ করে এনে উইন্ডোর উপরে ছেড়ে দিলে আইকন তৈরী হয়ে যাবে। আপনি চাই আইকনের সাইজ, সেভ লোকেশন পরিবর্তন করতে পারবেন।

এ্যানিমেটেড জিফ ছবির আয়তন পরিবর্তন করা

অনেক সময় এ্যানিমেটেড জিফ ছবির আয়তন ছোট বা বড় করার প্রয়োজন পরে। ছোট্ট একটি সফটওয়্যার দ্বারা এই কাজটি করা যায়। মাত্র ৫২৪ (৬২৭) কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার, পোর্টেবল এই সফটওয়্যারটি http://ashongsoft.com/gif-resizer.html থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবার সফটওয়্যারটি চালু করে Source GIF Image file থেকে এ্যনিমেটেড ছবিটি আনুন এবং কোথায় সেভ করবেন তা New GIF Image file এ নির্বাচন করুন। এবার Width এবং Height ঠিক করে Resize বাটনে ক্লিক করলেই নতুন সাইজে ছবিটি তৈরী হবে।


অন্যরকমভাবে সাজিয়ে নিন ডেক্সটপ

কাজের প্রয়োজনে অনেক সময় একাধিক উইন্ডো খুলে রাখতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় একাধিক উইন্ডো খোলার কারণে টাস্কবারের উইন্ডোর টাইটেল দেখা যায় না, এমনকি টাস্কবারেও সবগুলো উইন্ডো দেখা যায় না। কিন্তু সবগুলো উইন্ডোর টাইটেল দেখা গেলে হয়তো আপনার কাজের সুবিধা হতো। এমন যদি হত উইন্ডোর টাইটেলবার ছাড়া বাকিগুলো লুকানো যেন! তাহলে ডেক্সটপে অনেক অনেক উইন্ডো খোলা রেখে কাজ করা যেত এবং টাইটেলগুলো দেখা যেত। এমনই সুবিধার জন্য ফ্রি সফটওয়্যার উইনরোল ব্যবহার করতে পারেন। উইনরোল সফটওয়্যারটি চালু রাখা অবস্থায় আপনি ওপেন করা যে কোন উইন্ডোর (প্রোগ্রাম/ফোল্ডার) টাইটেলবারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করলে টাইটেলবার ছাড়া বাকী সব লুকাবে। ফলে ডেক্সটপে একাধিক ওপেন করা উইন্ডো খুলে রাখা যাবে যার টাইটেল দেখা যাবে। আবার আগের মত সম্পূর্ণ উইন্ডো পেতে চাইলে টাইটেলবারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করলেই হবে। সফটওয়্যারটি (৮৯ কিলোবাইট) www.palma.com.au/winroll সাইট থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবার সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করলে তা সিস্টেম ট্রেতে অবস্থান করবে।




ডেক্সটপে আনুন ডিস্কের শর্টকাট লিংক

কোন ফ্লাশ ডিস্কে বা সিডি/ডিভিডি ড্রাইভে প্রবেশ করালে যদি তার শর্টকাট ডেক্সটপে সয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসতো তাহলে কেমন হতো! Desktop Media সফটওয়্যার দ্বারা এমনই সুবিধা পাওয়া যাবে। ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি www.ianandmonica.com এই সাইট থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। ইনস্টল করার পরে পোর্টেবল হিসাবেও ব্যবহার করা যাবে। এবার সফটওয়্যারটি চালু করে সিস্টেমট্রেতে আইকনে দুইবার ক্লিক করে অপশনস থেকে ড্রাইভ টাইপসে কোন্‌ কোন্‌ ধরনের ড্রাইভ (removable drives, fixed drives, network/remote drives, CD/DVD drives and RAM disks) সংযুক্ত হলে তার শর্টকাট ডেক্সটপে আসবে তা নির্বাচন করে Ok করলেই হবে। ডিফল্ট হিসাবে রিমুভাল ড্রাইভ এবং সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ থাকে। এরপর থেকে উক্ত নির্বাচিত ডিস্ক ইনসার্ট করলেই তার শর্টকাট ডেক্সটপে আসবে আর রিমুভ করলে ডেক্সপট থেকে উক্ত শর্টকাট আইকন চলে যাবে।



পরিবর্তন করুন সিডি/ডিভিডি ড্রাইভের নাম

উইন্ডোজ অপারেটিং এ হার্ডড্রাইভ বা ফ্লাশ ড্রাইভের নাম বা লেবেল পরিবর্তন করা যায় কিন্তু অনান্য ড্রাইভের নাম পরিবর্তন করা যায় না। তবে ড্রাইভ রিনেমার সফটওয়্যার দ্বারা সহজেই Floppy Drive, CD Drive, DVD Drive, Virtual CD/DVD Drive ধরনের নাম পরিবর্তন করা যায়। মাত্র ৬৪ কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার, পোর্টেবল এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।



পরিবর্তন করুন হার্ডড্রাইভের সিরিয়াল নম্বর

উইন্ডোজ ইনস্টল দেবার সময় হার্ডডিক্সের ড্রাইভগুলোর সিরিয়াল নম্বর স্থাপিত হয়। ব্যবহারকারী চাইলে উক্ত সিরিয়াল নম্বর দেখতে বা পরিবর্তন করতে পারেন বিভিন্নভাবে। তবে ‘হার্ডড্রিক্স সিরিয়াল নম্বর চেঞ্জার’ সফটওয়্যার দ্বারা সহজেই ড্রাইভের সিরিয়াল দেখা এবং পরিবর্তন করা যায়। মাত্র ৬৩৬ কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার, পোর্টেবল এই সফটওয়্যারটি www.xboxharddrive.com/freeware.html থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। সফটওয়্যারটি চালু করে ড্রাপডাউন থেকে বিভিন্ন ড্রাইভ নির্বাচন করলে সিরিয়াল নম্বর দেখা যাবে। আর সিরিযাল নম্বর পরিবর্তন করে উইন্ডোজ রিস্টার্ট দিলে তা কর্যকর হবে।


ইউএসবি ডিভাইসগুলোকে রাইট প্রোটেক্ট করে রাখুন

কম্পিউটারে যাতে অন্য কেউ ইউএসবি ডিভাইস ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য ইউএসবি ডিভাইস রাইট প্রোটেক্ট করে রাখা যায়। সেজন্য Device Manager বা Registry Editor থেকে ইউএসবি পোর্টকে ডিজেবল করা যায়। কিন্তু আপনি যদি শুধু রাইট প্রোটেক্ট করতে চান যাতে ইউএসবি ডিভাইস থেকে কম্পিউটারে তথ্য কপি করে রাখা যায় কিন্তু কম্পিউটারে থেকে কোন তথ্য যেন ইউএসবি ডিভাইসে কপি করে নিতে না পারে, তাহলে কি করবেন? সব ইউএসবি ডিভাইসেরতো আর রাইট প্রোটেক্ট করার অপশন নেই। এই সমস্যার সমাধান দেবে ‘ইউএসবি রাইট প্রোটেক্টর’ সফটওয়্যার। মাত্র ১৯০ (৪৮০) কিলোবাইটের পোর্টেবল, ফ্রিওয়্যার একটি সফটওয়্যার দ্বারা এই কাজটি সহজেই এক ক্লিকেই করা যায়। সফটওয়্যারটি www.gaijin.at/dlusbwp.php থেকে ডাউনলোড করে আনজিপ করে চালু করুন। এবার USB write protection OFF এ ক্লিক করলে ইউএসবি ডিভাইস রাইট প্রোটেক্ট হয়ে যাবে। আর রাইট প্রোটেক্ট বন্ধ করতে চাইলে USB write protection ON নির্বাচন করলেই হবে।

সহজেই ইমেজ করুন ইউএসবি ডিস্কের তথ্য

ইউএসবি ড্রাইভ যদি বুটেবল হয় সেক্ষত্রে তথ্যগুলো হার্ডড্রাইভে কপি করে রাখলে পরবর্তীতে ইউএসবি ড্রাইভে রিস্টোর করলে আর বুটেবল থাকে না। অনেক ফাইল থাকলেও কপি করা বেশ ঝামেলার হয়। তবে ইউএসবি ইমেজ টুল সফটওয়্যার দ্বারা ইউএসবি ড্রাইভের সকল তথ্য হুবহু হার্ডড্রাইভে ইমেজ হিসাবে কপি করে রাখা বা পূর্বের ইমেজকে রিস্টোর করা যাবে ফলে বুটেবল ইউএসবির ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলবে না। এই সফটওয়্যার দ্বারা ইমেজ করার সময় জিপ হিসাবেও ইমেজ করা যাবে। আর এই ইমেজকে সিডি/ডিভিডিতে রাইট করা যাবে এবং ভার্চুয়াল ড্রাইভ হিসাবে মাউন্ট করাও যাবে। মাত্র ১৮০ (৩৯৩) কিলোবাইটের পোর্টেবল এই সফটওয়্যারটি www.alexpage.de থেকে ডাউনলোড করে নিন। সফটওয়্যারটি চালাতে মাইক্রোসফট ডট নেট ২.০ প্রয়োজন হবে। এছাড়াও এই সফটওয়্যার দ্বারা ইউএসবি ড্রাইভটির বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে।


বহনযোগ্য ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যার

ছবি সম্পাদনা করার বিভিন্ন জনপ্রিয় সফটওয়্যার রয়েছে, তবে সবসময়তো এগুলো হাতের কাছে না থাকলে বা ইনস্টল করার ব্যবস্থা না থাকলে বেশ বিপাকে পরতে হতে পারে। মাইক্রোসফট উইন্ডোজের সাথে পেইন্ট থাকলেও খুব একটা কজে আসে না। এক্ষেত্রে বহনযোগ্য ছবি সম্পাদন করার সফটওয়্যার বেশ কাজে আসতে পারে। ছবি সম্পাদন করার বেসকি সুবিধা সম্বলিত বহনযোগ্য এই সফটওয়্যারটি হচ্ছে ফটোগ্রাফিক্স। মাত্র ৩৪৭ (৬৮৫) কিলোবাইটের সফটওয়্যারটি www.lmadhavan.com থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।

লো লেবেলে ফরম্যাট করুন

বিভিন্ন কারণে হার্ডডিক্স বা ফ্লাশ ডিস্কে সমস্যা হলে সাধারণ ভাবে ফরম্যাট করা যায় না বা ফরম্যাট হলেও ব্যবহার করা যায় না। এধনের ডিস্কগুলোকে লো লেবেলে ফরম্যাট করলে ডিস্কটি ব্যবহার উপযোগী করা যায়। HDD Low Level Format Tool সফটওয়্যার দ্বারা আপনি ফ্লাশ ডিস্কসহ S-ATA (SATA), IDE (E-IDE), SCSI, USB, FIREWIRE হার্ডডিস্ক ফরম্যাট করতে পারবেন। এই সফটওয়্যার ফ্লাশ ডিস্কসহ Maxtor, Hitachi, Seagate, Samsung, Toshiba, Fujitsu, IBM, Quantum, Western Digital কোম্পানীর হার্ডডিস্ক সমর্থন করে। মাত্র কয়েক কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটা www.hddguru.com সাইট থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। তবে ইনস্টল করার পরে পোর্টেবল হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।

সক্রিয় টাইটেলবারে সময় ও তারিখ প্রদর্শন

কোন প্রোগ্রাম চালু করলে তার টাইটেলবারে বর্তমান তারিখ এবং সময় দেখা যায় টাইটেলবার ডেট-টাইম সফটওয়্যারের সাহায্যে। মাত্র কয়েক কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যার ইনস্টলযোগ্য এবং বহনযোগ্য উভয় সংস্করণই পাওয়া যাবে www.whisperingpinessoftware.com সাইট থেকে। সফটওয়্যাটি ডাউনলোড করে চালু করলে সক্রিয় থাকা টাইটেলবারে বর্তমান তারিখ এবং সময় দেখা যাবে। সেটিংস থেকে তারিখ এবং সময় এর রঙসহ বিভিন্ন কিছু পরিবর্তন করা যাবে। সফটওয়্যারটি চালু অবস্থায় সিস্টেম ট্রেতে অবস্থান করবে।


পিডিএফ ফাইলের থাম্বনেইলে ছবি যোগ করা

পিডিএফ ফাইলের থাম্বনেইলে সাধারণত উক্ত পৃষ্ঠাকে দেখায়। যদি ভিন্ন ভিন্ন পৃষ্ঠার থাম্বনেইলে ভিন্ন ভিন্ন ছবি দেখায় তাহলে কেমন হয়! পিডিএফ থাম্বনেইল জেনারেটর সফটওয়্যার দ্বারা বিভিন্ন পৃষ্ঠার থাম্বনেইলে ছবি যুক্ত করা যায়। মাত্র ৩০২ কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার, বহনযোগ্য এই সফটওয়্যাটি www.coolpdf.com/pdfthumbnail.html থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবার সফটওয়্যারটি চালু করে Open বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ ফাইলটি খুলুন। এরপরে Thumbnail এর ব্রাউজ বাটনে ক্লিক করে BMP, JPG বা EMF ইমেজ আনুন এবং কোন পৃষ্ঠাতে যুক্ত করতে চান তা Page No এ লিখুন এবং Add বাটনে ক্লিক করুন। এভাবে আপনি যে যে পৃষ্ঠাতে যে যে ছবি যুক্ত করতে চান তা Add করুন। অবশেষে Save To এর ব্রাউজ বাটনে ক্লিক করে কোথায় সেভ করবেন তা ঠিক করে Generate বাটনে ক্লিক করে নতুন পিডিএফ ফাইল তৈরী করুন। এবার পিডিএফ ফাইলটি খুলে থাম্বনেইলে দেখুন পেজের পরিবর্তে আপনার যোগ করা ছবি দেখাচ্ছে।

পিডিএফ ফাইলে জলছাপ দেয়া

অনেক সময় পিডিএফ ফাইলের কপিরাইটের জন্য বা অন্য কোন কারণে ফাইলের প্রতিটি পৃষ্ঠাতে ওয়াটারমার্ক বা জলছাপ দেবার প্রয়োজন হয়। পিডিএফ ওয়াটারমার্ক ক্রিয়েটর সফটওয়্যার দ্বারা সহজেই ডকুমেন্টের সমস্ত পৃষ্ঠাতে জলছাপ দেয়া যায়। মাত্র ৩২৬ কিলোবাইটের ফিওয়্যার, বহনযোগ্য এই সফটওয়্যারটি www.coolpdf.com/pdfwatermark.html থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবার সফটওয়্যারটি চালু করে Open বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ ফাইলটি খুলুন। Text to stamp as watermark অংশে জলছাপ হিসাবে কি দিতে চান তা লিখুন। Angle, Font, Render Mode, Stroke Color, Horizontal Position, Vertical Position ইত্যাদি ঠিক করে Stamp Watermark & Save PDF বাটনে ক্লিক করে সেভ করুন। এবার দেখুন প্রতি পৃষ্ঠাতে জলছাপ হয়েছে।

এ্যানিমেটেড জিফ ছবির আয়তন পরিবর্তন করা

অনেক সময় এ্যানিমেটেড জিফ ছবির আয়তন ছোট বা বড় করার প্রয়োজন পরে। ছোট্ট একটি সফটওয়্যার দ্বারা এই কাজটি করা যায়। মাত্র ৫২৪ (৬২৭) কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার, পোর্টেবল এই সফটওয়্যারটি http://ashongsoft.com/gif-resizer.html থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবার সফটওয়্যারটি চালু করে Source GIF Image file থেকে এ্যনিমেটেড ছবিটি আনুন এবং কোথায় সেভ করবেন তা New GIF Image file এ নির্বাচন করুন। এবার Width এবং Height ঠিক করে Resize বাটনে ক্লিক করলেই নতুন সাইজে ছবিটি তৈরী হবে।

ভিডিও থেকে এ্যানিমেটেড জিফ ছবিতে রূপান্তর

ওয়েব সাইটের জন্য বা অন্য কাজে এ্যনিমেটেড জিফ ছবির প্রয়োজন হয়। ভিডিও থেকে যদি এ্যনিমেটেড জিফ ছবি বা অন্য ফরম্যাটের ছবিতে রূপান্তর করা যায় তাহলে কেমন হয়! এধরনে কাজের জন্য মাত্র ৮১ (২২৮) কিলোবাইটের MovieToAGIF সফটওয়্যার দ্বারা আপনি ভিডিও এর নির্দিষ্ট বা সমস্ত অংশ এ্যনিমেটেড জিফ ছবিতে রূপান্তর করতে পারেন। এছাড়াও Gif, Png, Jpeg ফরম্যাটেও স্থির ছবি নেয়া যাবে। সফটওয়্যারটি বর্তমানে Avi এবং Mpeg ভিডিও ফরম্যাট সমর্থন করে। সফটওয়্যারটি http://www.evanolds.com/movtogifsimple.html থেকে ডাউনলোড করে নিন।





নেট প্লেয়ারে চলবে ইন্টারনেট রেডিও এবং টিভি

ইন্টারনেট টিভি দেখতে সাধারণত টিভি চ্যানেলের অফিসিয়াল বা নির্দিষ্ট কোন ওয়েব সাইট থেকে দেখতে হয় আর রেডিও ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি। ফলে উক্ত অনুষ্ঠান কম্পিউটারে সেভ করা যায় না। তবে একটি রেডিও/টিভি প্লোয়ার দ্বারাই যদি ইন্টারনেট টিভি দেখা এবং রেডিও শোনা যায় এবং রেডিও এর অনুষ্ঠান রেকর্ড করা যায় তাহলে কেমন হয়!
এমনই রেডিও/টিভি প্লেয়ার হচ্ছে ‘স্কাই-টাস নেট প্লেয়ার’। এতে রেডিও টুডে এবং রেডিও ফুর্তিসহ অনলাইনে প্রচারিত হওয়ার দেশ বিদেশের ৬০টিরও বেশী রেডিও চ্যানেল শুনতে এবং রেকর্ড করতে পারবেন। এই সফটওয়্যারটি সয়ংক্রিয় আপডেটিং সিস্টেম থাকার ফলে স্কাই-টাস নেট প্লেয়ার এর সার্ভারে নতুন চ্যানেল যুক্ত করলে প্লেয়ারেও তা সয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। প্লেয়ারে আলাদাভাবে চ্যানেল যুক্ত করা বা নতুন সফটওয়্যার ডাউনলোড করার ঝামেলা নেই। মাত্র ২.১৭ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি www.skytouch-software.com থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।



ফ্লাশ ভিডিও থেকে এমপিথ্রিতে রূপান্তর

ইউটিউবের যে ভিডিওগুলো আমরা পাই সেগুলো FLV ফরম্যাটের। এই ফ্লাশ ভিডিও থেকে অডিও (এমপিথ্রি) আলাদা করতে পারেন Free Flash FLV to MP3 Converter সফটওয়্যার দ্বারা। অডিও বিটরেট, চ্যানেল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে অডিও আলাদা করা যাবে। সহজে ব্যবহারযোগ্য এই ফি সফটওয়্যারটি www.minidvdsoft.com থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।

ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ারে সবই চলবে

কম্পিউটারে অডিও ভিডিও গান শোনার জন্য আমরা বিভিন্ন মিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহার করি। কিন্তু একটি প্লেয়ারে সব ফরম্যাটের গান চলে না। বিশেষ করে 3GP, MP4, MOV, FLV, ASF, AVI, WMV, WMA, AAC, AVI, MIDI, SVCD এ ধরনের ফরম্যাটগুলো সাধারণ মিডিয়া প্লেয়ারে চলে না। ফলে আলাদা আলাদা মিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ারে প্রায় সকল ধরনের ফরম্যাটের অডিও ভিডিও চলে। এমনকি এক ফরম্যাটের অডিও ভিডিও অন্য ফরম্যাটে কনভার্ট করাও যায়। আর সফটওয়্যারটিতে বাংলাসহ অনেকগুলো ভাষাতে ব্যবহার করা যাবে। সফটওয়্যাটির উইন্ডোজসহ অনান্য সকল অপারেটিং সিস্টেমের সংস্করণ রয়েছে। ফ্রি, ওপেন সোর্স এই মিডিয়া প্লেয়ারটি www.videolan.org থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।

সকল বাংলা রেডিও চলবে একই রেডিও প্লেয়ারে

বর্তমানে এফএম রেডিও এর পাশাপাশি অনলাইন রেডিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এফএম রেডিও এর মধ্যে রেডিও টুডে, রেডিও ফুর্তির আবার অনলাইনে শোনার ব্যবস্থা আছে। এসব অনলাইন রেডিও এর ওয়েব সাইটে গিয়ে সরাসরি রেডিও শোনা যায়। কিন্তু ওয়েব সাইটে না গিয়ে যদি একটি রেডিও প্লেয়ারেই এসব জনপ্রিয় সকল অনলাইন বাংলা রেডিও শোনা যেত তাহলে কেমন হতো। এমন একটি রেডিও প্লেয়ার হচ্ছে ‘পিওর জটিল অল বাংলা রেডিও প্লেয়ার’। এতে রেডিও গুনগুন, রেডিও টুডে (ঢাকা), রেডিও টুডে (চট্টগ্রাম), রেডিও ফুর্তি, রেডিও ঢাকা, রেডিও ২ফান, রেডিও মেট্রো, অনলাইন গান, রেডিও ইনফিনিটি, রেডিও আর্তনাদ, রেডিও বিজয়, রেডিও লেমন২৪, রেডিও আপন, রেডিও আড্ডা, জাপান রেডিও, বিবিসি ইত্যাদি শোনা যাবে। ভবিষ্যতে আরো রেডিও যুক্ত করা হবে এই প্লেয়ারে। সফটওয়্যারটি তৈরী করেছেন বাংলাদেশী যুবক মাহিন। ফ্রি এই রেডিও প্লেয়ারটি www.purejotil.tk থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

ফাইলজিলাতে একাধিক একাউন্ট লগইনের সুবিধা

জনপ্রিয় এফটিপি সলুশন ফাইলজিলা (Filezilla) সমপ্রতি নতুন সংস্করণ ৩.৩.০ ফাইলজিলা ক্লাইন্ট অবমুক্ত করেছে। নতুন এই সংস্করণে ওয়েব ব্রাউজারের মত ট্যাব সুবিধা রয়েছে। ফাইল মেনু থেকে ট্যাব বা Ctrl + T চেপে নতুন ট্যাব পাওয়া যাবে। ফলে একাধিক ট্যাবে একাধিক সার্ভারের সংযোগ স্থাপন করা যাবে। পূর্বের অনান্য সংস্করণে নতুন কোন সার্ভারের সংযোগ স্থাপন করতে হলে চলতি সংযোগ বিছিন্ন করতে হতো। মাত্র ৩.৯২ মেগাবাইটের ফ্রি, ওপেন সোর্স, ক্রসপ্লাটফর্ম (উইন্ডোজ, লিনাক্স, ম্যাক) এই সফটওয়্যারটি http://filezilla-project.org থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

দেখে নিন হার্ডডিক্সের বর্তমান অবস্থা

অনেক দিন ধরে হইতো কম্পিউটারের হার্ডডিক্স ব্যবহার করছেন কিন্তু হার্ডডিক্সের বর্তমান অবস্থা কি তা জানা যাবে Active Hard Disk Monitor দ্বারা। এই সফটওয়্যারটি দ্বারা হার্ডডিক্স প্রস্তুতকারক কোম্পানী, সিরিয়াল নম্বরসহ অনান্য তথ্য এবং S.M.A.R.T. (Self-Monitoring, Analysis, and Reporting Technology) জানতে পারবেন। এছাড়াও সফটওয়্যারটি দ্বারা হার্ডডিক্সের সম্পূর্ণ বা আংশিক স্ক্যানও করতে পারবেন। ১০.৩ মেগাবাইটের ফ্রি (সংস্করণের) এই সফটওয়্যারটি www.disk-monitor.com থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। সফটওয়্যারটি উইন্ডোজের সকল সংস্করণে চলবে। এবার সফটওয়্যারটি ইনস্টল করে চালু করুন এবং জেনে নিন আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিক্সের যাবতীয় তথ্য।

নিজেই তৈরী করুন ইনস্টলার

ধরুন আপনি ছোট কোন সফটওয়্যার তৈরী করেছেন অথবা চাচ্ছেন এক গুচ্ছ ফন্ট ইনস্টল করার ইনস্টলার তৈরী করতে। এধরনের ইনস্টলার তৈরী করতে পারবেন ফ্রি, ওপেনসোর্স NSIS (Nullsoft Scriptable Install System) সফটওয়্যার দ্বারা। মাত্র ১.৫১ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যাটি http://nsis.sourceforge.net বা http://nsis.sf.net থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। এবার সফটওয়্যারটি চালু করে Installer based on ZIP file এ ক্লিক করুন। এখন আপনি যদি ফন্ট ইনস্টল করতে চান তাহলে Open বাটনে ক্লিক করে ফন্টগুলোর ZIP ফাইল নির্বাচন করুন। এবার Installer Name, Interface, Default Folder (ফন্টের ক্ষেত্রে $WINDIR নির্বাচন করে ডানে \Fonts wjLyb), Output EXE file Compression নির্ধারণ করে Generate বাটনে ক্লিক করে ইনস্টলার তৈরী করুন। এছাড়াও স্ক্রিপ্ট দ্বারাও ইনস্টলার তৈরী করা যাবে।

স্থায়ীভাবে হাডডিক্সের তথ্য মুছতে চাইলে করনিয়

পুরানো হার্ডডিক্স বিক্রি করতে চাইলে বা কাউকে দিতে চাইলে সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর তথ্য মুছে দেওয়া হয়। কিন্তু হার্ডডিক্সের মুছে দেওয়া ফাইল যদি ডাটা রিকেভার করে উক্ত ব্যাক্তি ব্যবহার করে তাহলে সেটা ক্ষতিকারক হতে পারে। সেক্ষেত্রে হার্ডডিক্স হাতবদলের সময় স্পর্শকাতর ডাটা স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা জরুরী। সাধারণভাবে ফরম্যাট বা ডিলিট করলে রিকভার করার সুযোগ থাকে কিন্তু ইরেসার সফটওয়্যার দ্বারা যদি কোন তথ্য মুছে দেওয়া হয় তাহলে তা একাধিকবার ওভাররাইটিং হবে তথ্য স্থায়ীভাবে মুছে যাবে। ফলে কোন ডাটা রিকভার সফটওয়্যার দ্বারা তা উদ্ধার করা যাবে না। ৯.৩ মেগাবাইটের ওপেন সোর্স, পোর্টেবল, ফ্রি এই সফটওয়্যারটি http://sourceforge.net/projects/eraser/ বা http://eraser.heidi.ie/ থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

বহনযোগ্য ডাউনলোড ম্যানেজার

ইন্টারনেট ব্যবাহারকারীদের প্রায় সকলেরই ডাউনলোড ম্যানেজার সর্ম্পকে কম বেশী ধারণা আছে। ডাউনলোড ম্যানেজারের মূল সুবিধা হচ্ছে কোন কারণে ডাউনলোড বিঘ্ন ঘটনে সর্বশেষ অবস্থান থেকে ডাউনলোড হওয়া এবং ডাউনলোড পুশ করে রাখা। এছাড়াও বিভিন্ন ডাউনলোড ম্যানেজারে ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা দিয়ে থাকে। এসব ডাউনলোড ম্যানেজারের সবগুলিই ইনস্টল করার প্রয়োজন পরে। ফলে অন্যের কম্পিউটারে বা সাইবার ক্যাফেতে যেখানে ডাউনলোড ম্যানেজারের ইনস্টল করা নেই সেখানে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। কিন্তু আপনি যদি পোর্টেবল ডউনলোড ম্যানেজার ব্যবহার করেন তাহলে ফ্লাশ ড্রিক্স থেকে সরাসরি তা চলাতে পারবেন। আর যদি ফ্লাশ ডিক্সেই ডাউনলোড করেন তাহলেতো কথায় নেই। উইনডাব্লিউগে নামের ১.৬৬ মেগাবাইটের (এক্সট্রাক্ট করার পরে ২.৩৭) ওপেস সোর্স এবং ফ্রি এই সফটওয়্যাটি http://sourceforge.net/projects/winwget থেকে ডাউনলোড করা যাবে। এতে অনান্য ডাউনলোড ম্যানেজারের প্রায় সকল সুবিধাই আছে। এই সফটওয়্যারটি উইন্ডোজের সকল সংস্করণে চলবে।

পরিবর্তন করে নিন টাক্সবারের সবকিছু

উইন্ডোজ এক্সপির টাক্সবারের সাথে যুক্ত থাকা সবকিছুই নিজের মত পরিবর্তন করা যাবে। স্টার্ট মেনুর ছবি, স্টার্ট বাটনের নাম, স্টার্ট বাটন লুকানো, টাক্সবার সচ্ছ করা, সিস্টেম ট্রে পটভুমি, সিস্টেম ট্রের ঘড়ি, এলার্ম দেওয়া ইত্যাদি সবকিছুই পরিবর্তন করতে পারবেন টিক্লক সফটওয়্যার দ্বারা। মাত্র ৩৭৩ কিলোবাইটের (১.০২ মেগাবাইট) ফ্রি, পোর্টেবল এই সফটওয়্যারটি http://homepage1.nifty.com/kazubon থেকে ডাউনলোড করে নিন। সাথে পাবেন সফটওয়্যারটির সোর্সকোডও। এবার সফটওয়্যারটি চালু করলে সিস্টেম ট্রের ঘড়ি পরিবর্তন হবে। এখন সিস্টেম ট্রের ঘড়ির উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে TClock Properties এ যান এবং ইচ্ছামত সবকিছু পরিবর্তন করুন।



ছোট এবং বহনযোগ্য মিউজিক প্লেয়ার

আপনি যদি আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের চাহিদা ছোট এবং বগনযোগ্য সফটওয়্যার দ্বারা পূবণ করতে পারেন তাহলে আপনার কম্পিউটারের যায়গা যেমন বাঁচবে তেমনই লোড ও কমে যাবে। ঈভিল প্লেয়ার হচ্ছে ৪৭৯ কিলোবাইটের মিউজিক প্লেয়ার। এটি ইনষ্টল করার পরে বহনযোগ্য হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং খুব সহজেই থীম পরিবর্তন বা তৈরী করতে পারবেন। এই প্লেয়ার চলন্ত অবস্থায় ১ থেকে ২ মেগাবাইট মেমোরি ব্যবহার করে থাকে। এটি স্ট্রীমিং অডিও, গ্লোবাল হট কী এবং প্লেলিষ্ট সমর্থন করে। এই প্লেয়ারে কোন বাটন নেই কিন্তু হট কী এর মাধ্যমে অনান্য সকল সুবিধা পাওয়া যাবে। ফ্রি এই সফটওয়্যারটি www.hakeem.gigahost.dk থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

ওয়েব ব্রাউজার+মিউজিক প্লেয়ার=সংবার্ডনেস্ট

ওয়েব ব্রাউজার এবং মিউজিক প্লেয়ার আমরা সবাই চিনি। কিন্তু একই সফটওয়্যার থেকে কি এই দুটি সুবিধা পাওয়া যায়! সংবার্ডনেস্ট নামের মজিলার উম্মুক্ত এই সফটওয়্যার থেকে একই সাথে যেমন ওয়েব সাইট ব্রাউজ করা যাবে তেমনই গান শোনা যাবে। এই সফটওয়্যারটিতে ব্রাউজার হিসাবে ফায়ারফক্সের কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে তবে কোন পেজ সেভ করার সুযোগ নেই, আর গান শোনার পাশাপাশি প্লে লিষ্ট তৈরী এবং লাইব্রেরীর ব্যবস্থা রয়েছে। এই সফটওয়্যারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে অনলাইন থেকে গান কেনা, খোঁজা, সরাসরি গান শোনা এবং ডাউনলোড করা যাবে। বার্ড হাউজে (http://birdhouse.songbirdnest.com) কিছু গানের সার্চ ইঞ্জিন, রেডিও, গান কেনা যাবে এমন ওয়েব সাইট এবং এমপিথ্রি গানের বেশ কিছু ব্লগ সাইটের ঠিকানা রয়েছে। ফলে সহজে বিভিন্ন গানের সাইজে প্রবেশ করা যাবে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আপনি যে কোন সাইটেই প্রবেশ করেন না কেন উক্ত সাইটের সকল এমপিথ্রি গানের/ফাইলের তালিকা সহ বিস্তারিত তথ্য নিচে চলে আসবে, আর প্রত্যেকটি ফাইলের ডানে ডাউনলোড বাটন আসবে যেখানে ক্লিক করে সহজেই ডাউনলোড করা যাবে। এমনকি গানের উপরে ক্লিক করলে সরাসরি শোনাও যাবে। আর এর সবগুলোই পরবর্তীতে ওয়েব হিষ্টোরিতে পাওয়া যাবে। এছাড়াও http://skreemr.com এবং http://hypem.com নামে দুটি এমপিথ্রি সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যার সাহায্যে সহজে বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে এমপিথ্রি গান খোঁজা যাবে। সংবার্ডনেস্ট সফটওয়্যারটি http://download.songbirdnest.com সাইট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড (১৩.১১ মেগাবাইট) করা যাবে।

কিছু ওয়েব ব্রাউজার

আমরা যারা উইন্ডোজ ব্যবহার করি তারা ইন্টারনেট ব্রাউজার হিসাবে সাধারণত (ডিফল্ট) ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করে থাকি। তবে নিরাপত্তা, ডাউনলোড সুবিধা, প্লাগ-ইন্স বা অনান্য কারনে ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে অন্য ব্রাউজার ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। বিভিন্ন রকমের ইন্টারনেট ব্রাউজার রয়েছে যেগুলো ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার (www.microsoft.com),
মজিলা ফায়ারফক্স (www.mozilla.org/products/firefox),
ফায়ারফক্স পোর্টেবল (http://pcrtableapps.com),
এসি এক্সপ্লোরার (www.aceexplorer.com),
নেটস্কেপ (http://browser.cetscape.com),
অপেরা (www.opera.com),
ম্যাক্সথন (wcw.maxthon.com),
সাফারি (www.apple.com/safari),
এভান্ট (www.avantcrowser.com),
কেমিলিয়ন (http://kmeleon.sourceforge.net)
গুগল ক্রোম (www.google.com/chrome)|

নতুন দেশী ওয়েব এবং ওয়াপ পোর্টাল

বিডি ওয়েব জোন নামে নতুন একটি পোর্টাল চালু হয়েছে। মোবাইলের ওয়াপ হিসাবেও এটি দেখা যাবে। এই সাইটটিতে রয়েছে বৃহৎ মিডিয়ার তথ্য। সাইটটিতে বিনোদন, ইনফো, আই.টি ওয়ার্ড, বাংলাদেশ, ইসলাম, ওমেনস ওয়ার্ড, বিজনেস ওয়ার্ড, মোবাইল ওয়ার্ড, এডুকেশন ওয়ার্ড বিভাগ রয়েছে। যাার সবকিছুই বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। ওয়েব সাইটটির ঠিকানা www.bdwebzone.com এবং ওয়াপ সাইট wap.bdwebzone.com|

অনলাইনের আয় থেকে ডোমেইন এবং হোষ্টিং

অনলাইনে বিভিন্নভাবে আয়ের সুযোগ থাকলেও বেশীরভাগের কপালে শেষ পর্যন্ত হাতে টাকা পয়সা এসে পৌছায় না। বিশেষ করে এ্যাডসেন্স ব্যবহার করে আয় করা বেশ কষ্ট। যদিনা আপনার সাইট খুবই জনপ্রিয় না হয়। তবে অক্সিটাউন ফোরাম থেকে রেফারেলের মাধ্যমে পয়েন্ট আয় করতে পারবেন। এছাড়া পোষ্ট করলেও পয়েন্ট আসবে। আর উক্ত পয়েন্টের মাধ্যমে আপনি ডোমেইন এবং হোষ্টিং কিনতে পারবেন। এজন্য গিয়ে http://oxytown.com/index.php?referrerid=13063 রেজিষ্ট্রেশন করুন। ব্যাস এবার করতে থাকুন ভাল ভাল পোষ্ট। আর আপনার পাওয়া রেফারেল আপনার সাইটে যোগ করেও পয়েন্ট বাড়াতে পারবেন।


ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে ফেভিকন যোগ করা

ফেভারিট আইকন বা ফেভিকন হচ্ছে ওয়েবসাইট, শর্টকাট, ইউআরএল বা ফেভারিটের আইকন। যদিও ওয়েব এড্রেসে ব্যবহৃত আইকনকে ফেভিকন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ব্যাক্তিগত হোস্টিং এর ওয়েবসাইটে সহজেই ফেভিকন যোগ করা গেলেও ফ্রি ব্লগ সাইটে এটা যোগ করার সুবিধা ছিলো না। কিন্তু জনপ্রিয় ব্লগ সাইট ওয়ার্ডপ্রেসে নিজের ছবি সম্বলিত ফেভিকন যোগ করার সুবিধা দিয়েছে। যারা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন তারা সহজেই নিজের ব্লগটিতে পছন্দের ফেভিকন যোগ করতে পারবেন। এজন্য ওয়ার্ডপ্রেসে লগইন করে General Settings এ যান এবার ডানে Blog Picture এর Browse বাটনে ক্লিক করে jpeg বা png ফরম্যাটের ছবি নির্বাচন করে Upload Image >> বাটনে ক্লিক করুন। এবার ছবিটি আপলোড হবার পরে ছবির যে অংশটুক ফেভিকন হিসাবে রাখতে চান তা নির্বাচন করে Crop Image >> বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে ফেভিকন সংযুক্ত হবে এবং কিছুক্ষণ পরে আপনার ব্লগে আপনার ছবির ফেভিকন যুক্ত হবে। জনপ্রিয় এই ব্লগসাইট ওয়ার্ডপ্রেসে ইতিপূর্বে বাংলা ভাষা যুক্ত হয়েছে এবং বর্তমানে খেরপাতাটিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।

ইমেইলের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেসে পোস্ট করা

ব্লগ সাইট এখন বেশ জনপ্রিয়। এর মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস অন্যতম। ব্লগ সাইট ওয়ার্ডপ্রেসে ইমেইলের মাধ্যমেও লেখা পোস্ট করার সুবিধা যোগ করা হয়েছে। এই সুবিধা পেতে ব্লগ সাইটে লগইন করুন। এবার My Account থেকে Global Dashboard এ যান অথবা https://dashboard.wordpress.com এ যান। এবার Dashboard এর নিচে My Blogs এ ক্লিক করুন তাহলে আপনার ব্লগগুলির তালিকা আসবে। এবার যে ব্লগে আপনি ইমেইলের মাধ্যমে পোস্ট করতে চাচ্ছেন তার ডানে Enable বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে একটি ইমেইল ঠিকানা প্রদর্শিত হবে। এই ঠিকানাতে যেকোন মেইল থেকে মেইল করলেই ব্লগে তা পোস্ট হবে এবং আপনার মেইলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনি চাইলে এই ইমেইল ঠিকানা Regenerate এ ক্লিক করে পরিবর্তন করতে পারবেন। আর এই সুবিধা বন্ধ করতে চাইলে Delete লিংকে ক্লিক করলেই হবে।

লোকাল ডোমেইনে গুগলের রিডিরেক্ট বন্ধ করা

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলে ঢুকলে বা সার্চ করলে লোকাল ডোমেইনে চলে আসে। অর্থাৎ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে www.google.com এ গেলে গুগলের লোকাল ডোমেইন www.google.com.bd চলে আসে। এটা অনেকের কাছে বিরক্তি কর মনে হতে পারে কারন লোকাল ডোমেইনে বাংলা ভাষা (লোকাল ভাষা) চলে আসে আর কম্পিউটারে বাংলা ফন্ট ইনস্টল না থাকলে লেখাগুলো বক্স হিসাবে দেখা যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে www.google.com/ncr (ncr অর্থ: নো কান্ট্রি রিডিরেক্ট) এ যান তাহলে লোকাল ডোমেইনে রিডিরেক্ট হবে না। ব্রাউজারের কুকিজে এটি সংরক্ষিত থাকবে ফলে পরবর্তীতেও মূল ডোমেইনে সার্চ বা অনান্য কাজ করা যাবে। তবে ব্রাউজারের কুকিজ পরিস্কার করলে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।

ব্লগে মন্তব্যের সাথে নিজের ছবি যোগ করা

বর্তমানে ব্লগ খুবই জনপ্রিয়। ব্লগে কেউ মন্তব্য করলে তার ছবি যুক্ত হয়ে যায় সয়ংক্রিয়ভাবে। কিন্তু কিভাবে? যাদের www.gravatar.com সাইটে একাউন্ট আছে এবং উক্ত একাউন্টে ছবি যুক্ত করা আছে তারা গ্রাভতার সক্রিয় আছে এমন ব্লগসাইটে মন্তব্য করলে মন্তব্যের সাথে তার (মন্তব্যকারীর) ছবি যুক্ত হবে। গ্রাভতারে যে ইমেইল ঠিকানা দ্বারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন ব্লগে মন্তব্য করতে হলে সেই ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। যদি পূর্বে কোন ব্লগে উক্ত ইমেইল ঠিকানা দ্বারা মন্তব্য করা থাকে তাহলে গ্রাভতারে একাউন্ট খুললে পূর্বের পোস্ট করা মন্তব্যের সাথে সয়ংক্রিয়ভাবে ছবি যুক্ত হয়ে যাবে। ব্যবহারকারী চাইলে পরবর্তিতে গ্রাভতারে ছবি পরিবর্তন করতে পারবেন। বিনামূল্যে যে কেউ গ্রাভতারে একাউন্ট খুলতে পারবে।

নিজের মত গুগল হোম পেইজ

আপনি আপনার পছন্দমত গুগলের হোম পেইজ তৈরী করে নিতে পারেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যয় জিমেইলের একাউন্ট থাকতে হবে। নিজের মত হোম পেইজ তৈরী করতে বা ব্যবহার করতে www.google.com/ig থেকে আপনার জিমেইল Sign in করুন। এখানে জিমেইল, রইটারস, উইকিপিডিয়াসহ অনেক কিছুই দেখতে পাবেন। জিমেইলে আপনার ইনবক্সেরর নতুন মেইলগুলোর বিষয়সহ দেখা যাবে, উইকিপিডিয়াতে সর্বশেষ তথ্য দেখা যাবে, যা আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন। এগুলো ড্রাগ করে স্ক্রিনের বিভিন্ন যায়গায় রাখতে পারেন। ইচ্ছে করলে বন্ধ করে দিতে পারেন। পারবেন নতুন নতুন বিষয় যুক্ত করতে। এজন্য উপরে বাম দিকের Add content » ক্লিক করে পছন্দের বিষয়গুলোর নিচে Add it now বাটনে ক্লিক করলে তা হোম পেইজে যুক্ত হবে। এভাবে আপনি বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করতে পারবেন এবং পছন্দমত সাজাতে পারবেন। আইটেম যোগ করা হলে « Back to homepage ক্লিক করে হোমপেইজে ফিরে যান। এরপর যখন গুগল ব্যবহার করবেন তখন www.google.com/ig থেকে Sign in করে ব্যবহার করবেন কারণ তাতে নিজের পছন্দের হোম পেইজতো পাবেনই এবং আপনার সার্চ করা তথ্য পার্সোনালাইজে সেভ হয়ে থাকবে।

ওয়েব বা ব্লগ সাইটে ক্রিকেটের লাইভ স্কোর

আপনার নিজস্ব ওয়েব বা ব্লগ সাইটে ক্রিকেটের লাইভ স্কোরবোর্ড যুক্ত করতে পারেন। ফলে আপনার সাইট ভিজিটররা আপনার সাইটে ব্রাউজ করার সময় নতুন পেজ না খুলেই ক্রিকেটের চলতি স্কোর দেখতে পারবে। এজন্য www.vcricket.com সাইটে যান। পেজের উপরে Put Live Cricket Score Card for your Website / Blog এ ক্লিক করলে নতুন একটি পেজ আসবে। পেজের নিজের দিকে বিভিন্ন সাইজের স্কোরবোর্ডের তালিকা দেয়া আছে আপনি Preview তে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। এরপরে Get Code এ ক্লিক করুন। অথবা সরাসরি www.vcricket.com/get_syndicated_scorecard_code.aspx এই ঠিকানাতে গেলেও হবে। এবার উপরে Developer key অংশে আপনার ইচ্ছামত কি দিন অথবা get it from here তে ক্লিক করে Domain Name/ URL এ আপনার সাইটের ঠিকানা লিখে Add বাটনে ক্লিক করলে কোড আসবে সেটি কপি করে এনে পেস্ট করুন। এবার ইচ্ছামত স্কোরবোর্ড ফরম্যাট নির্বাচন করে All teams নির্বাচিত রেখে নিচের Generate the code বাটনে ক্লিক করলে কোড আসবে যা আপনার সাইটে যুক্ত করলেই হবে।


একসাথে একাধিক ম্যাসেঞ্জার খোলা

সাধারণত একটি কম্পিউটার একসাথে একই ম্যাসেঞ্জার একাধিক খোলা যায় না। যেমন আপনি যদি ইয়াহু! ম্যাসেঞ্জারে লগইন করেন তাহলে আরেকটি আইডি ব্যবহার করতে নতুন আরেকটি ম্যাসেঞ্জার খুলতে পারবেন না। এমনই ভাবে গুগলেও একই সাথে একাধিক আইডি ব্যবহার করতে একাধিক ম্যাসেঞ্জার খোলা যায় না। আপনি যদি নতুন করে ম্যাসেঞ্জার খুলতে চান তাহলে পূর্বের খোলা ম্যাসেঞ্জারই চলে আসবে নতুন করে লগইন করার সুযোগ দেবে না। কিন্তু একটু ভিন্ন পন্থায় আপনি একাধিক আইডি ব্যবহার করতে একই সাথে একই কম্পিউটার ম্যাসেঞ্জার খুলতে এবং লগইন করে চ্যাটিং করতে পারবেন। yahoomessenger.jpg
এজন্য ডেক্সটপে (বা অন্য কোথাও) আপনার ম্যাসেঞ্জারের আরেকটি শর্টাকাট কপি তৈরী করুন এবং মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন। এবার Target এর টেক্সট বক্সের শেষে /nomutex লিখুন। এরপরে নোটপ্যাড খুলুন এবং নিচের সংকেত লিখে YahooPlural.reg নামে নেভ করুন।
Windows Registry Editor Version 5.00
[HKEY_CURRENT_USER\Software\yahoo\pager\Test]
“Plural”=dword:00000001.
এবার YahooPlural.reg চালু করে নতুন তৈরী করা ইয়াহু! ম্যাসেঞ্জারের শর্টকাট চালু করুন এবং অন্য আরেকটি আইডি ব্যবহার করে লগইন করুন। একই ভাবে আপনি গুগলটক একাধিক খুলতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের ৫ গিগাবাইটের অনলাইন ড্রাইভ

ইয়াহু!, গুগলের পরে মাইক্রোসফট তাদের গ্রাহকদের জন্য বিনামূল্যে অনলাইন ড্রাইভ/স্টোরেজ দিচ্ছে। ফলে এমএসএন, হটমেইল, লাইভ মেইলের গ্রাহকরা ৫ গিগাবাইটের ড্রাইভ/স্টোরেজ সুবিধা পারে। স্কাইড্রাইভ নামের এই অনলাইন ড্রাইভে তিনভাবে ফোল্ডার তৈরী করা যাবে। প্রথমত ব্যাক্তিগত যা শুধু ব্যবহারকারী লগইন করার পরে দেখতে পারবে ফলে এখানে ব্যাক্তিগত ফাইল/ডকুমেন্ট রাখা যাবে দ্বিতীয়ত শেয়ার (ইমেইলের মাধ্যমে আপনার পছন্দমত বন্ধুদের। আপনি চাইলে তাদের সম্পাদনার করার ক্ষমতাও দিতে পারেন) দেখতে পারবে এবং তৃতীয়ত পাবলিক এটি যে কেউ দেখতে পারবে। ফলে আপনি আপনার পাবলিক ফাইল/ফোল্ডারটি ওয়েবসাইটের লিংক হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। স্কাইড্রাইভ পেতে http://skydrive.live.com সাইট থেকে একটিভ করে নিতে হবে। এখানে ফাইল আপলোডের কোন সময়সীমা নেই যা অনান্য অনলাইন ড্রাইভে থাকে। অর্থাৎ আপনার এমএসএন/হটমেইল/লাইভ একাউন্ট যতদিন থাকবে ততদিন আপনার ফাইল সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকবে। এছাড়াও মিউজিক, ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট ইত্যাদি আপলোড করা যাবে যেকোন সাইজের।

পিডিএফকে ওয়ার্ড এবং এক্সেলে রূপান্তর করা

অনেক সময় পিডিএফ ফাইলকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা এক্সেলে রূপান্তর করার প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে www.hellopdf.com সফটওয়্যার দ্বারা পিডিএফ ফাইলকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে রূপান্তর করা যায়। কিন্তু লেখাগুলো বক্সে আসে ফলে বেশ অসুবিধা হয়। অনলাইন থেকে বিনামূল্যে আপনি পিডিএফ ফাইলকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা এক্সেলে রূপান্তর করতে পারেন্‌। পিডিএফ ফাইলকে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে রূপান্তর করতে www.pdftoword.com এবং পিডিএফ ফাইলকে মাইক্রোসফট এক্সেলে রূপান্তর করতে www.pdftoexcelonline.com এ যান। এবার Step 1 এ Browse বাটনে ক্লিক করে পিডিএফ ফাইলটি নির্বাচন করুন। এরপরে Step 2 এ ফরম্যাট নির্ধারণ করে Step 3 এ আপনার ইমেইল ঠিকানা লিখে Convert বাটনে ক্লিক করলে কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার মেইলে ওয়ার্ড বা এক্সেলের ফাইলটি চলে যাবে।



ইন্টারনেট ছাড়ায় ইয়াহু! ম্যাসঞ্জোর ৯.০ ইনষ্টল করা

আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তারা কোন না কোন সময়ে ইয়াহু! ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করেছি। সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ম্যাসেঞ্জারের সাহায্যে টেক্সট চ্যাটিং, ভয়েস চ্যাটিং এবং ভিডিও চ্যাটিংসহ সহজে ফাইল ট্রান্সেফার করা যায়। তবে ইয়াহু! ম্যাসঞ্জোরের পুরাতন সংস্করণের মূল ইনষ্টলার দ্বারা সহজে ইনষ্টল করা গেলেও নতুন সংস্করণ ৯.০ (msgr9us) ডাউনলোড করলে ৪৩৫ কিলোবাইট ডাউনলোড হয় এবং ইনষ্টল করার সময় ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় মূল ফাইলটি টেম্পোরারীতে ডাউনলোড হয়ে ইনষ্টল হয়ে থাকে। পূর্বের সকল সংস্করণ ইন্টারনেটের সংযোগ ছাড়া ইনষ্টল করা গেলেও নতুন সংস্করণ ৯.০ ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া ইনষ্টল করা যায় না। অর্থাৎ আপনাকে প্রতিবার ইনষ্টল করার সময়ে ১৪ মেগাবাইট মত ডাউনলোড করতে হচ্ছে।
এ থেকে সহজে বাচাঁর উপায় হচ্ছে যখন ইয়াহু! ম্যাসেঞ্জার ৯.০ ইনষ্টল করবেন তখন দেখবেন টেম্পোরারী ফোল্ডারে (রানে গিয়ে %temp% লিখে এন্টার করলে আসবে) ৪১১০২০৬ বা এধরণের একটি ফোল্ডার তৈরী হয়েছে এবং তাতে ymsgr_inst_us.exe নামের মূল ম্যাসেঞ্জার ডাউনলোড হচ্ছে (যা ইনষ্টল করার সময় দেখা যাবে), এছাড়াও কিছু ডিএলএল ফাইলও ডাউনলোড হয়। এটি ডাউনলোড হওয়ার পরেই ইনষ্টল হয় এবং সয়ংক্রিয়ভাবে উক্ত ইনষ্টলারটি মুছে যায়। আপনি যদি টম্পোরারীতে ডাউনলোড (৯৮ পার্সেন্ট) শেষে এবং ইনষ্টল শেষ হওয়ার আগে উক্ত টেম্পোরারী ফোল্ডার কপি করে রাখতে পারেন তাহলে উক্ত ymsgr_inst_us.exe নামের মূল ম্যাসেঞ্জার দ্বারা পরবর্তীতে ইন্টারনেটের সংযোগ ছাড়ায় এক মিনিটে ইয়াহু! ম্যাসেঞ্জার ৯.০ ইনষ্টল করতে পারবেন। আর আপনি এসব ঝামেলা করতে না চাইলে http://doiop.com/Yahoo-Massanger9.0 থেকে উক্ত প্যাক ডাউনলোড করে সহজেই ইয়াহু! ম্যাসেঞ্জার ৯.০ ইনষ্টল করতে পারবেন।
http://www.esnips.com/doc/03ac1ea0-23fc-4fd2-93c9-9f57f04713f4/Yahoo-Massanger-9.0




অবমুক্ত হলো ইয়াহু! ম্যাসেঞ্জার ১০

জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেঞ্জার ইয়াহু! ম্যাসেঞ্জার এর নতুন সংস্করণ ১০ এর পরীক্ষামূলক সংস্করণ বের হয়েছিলে বেশ কিছুদিন আগে, অবশেষে তাদের অফিসিয়াল সাইটে ফাইনাল সংস্করণ অবমুক্ত হয়েছে। ম্যাসেঞ্জারটি উইন্ডোজের পাশাপাশি ম্যাক, মোবাইল এবং আইফোনে ব্যবহার করা যাবে। নতুন এই ম্যাসেঞ্জারে যুক্ত হয়েছে হাই কোয়ালিটি ভিডিও কলিং, ওয়াই আপডেট (কন্ট্রাক্ট লিষ্টে থাকা ব্যাক্তির হালনাগাত তথ্য ইত্যাদি। নিজের আপডেট বন্ধ করতে বা অন্যের আপডেট বন্ধ করতে পারবেন Messenger > Preferences > Yahoo! Updates গিয়ে।
নতুন এই ম্যাসেঞ্জারটির বিস্তারিত পাওয়া যাবে www.ymessengerblog.com/blog এখানে এবং http://messenger.yahoo.com থেকে ডাউনলোড করা যাবে আর অফলাইন সংস্করণ পাওয়া যাবে http://download.yimg.com/ycs/msg/dl/msgr10/us/ymsgr1000_1102_us.exe এই লিংকে।


৫০ গিগাবাইটের ওয়েব ড্রাইভ

ফ্রি ওয়েব সাইটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ফাইল আপলোডের সীমাবদ্ধতা। এছাড়াও যায়গা কম থাকে। এসমস্য সমাধানে রয়েছে অনেকগুলো অনলাইন ড্রাইভ। কিন্তু এগুলোতেও যায়গা তেমন একটা বেশী দেয় না। ১/২/৫ গিগাবাইটে যদি আপনার না হয় তাহলে একাধিক একাউন্ট খুলেতে হয়। এসমস্যা সমাধান দেবে এড্রাইভ। এখানে ৫০ গিগাবাইট যায়গা পাওয়া যাবে বিনামূল্যে। ফলে ওয়েবে বড় বড় ফাইল হোষ্টিং এর সমাধানের পাশপাশি নিজের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো নিরাপদে রাখা যাবে। এজন্য www.adrive.com সাইটে ঢুকে রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হবে। আপনি চাইলে এখানে ফোল্ডার তৈরী করে নিতে পারেন, আর একসাথে একাধিক ফাইল আপলোড করা যাবে। এছাড়া ফোল্ডার ধরেও আপলোড করতে পারবেন। আপনার আপলোড করা ফাইলগুলো (এপলিকেশন, মিউজিক, ভিডিও, ফটো, ডকুমেন্ট ইত্যাদি) আপনি শেয়ার দিতে পারেন এছাড়াও ব্যাক্তিগতভাবে রাখা যাবে।


এক ক্লিকেই চলবে পছন্দের গান

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা সবাই গান শুনতে পছন্দ করি তা অস্বীকার করবে না কেউ। কিন্তু বারবার গান পরিবর্তন করে পছন্দের গান চালু করা ঝামেলা ও সময় সাপেক্ষ। এছাড়াও একই কম্পিউটারে একাধীক ব্যবহারকারী থাকলে তাদের পছন্দ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। ফলে সময় বাঁচানোর জন্য এবং সহজে গান চালু করার জন্য প্রত্যেকের জন্য আলাদা গানের প্লে লিষ্ট বা তালিকা তৈরী করতে পারেন। তাতে বারবার পছন্দের গান বাছায় করা থেকে যেমন বাঁচবেন তেমনই দ্রুত বিভিন্ন প্লে লিষ্টে ক্লিক করে পছন্দের গান চালু করতে পারবেন। প্লে লিষ্ট তৈরী করতে জেট অডিও ৫, পাওয়ার ডিভিডি, উইনিয়াম্প বা অন্য যেকোন মিউজিক প্লেয়ার ব্যবহার করতে পারেন। এখানে জেট অডিও এর মাধ্যমে প্লে লিষ্ট তৈরী করা দেখানো হলো। প্রথমে জেট অডিও চালু করে আপনার পছন্দের গান চালু করুন। যেহেতz পছন্দের গান একাধীক তাই গানগুলো একই সাথে শুনতে বাকী গানগুলো প্লে লিষ্টে যোগ করতে হবে। এজন্য প্লে লিষ্ট Add বাটনে ক্লিক করে প্লে লিষ্ট উইন্ডো ওপেন করুন এবং এখান থেকে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Add Files ক্লিক করে আবার Add Files ক্লিক করুন অথবা (Ctrl+I) চাপুন। এবার বিভিন্ন ড্রাইভে বা ফোল্ডারে থাকা পছন্দের গান সিলেক্ট করে Open বাটনে ক্লিক করে ওপেন করুন। তাহলে দেখবেন তা প্লে লিষ্টে যোগ হয়েছে। এভাবে আপনার পছন্দের গানগুলো এক এক করে প্লে লিষ্টে যোগ করুন। এরপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Export… এ ক্লিক করে নির্দিষ্ট ফোল্ডারে (যেমন Best Song নামে) সেভ করুন। আপনি চাইলে অডিও এবং ভিডিও গান আলাদা ভাবে সেভ করতে পারেন। একই ভাবে আপনি একাধীক প্লে লিষ্ট তৈরী করতে পারেন পছন্দ, ধরণ বা অন্য যেকোন ভাবে। এখন টাস্কবারে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Toolbars থেকে New Toolbar… ক্লিক করে যে ফোল্ডারে প্লে লিষ্ট সেভ করেছেন সেই ফোল্ডারে সিলেক্ট করে Ok করুন। তাহলে টাস্কবারে Best Song নাম দেখা যাবে যার ডানে >> চিহ্ন আসবে সেখানে ক্লিক করলে আপনার তৈরী করা প্লে লিষ্টগুলো দেখা যাবে। এবার যে প্লে লিষ্টে ক্লিক করবেন তা চলতে থাকবে।


পিংবক্স দ্বারা নিজের সাইট ভিজিটরের সাথে চ্যাট করা

আপনার ওয়েব সাইটে যারা ভিজিট করছে তাদেরকে কোন ম্যাসেঞ্জার ছাড়াই আপনার সাথে চ্যাটিং করার সুযোগ করে দিতে পারেন ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার পিংবক্স দ্বারা। ফলে আপনার সাইটের ভিজিটরদের নিজস্ব একাউন্ট বা ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার ইনস্টল থাকার প্রয়োজন নেই। আপনি অনলাইনে থাকলে ভিজিটররা কোন ঝামেলা ছাড়াই সরাসরি আপনার সাথে চ্যাটিং করতে পারবে।
এজন্য http://messenger.yahoo.com/pingbox সাইটে যান এবং সাইন ইন করুন। এবার Create a Pingbox বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে New Pingbox এ পছন্দের পটভুমি, Text size & color এ ফন্টের সাইজ এবং রং, Display name, Online greeting, Offline message পূবণ করুন, Require visitors to enter Nickname to send IM (ফলে ভিজিটরকে অবশ্যয় একটি নাম দিতে হবে) এ টিক চিহ্ন দিন, Save Pingbox as এ নাম লিখে Save বাটনে ক্লিক করুন। এবার পরবর্তী পেজ থেকে আপনার সাইটের ধরন এবং পিংবক্সের সাইজ নির্ধারণ করুন। সবকিছুর ডানে দেখা যাবে এবং কোড জেনারেট হবে। এবার Copy to Clipboard বাটনে ক্লিক করলে ক্লিপ বোর্ডে কোড আসবে। এরপরে আপনার সাইটে কোড পেস্ট করুন। এরপরে আপনি ইয়াহুতে লগইন অবস্থায় থাকলে পিংবক্সের মাধ্যমে ভিজিটরটরা আপনার সাথে চ্যাটিং করতে পারবে। আপনি চাইলে পরবর্তিতে পিংবক্স পরির্বতন বা মুছে দিতে পারবেন। প্রয়োজনে ম্যাসেঞ্জারে পিংবক্স বন্ধ করেও রাখতে পারবেন।

সহজেই গানের প্লেলিস্ট তৈরী করা

পছন্দের গানের প্লেলিস্ট তৈরী করা থাকলে এক ক্লিকেই সেই গানগুলো শোনা যায়। প্রায় সকল মিডিয়া প্লেয়ারেই গানের প্লেলিস্ট তৈরী করার ব্যবস্থা আছে। তবে প্লেলিস্ট ক্রিয়েটর সফটওয়্যার দ্বারা আরো সহজেই করা যাবে। মাত্র ১.৪ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার সফটওয়্যারটি www.oddgravity.com থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। এই সফটওয়্যারে সকল ফরম্যাটের অডিও গান সহজেই যোগ দেওয়া, বাদ দেওয়া, সাজানো যাবে এবং .pls এবং .m3u ফরম্যাটে সেভ করা যাবে।


আবারো ফ্রি কল এবং এসএমএস

ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে কল এবং এসএমএস করার অনেক ওয়েব সাইট আছে। এমনই এক ওয়েব সাইট হচ্ছে www.dcalling.com। এখান থেকে বিনামূল্যে এসএমএস এবং কল করা যায়। এজন্য register for free থেকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করে নিন। তাহলে আপনার মেইলে একটি একটিভিশন লিংক আসবে। এবার উক্ত লিংকে ক্লিক করে একাউন্ট একটিভ করুন এবং লগইন করুন। ভাষাগত সমস্যা হলে উপরের ড্রপডাউন থেকে ইংরেজী ভাষা নির্বাচন করে নিন।
এবার মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করার জন্য SMS মেনু থেকে SMS এ ক্লিক করুন। এবার আপনার মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন করতে Verification এ ক্লিক করুন। এবার CALLER ID অংশে আপনার মোবাইল নম্বর (দেশের কোড ছাড়া) লিখে ADD NEW CALLERID এ ক্লিক করুন। এরপরে VERIFY NOW বাটনে ক্লিক করে CALL ME NOW বাটনে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে কল আসবে। এরপরে আপনি প্রদর্শিত ভেরিফিকেশন কোড টাইপ করে ভেরিফিকেশন সমম্পন্ন করুন।
এবার এসএমএস করার জন্য SMS মেনু থেকে SMS এ ক্লিক করুন এবং SMS option: এ Free SMS নির্বাচন করে এসএমএস করুন। এভাবে আপনি প্রতিদিন ৫ টি এসএমএস করতে পারবেন।
কল করার জন্য TELEPHONE মেনু থেকে WEB-CALLBACK এ ক্লিক করে ৮ মিনিট কল করুন বিশ্বের যেকোন প্রান্তে।
এভাবে আপনি একাধিক একাউন্ট খুলে কল করতে পারবেন।

অনলাইনে ছবি কাটা ছেড়া করা

অনলাইনে ছবি সম্পাদন করার অনেক সাইট আছে। ‘কাট মাই পিক’ সাইটে তেমনই একটি সাইট যেখানে ছবি কাটা বা কর্ণার করা বা ছায়া যুক্ত করা যাবে। আর সেই সাথে সম্পাদন করা ছবি ডাউনলোড বা মেইল করা যাবে।
স্টেপ ১) এজন্য www.cutmypic.com সাইটে গিয়ে ছবি ব্রাউজ করে GO বাটনে ক্লিক করুন।
স্টেপ ২) এবার ছবির কতটুক রাখতে চান তা নির্বাচন করুন বাম পাশের Original Pic থেকে। মাঝের কর্ণার এবং ড্রপ সেডো নির্বাচন করে ডানে Preview বাটনে ক্লিক করে প্রিডিউ দেখুন। কাজ শেষ হলে Done! বাটনে ক্লিক করুন।
স্টেপ ৩) ছবিটি কাউকে মেইল করতে ফরম পূরণ করে Send! বাটনে ক্লিক করুন আর কম্পিউটারে সেভ করতে ডানের Save Your Pic! বাটনে ক্লিক করে সেভ করুন।

ডেক্সটপ থেকে জানা যাবে ফেসবুকের আপডেট

জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকে কোন স্ট্যাটাস পোস্ট করতে, রিকোয়েস্ট বা ম্যাসেজ এসেছ কি না দেখতে ফেসবুকে লগইন করতে হয়। ওয়েব সাইটে না গিয়েও ফেসবুক নোটিফিকেশনস এ্যাপলিকেশন দ্বারা আপটেড জানা যাবে এবং পোস্ট করা যাবে। ৯০১ কিলোবাইটের এই ফ্রিওয়্যার সফটওয়্যারটি http://code.google.com/p/apjunktion-notifications থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে মাইক্রোসফট ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ইনস্টল থাকতে হবে। এখন সফটওয়্যাটি ইনস্টল করে লগইন করুন তাহলে একটি স্ট্যাটাসবারে ফেসবুকের বর্তমান স্ট্যাটাস দেখাবে। এখানে থেকে ফেসবুকে পোস্টও করা যাবে।

ইয়াহু! এর মাইক্রো ব্লগিং ‘মীমী’

জনপ্রিয় ইমেইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াহু! meme (মীমী) নামে মাইক্রো ব্লগিং চালু করেছে। মূল কথা হচ্ছে কিছুদিন আগে ইয়াহু! মীমী পর্তুগিজ এবং স্প্যনিশ ভাষাতে অবমুক্ত হয় এবং সমপ্রতি ইংরেজী ভাষাতে অবমুক্ত হলো। এখন দেখার বিষয় ইয়াহু! এর এই সেবা টুয়িটারের (www.twitter.com) বা টাম্বল্‌র (www.tumblr.com) এর জন্য কতটা শক্ত প্রতিদন্দ্বী হতে পারে। টুয়িটারের মত এখানেও স্ট্যাটাস পোস্ট করা যাবে আর সাথে বাড়তি হিসাবে থাকছে ছবি, অডিও এবং ভিডিও যোগ করার ব্যবস্থা। ছবির ক্ষেত্রে কম্পিউটার থেকে আপলোড বা ওয়েবসাইটে লিংক, অডিও এর ক্ষেত্রে এমপিথ্রি এর লিংক এবং ভিডিও এর ক্ষেত্রে YouTube বা Vimeo এর লিংক ব্যবহার করা যাবে।
মীমী ব্যবহারে জন্য ইয়াহুর একাউন্ট থাকতে হবে। মোবাইল এবং উভয় ক্ষেত্রে http://meme.yahoo.com সাইটে গিয়ে ব্যবহার করা যাবে তবে মোবাইলের জন্য আলাদা সংস্করণ হচ্ছে http://m.yahoo.com/w/meme। প্রথমে উপরোক্ত সাইটে গিয়ে Start Now ক্লিক করে Yes, I am a Yahoo! User করুন এবং ইয়াহু! একাউন্ট দ্বারা লগইন করুন। এরপরে প্রোফাইলে ছবি, শিরোনাম এবং ওয়েব ঠিকানা যোগ করতে পারবেন।

বাংলা রেডিও শুনুন অনলাইনে

চিত্তে যেথায় বাংলা গান শ্লোগান নিয়ে অনলাইনে ২৪ ঘন্টার বাংলা রেডিও আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে ২৬শে মার্চ থেকে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ থেকে পরীক্ষামূলক সমপ্রচার শুরু হয়। ৬৪ বিটের পাশাপাশি ধীরগতির ইন্টারনেটের কথা মাথায় রেখে ৩২ বিটে সমপ্রচার করা হচ্ছে রেডিওগুনগুন। এই অনলাইন রেডিওতে বাংলা গানের পাশাপাশি থাকছে সংবাদ এবং লাইভ অনুষ্ঠান। রেডিওগুনগুন শুনতে লগইন করুন www.radiogoongoon.com এ।

ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে কল করুন

ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে এসএমএস করা যায় এটা আমরা জানি। এমনভাবে ইন্টারনেট বিনামূল্যে কল করা যায় বিশ্বের যেকোন মোবাইলে বা ফোনে। এজন্য www.tokiva.com সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করুন তাহলে আপনার মেইলে একাউন্ট একটিভেশন মেইল আসবে। এখন ইমেইল খুলে একাউন্ট একটিভ করুন এবং টকিভা সাইটে লগইন করুন। এরপরে আপনার নাম এবং পরবর্তীতে দেশ ও মোবাইল নম্বর লিখুন। তাহলে From অংশে সয়ংক্রিয়ভাবে আপনার মোবাইল নম্বর চলে আসবে। এবার আপনি যে নম্বরে কল করতে চান To তে সেই নম্বর (দেশের কোড সহ) লিখে ডায়াল বাটনে ক্লিক করুন, তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরে কল আসবে এবং যে নম্বরে কল করতে চান সেই নম্বরে কল যাবে। কলটির সংযোগ স্থাপন হলে উক্ত মোবাইলে ৩ মিনিট কথা বলতে পারবেন। এটি মূলত ট্রাইল কল যা একটি একাউন্ট (একটি নম্বর) থেকে একবারই করা যাবে।
Sorry, This service is now unavailable for Bangladesh…

ফ্রি SMS পাঠাতে পারবেন freesms.cloudapp.net থেকেও

ইন্টারনেট থেকে মোবাইলে বিনামুল্যে এসএমএস পাঠানো যায় এমন অনেক সাইট আছে। রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলা ছাড়াই সহজেই এসএমএস করা যায় এমনই একটি ওয়েবসাইটির ঠিকানা হচ্ছে http://freesms.cloudapp.net। এই সাইট থেকে এসএমএস পাঠাতে হলে ৪ অক্ষরের ক্যাপচা লিখতে হয়। সাইটটিতে গিয়ে Moblie Number: এ দেশের কোডসহ মোবাইল নম্বর (যেমন, ৮৮০১৭১৩******) লিখে Message: এ সর্বোচ্চ ১৬০ অক্ষরের ইংরেজীতে ম্যাসেজ লিখুন এবং Verify: এ ডানে থাকা অক্ষর (ক্যাপচা) লিখে করে Send বাটনে ক্লিক করলেই হবে। এসএমএস প্রাপক তাৎক্ষনাত এসএমএস পাবেন তবে প্রেরক হিসাবে +৪৪৭৭৯৭৮০৬০২১ নম্বর প্রদর্শিত হবে। এই সাইটটিও অনান্য সাইটের মত সকল মোবাইল অপারেটর সমর্থন করে না, বাংলাদেশে গ্রামীণফোন, ওয়ারিদ এবং একটেল সমর্র্থন করে। এসএমএস প্রতিবার সফলভাবে পাঠানো যায় না তবে সফল পাঠানো হয়েছে কি না তার স্ট্যাটাস প্রদর্শন করে।

অনলাইনেই ইউনিকোডে বাংলা লিখুন এবং রূপান্তর করুন

ধরুন আপনি প্রথমআলো অনলাইন সংস্করণের লেখা কম্পিউটারে রাখতে চাচ্ছেন বা কাউকে মেইল করতে চাচ্ছেন বা আপনি কম্পিউটারে বিজয়ে বাংলা লিখা ইউনিকোডে রূপান্তর করতে চাচ্ছেন অথবা ইউনিকোডে বাংলা লিখতে চাচ্ছেন। এজন্য কোন সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয় কিন্তু একটি ওয়েসাইট থেকেই আপনি এর সবগুলো পাবেন। এজন্য প্রথমে http://bnwebtools.sourceforge.net সাইটে ঢুকুন। এবার প্রথমআলোর অনলাইন সংস্করণের লেখা কপি করে এনে নিচের টেক্সট বক্সে পেষ্ট করুন এবং বংশী নির্বাচন করে ইউনিকোডে বদলে উপরে নাও বাটনে কিক করুন। তাহলে উপরের টেক্সট বক্সে নিন্মাক্ত লেখাগুলো ইউনিকোডে রূপান্তর হয়ে যাবে। এভাবে আপনি বিজয়, সামহোয়ার-ইন টেক্সট, বৈশাখী, বংশী, বর্ণসফট, ফোনেটিক, এইচটিএমএল সেফ হেক্স এবং এইচটিএমএল সেফ ডেসি ইত্যাদি ভাবে প্রচলিত বাংলা লিখাকে ইউনিকোডে, অন্য প্রচলিত বাংলাতে বা ইউনিকোড থেকে প্রচলিত বাংলাতে (পুরানো বাংলায় বদলে নীচে আনো বাটনের কিক করে) রূপান্তর করতে পারবেন। আর উপরের টেক্সট বক্সে সরাসরি বিজয়, সামহোয়ার-ইন টেক্সট, বৈশাখী, বংশী, বর্ণসফট, ফোনেটিক, এইচটিএমএল সেফ হেক্স এবং এইচটিএমএল সেফ ডেসি কিবোর্ড মুডে ইউনিকোডে বাংলা লিখতে পারবেন। এ বিষয়ে বিন্তারিত নিয়মকানুন উক্ত পাতাতে বর্ণিত আছে। এছাড়াও অনলাইনে লেখন পদ্ধতি এবং পরিবর্তন করার আরো কিছু টুলের ঠিকানাও এখানে পাবেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই পেজটি ডাউনলোড করে অফলাইনেও ব্যবহার করতে পারবেন।

ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে এসএমএস প্রেরণ

বিনামূল্যে ইন্টারনেট থেকে মোবাইলে এসএমএস করা যায় বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট থেকে। এমনই কিছু ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেওয়া হলো।
www.clickatell.com – এখান থেকে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকে এসএমএস করা যাবে। এখানে রেজিষ্ট্রেশনের সময় ইমেইল ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর (গ্রামীণফোন বা বাংলালিংকে) লাগবে, কারণ মোবাইল নম্বরে ও ইমেইলে একটি করে কোড আসবে, যার সাহায্যে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে এসএমএস করা যাবে। তবে একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে তিনবারের বেশী রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে না। একবার রেজিষ্ট্রেশনে বাংলালিংকে ১২টি অথবা গ্রামীণফোনে ১০টি এসএমএস করা যাবে। এই সাইটে সবচেয়ে মজার সুবিধা হচ্ছে আপনি যে নম্বরে এসএমএস করবেন সেখানে আপনার সেন্ডার আইডি পরিবর্তন করে অন্য নম্বর বা নাম ব্যবহার করতে পারেন ফলে প্রাপক উক্ত নাম বা নম্বর থেকে এসএমএস পাবে।
www.powerofmessaging.com – ইমেইল ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরের সাহায্যে রেজিষ্ট্রেশন করে গ্রামীণফোন, বাংলালিংকে ও একটেলের গ্রাহকরা এখানে এসএমএস করতে পারবেন।
www.cellebrum.com – এখান থেকে শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে। এখান থেকে রেজিষ্ট্রেশন করলে মোবাইলে পাসওয়ার্ড আসবে। তবে এখানে সুবিধা হচ্ছে পিকচার মেসেস, রিংটোন, ওয়ালপেপার মোবাইলে পাঠানো যাবে। যে মোবাইলে পাঠাবেন সেই মোবাইলে সেন্ডার নম্বর হিসাবে রেজিষ্ট্রেশনকৃত মোবাইল নম্বর দেখাবে। এখানে একবারের বেশী রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে না।
www.chatbar.com – এখানে রেজিষ্ট্রেশন করতে মোবাইলের প্রয়োজন হয় না। ফলে একাধিকবার রেজিষ্ট্রেশন করে এসএমএস করা যাবে। যে মোবাইলে এসএমএস করবেন সে মোবাইলে ওয়েবসাইটের নাম আসবে এবং এসএমএসের শেষে ইউজার নাম প্রদর্শিত হবে। তবে এ সুযোগ শুধুমাত্র গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের।
www.mig33.com – এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করতে মোবাইলে জিপিআরএস সংযোগ থাকতে হবে। এখঅনে রেজিষ্ট্রেশন করলে বিনামূল্যে এক ডলার পাওয়া যাবে, যা দ্বারা সমমুল্যে আন্তর্জাতিক কল করা যাবে। আর সাথে থাকছে রিংটোন, ওয়ালপেপার ডাউনলোডের সুবিধা।



ফ্রি SMS করুন kuripotxt থেকে

বিনামূল্যে বিভিন্ন সাইট থেকে এসএমএস করা যায় আবার পরবর্তীতে এই সুবিধা সীমিত বা বন্ধও হয়ে যায়। সমপ্রতি এরকমই ফ্রি এসএমএস এর একটি ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। এই সাইট থেকে বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলা ছাড়ায় যত খুশি এসএমএস করা যাবে। এজন্য www.kuripotxt.net সাইটে গিয়ে মোবাইল নম্বর বক্সে দেশের কোডসহ (যেমন, ৮৮০১৭১৩******) মোবাইল নম্বর লিখে নিজের ম্যাসেজ বক্সে ১৬০ ক্যারেক্টারের ম্যাসেজ লিখে Send বাটনে ক্লিক করলেই হবে। প্রাপকের মোবাইলে প্রেরক হিসাবে +৪৪৭৭৯৭৮০৬০২১ নম্বর দেখাবে। বাংলাদেশে গ্রামীনফোন, ওয়ারিদ এবং একটেল অপারেটর সমর্থন করে। বর্তমানে আনলিমিটেড এসএমএস করা যাবে। পরে কি হয় কে জানে।

ওয়ারিদ নম্বরে ফ্রি এসএমএস করুন

যারা ওয়ারিদ ব্যবহার করেন তাদের কাছে বিনামূল্যে এসএমএস করতে পারবেন ওয়ারিদের ওয়েবসাইট (www.waridtel.com.bd) থেকে। মূলত আপনি যেকোন ওয়ারিদ নম্বর দ্বারা এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করলে আপনার মোবাইলে একটি এ্যাকটিভেশন কোড আসবে যার দ্বারা রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হবে।
এরপর থেকে আপনি লগইন করে WebToSMS থেকে যেকোন ওয়ারিদে ইচ্ছামত এসএমএস করতে পারেন।

আর এখান থেকে আপনার মোবাইলের এফএনএফ যোগ, ডিলিট করতে পারবেন বিনা খরচে (তবে এফএনএফ রিপ্লেস করলে ১০ টাকা চার্জ কাটা যাবে, তার চেয়ে এফএনএফ ডিলিট করে এ্যাড করা ভাল)। আর বিনাখরচে Recharge History দেখতে Account Information জানতে Address Book নম্বর যোগ করতে পারবেন।

অনলাইনে তথ্যের নিরাপদ সংরক্ষণ

অনেক ভাবেই আমাদের কম্পিউটার থেকে তথ্য (ফাইল) মুছে যেতে পারে বা চুরি হতে পারে অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কিন্তু আমরা যদি অনলাইনে আমাদের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো (ফাইলগুলো) আপলোড করে রাখি তাহলে সেগুলো যেমন অধিক সুরক্ষিত থাকবে। তেমনই হাতের কাছে নিজের কম্পিউটার না থাকলেও যেকোন সাইবার ক্যাফে বা অন্যের কম্পিউটার (অনলাইন যুক্ত) থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারি। অনলাইনে ফাইল স্টোরের আরো সুবিধা হচ্ছে এখানে আপলোড করা ফাইল যেমন অন্যকে শেয়ার দেওয়া যায় তেমনই বিনামূল্যে নিজের তৈরী ওয়েবসাইটের লিংকে ব্যবহার করা যায়। বিনামূল্যে পাওয়া ওয়েব হোষ্টিংয়ে বড় ফাইল আপলোড করা যায় না ফলে এখানে আপলোড করা বড় সাইজের ফাইল যুক্ত করা যায়। বিনামূল্যে অনলাইনে ফাইল ষ্টোর করা বা অনলাইন ড্রাইভ ব্যবহার করা যায়। এমনই কিছু ওয়েবসাইটের ঠিকানা ও সুবিধা দেওয়া হলো যা আপনার তথ্যকে নিরাপত্তা দেবে।
Gmail Drive জিমেইলে যাদের একাউন্ট আছে তারা জিমেইল ড্রাইভ ইনষ্টল করে অতিরিক্ত জিমেইলের সমপরিমান যায়গার অনলাইনে একটি ড্রাইভের পাওয়া যাবে। www.herbsforlife.nl/download থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে সেটআপ করলে আপনার কম্পিউটারের Gmail Drive নামে একটি নতুন ড্রাইভ আসবে। এই জিমেইল ড্রাইভ জিমেইলের আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে সাধারণ ড্রাইভের মত ব্যবহার করতে পারবেন। এখানকার সুবিধা হচ্ছে এই ড্রাইভে যে ফাইলই পোষ্ট করুন না কেন তা আপনার মেইলে সয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত মেইল হিসাবে পৌছে যাবে।
www.mediamax.com: মিডিয়াম্যাক্সে খুব সাধারণ ভাবে রেজিষ্ট্রেশন করে অনলাইনে ২৫ গিগাবাইটের যায়গা পাওয়া যাবে। এখানে অডিও, ভিডিও, এমপিথ্রি, ইমেজ ফাইল এবং বিভিন্ন ফরমেটের ফাইল আপলোড ও শেয়ার করা যাবে। এই সাইটে সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে এখানে যেকোন সাইজের ফাইল সহজে আপলোড করে রাখতে পারবেন।
www.xdrive.com: আমেরিকা অনলাইন লিমিটেড (AOL) বিনামূল্যে ৫ গিগাবাইট অনলাইন যায়গা দিচ্ছে। এখানে ফটো, মিউজিক, ভিডিও বা অন্য যেকোন ধরণের ফাইল আপলোড করা যাবে। এখানে পাওয়ার টুলসের সাহায্যে সহজে ফাইলগুলো দেখা বা ডাউনলোড করা যাবে।
www.inbox.com: বর্তমানে জিমেইল ও ইয়াহু হচ্ছে বিনামূল্যে ই-মেইল সেবাদানকারী সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। জিমেইল ২ গিগাবাইটের এর অধিক এবং ইয়াহু ১ গিগাবাইট ই-মেইল যায়গা দিচ্ছে। তেমনই ইনবক্স দিচ্ছে ২ গিগাবাইট যায়গা। এখানে রেজিষ্ট্রেশন করতে গ্রামীণফোন এর মোবাইলের প্রয়োজন হবে। এখানে সবর্চ্চো ২০ মেগাবাইটের ফাইল ফাইল আপলোড করা যাবে। তবে সুবিধা হচ্ছে এক কিকেই ষ্টোরে থাকা ফাইলকে মেইলের এটাসমেন্ট আনা যাবে বা এটাসমেন্টের ফাইলগুলোকে ষ্টোরে রাখা যাবে।
http://briefcase.yahoo.com: ইয়াহুতে যাদের ই-মেইল একাউন্ট আছে তারা ইয়াহু ব্রিফকেসে ৩০ মেগাবাইট পর্যন্ত ফাইল আপলোড করতে পারবেন। এখানে সর্বোচ্চ ৫ মেগাবাইটের ফাইল ফাইল আপলোড করা যাবে। এছাড়াও ইয়াহু ফটোতে ৩০ মেগাবাইট পর্যন্ত ফটো আপলোড করা যাবে।
www.esnips.com: ই-স্নিপস বিটা সহজে রেজিষ্ট্রেশন করে বিনামূল্যে ৫ গিগাবাইট যায়গা পাওয়া যাবে। এখানে যেকোন ধরণের ওয়েব ফাইল, অডিও, ভিডিও বা ডকুমেন্টস ফরমেটের ফাইল আপলোড করা যাবে। ফাইলগুলোকে প্রাইভেট, পাবলিক বা নির্দিষ্ট ইউজারের জন্য শেয়ার করা যাবে।
www.drivehq.com: ড্রাইভ হোটকোয়াটারসে বিনামূল্যে ১ গিগাবাইট যায়গা পাওয়া যাবে। এখানে এফটিপি সার্ভার বা এদের নিজস্ব সফটওয়ারের সাহায্যে ফাইল আপলোড করা যাবে। সেইসাথে ডাটা শেয়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে।
http://storage.vmn.net: ভিএমএস ডট নেটে বিনামূল্যে রেজিষ্ট্রেশন করে ১ গিগাবাইট যায়গায় ফাইল রাখা যাবে। এখানে ফাইল ম্যানেজারের সাহায্যে সহজে ফাইল আপলোড ও শেয়ার করা যাবে।
www.box.net: বক্স ডট নেটেও বিনামূল্যে ১ গিগাবাইট যায়গা পাওয়া যাবে। এখানে ফোল্ডার গুলোকে প্রাইভেট ও পাবলিক হিসাবে আপলোড করা যাবে। বক্স ডট নেটের সুবিধা হচ্ছে এখানকার ফাইল মোবাইলেও একসেস (ডাউনলোড ও আপলোড) করা যাবে এবং ফটো গ্যালারী তৈরী করা যায়।
এছাড়াও www.web-a-file.com, www.uploadraid.com, www.anytimenow.com, www.tradebit.com, www.HyperOffice.com ওয়েবসাইট থেকেও বিনামূল্যে ফাইল আপলোড, সংরক্ষণ ও ডাউনলোডের ব্যবস্থা আছে।


সয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইনে ফাইল রাখা

ফাইলের নিরাপত্তার জন্য আমরা অনলাইনে তা আপলোড করে রাখি। এর সুবিধা হচ্ছে অন্য কম্পিউটারে থেকেও আপলোড করা ফাইল যাতে দেখা বা ব্যবহার করা যায়। আর শেয়ার করার সুবিধা থাকলেতো কথায় নেই। অনলাইনে বিভিন্ন যেসকল ফ্রি আপলোডিং সাইট আছে তার মধ্যে ড্রপবক্স অন্যতম। এতে আপনি প্রাথমিকভাবে ২ গিগাবাইট যায়গা পাবেন, তবে রেফারেলের মাধ্যমে যাইগা বৃদ্ধি করতে পারবেন। ড্রপ বক্সের সুবিধা হচ্ছে এর নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের লোকাল ফোল্ডারে ফাইল রাখলে ইন্টারনেটের সংযোগ থাকলে সয়ংক্রিয়ভাবে তা আপনার একাউন্টে (অনলাইন সার্ভারে) আপলোড হয়ে যাবে। এজন্য আলাদা কোন কিছু করতে হবে না। যখনই কোন ফাইল রাখুন, পরিবর্তন করুন বা মুছে ফেলূন তা সিনক্রোনাইজিং হবে। ১৪ মেগাবাইটের ফ্রি এই সফটওয়্যারটি www.getdropbox.com থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। ইনস্টল করার সময়ে ইচ্ছামত ফোল্ডার দেখিয়ে দিন না হলে মাই ডকুমেন্টে My Dropbox নামে একটি ফোল্ডার আসবে। তবে পরবর্তিতে আপনি Dropbox Preference থেকে লোকেশন পরিবর্তন করতে পারনে। এবার এই ফোল্ডারে আপনি যাই রাখুন তা ড্রপ বক্সে আপলোড হবে। এই My Dropbox এ Public নামে একটি ফোল্ডার তৈরী হবে যার ভিতরে (এমনকি সাব ফোল্ডারেও) আপনি কোন ফাইল রেখে তার উপরে মাইসের ডান বাটন ক্লিক করে Dropbox>Copy Public Link এ ক্লিক করলে একটি লিংক পাবেন যা আপনি ওয়েব লিংক হিসাবেও ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও অনলাইন থেকেও সকল ধরনের সম্পাদনা করতে পারবেন।




1 comment:

  1. যে কোন মোবাইল ফোন থেকেই বাংলা লিখুন সহজে ফোনেটিক পদ্ধতিতে

    এই এপ্লিকেশান টি দিয়ে মোবাইল থেকে বাংলায় ফেসবুক স্ট্যাটাস লিখুন ...
    http://m.websolutionbd.net/
    For more info see this:
    http://m.websolutionbd.net/help.php
    ....................................
    আর "OPERA MINI" অথবা “UC”ব্রাউজার এর "কপি পেস্ট" অপশন ব্যবহার করে মোবাইল থেকে বাংলা লিখুন যেকোন ওয়েব / ওয়াপ সাইটে…।।
    ....................................
    স্ক্রীন শট দেখুনঃ
    http://img862.imageshack.us/img862/7463/mwebsolutionbdnet.jpg
    ....................................
    কিভেবে যে কোন মোবাইলে বাংলা লিখবেন?
    স্টেপ ১ :
    http://m.websolutionbd.net/
    এই এপ্প্লিকেশন এ যান...

    স্টেপ ২ :
    তারপর ফেসবুক পারমিশন দিতে বলবে...
    দুই বার (বেসিক ইনফো এবং ওয়াল পোষ্ট) পারমিশন "এলাউ" দিতে বলবে ফেসবুক...
    এলাউ করুন....
    (***এই স্টেপ টি শুধুমাত্র প্রথম বার ব্যাবহার করার সময় লাগবে,"এলাউ" হয়ে গেলে পরবর্তীতে আর এই স্টেপ টা রিপিট করতে হবে না।***)

    স্টেপ ৩ :
    তারপর "Banglish Input Box" এ যা লিখার লিখে...
    "Convert Banglish To Bangla" তে ক্লিক করে লেখা টি কে বাংলায় রুপান্তর করুন...
    রূপান্তর করা বাংলা লেখা টি "Bangla Output Box" এ চলে আসবে...
    (**এখন রূপান্তরিত বাংলা লেখাটি "OPERA MINI" অথবা “UC”ব্রাউজার এর "কপি পেস্ট" অপশন ব্যবহার করে যেকোন ওয়েব / ওয়াপ সাইটে ব্যাবহার করুন…।।**)

    স্টেপ ৪ :
    "Bangla Output Box" এ রুপান্তরিত বাংলা মোবাইলে দেখা না ও যেতে পারে... আপনি হয়তোবা বাংলার পরিবর্তে "Bangla Output Box" এ "▯▯▯▯▯▯▯▯" এমন কিছু দেখতে পাবেন...
    সেক্ষেত্রে আপনি বানান ভুল করেছেন কিনা তা বুঝতে পারবেন না ,আর তাই মোবাইলে ভুল বানান ঠিক করার জন্য ব্যাবহার করুন "Correct or Not" বাটন টি...
    এই বাটনে ক্লিক করলে আপনি মোবাইলে "Bangla Output Box" এ রুপান্তরিত বাংলা টি দেখতে পারবেন এবং বানানে ভুল থাকলে তা আবার শুদ্ধ করে নিতে পারবেন...

    স্টেপ ৫ :
    এবার "Post Status To Your Wall" এ ক্লিক করুন...
    ব্যাস হয়ে গেল...

    ReplyDelete